এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > নদীয়া-২৪ পরগনা > এনার জন্যই মুখমন্ত্রী বাধ্য হয়ে বাড়িয়েছেন বিদ্যৎ বিভাগের ডিএ? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিকমহলে

এনার জন্যই মুখমন্ত্রী বাধ্য হয়ে বাড়িয়েছেন বিদ্যৎ বিভাগের ডিএ? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিকমহলে


যে ঘটনা নিয়ে এত বিবাদ, এবার সেই বিষয়কেই মান্যতা দিল রাজ্য সরকার। যার ফলে বিধাননগরের সদ্য প্রাক্তন মেয়র সব্যসাচী দত্তের অনুগামীদের দাবি তাদের দাদার জন্য মুখমন্ত্রী বাধ্য হয়ে বাড়িয়েছেন বিদ্যৎ বিভাগের ডিএ। জানা যায়, গত 5 তারিখে সল্টলেকের বিদ্যুৎ ভবনের সামনে বিদ্যুৎ দপ্তরের সরকারি কর্মচারী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ সমাবেশ আয়োজন করা হয়।

যেখানে উপস্থিত ছিলেন তৃণমূল বিধায়ক তথা বিধাননগর পৌরসভার তৎকালীন মেয়র সব্যসাচী দত্ত। আর সেখানেই এই কর্মচারীদের ডিএ বাড়ানোর পক্ষে সওয়াল করে কার্যত নিজের দল ও রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে চ্যালেঞ্জ ছুড়তে দেখা যায় সেই সব্যসাচী দত্তকে।

যেখানে তিনি বলেন, “নিজেদের ন্যায্য দাবি নিজেরা চাইতে এসেছি। তার জন্য যতদূর যেতে হয় আমি যেতে রাজি আছি। আর কেউ যদি মনে করেন আমি দল বিরোধী কাজ করছি, তাহলে আমার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিন। আমার কোনো আপত্তি নেই।” আর পরোক্ষে দলের বিরুদ্ধে এহেন মন্তব্য করার পরই আরো দূরত্ব বাড়তে থাকে মেয়রের সঙ্গে তৃণমূল নেতৃত্বের। এদিকে তিনি মেয়র পদ থেকে ইস্তাফাও দিয়ে দেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরপর রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের 10% ডিএ ঘোষণা করেছে। এদিন এই প্রসঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ পর্ষদ এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের সম্পাদক অরিজিৎ দত্ত বলেন, “শুধু ডিএ নয়, পে কমিশন সহ একাধিক দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলাম। কিন্তু সরকার যখন 10% ডিএ ঘোষণা করেছে, সেক্ষেত্রে তীব্র আন্দোলন থেকে কিছুটা সরে এসেছি। তবে অন্যান্য দাবিতে আমাদের আন্দোলন চলবে। আশা করি আগামী দিনে সরকার বাকি বকেয়া ডিএ ঘোষণা করবে।”

অনুগামীদের সাথে রাজনৈতিকমহলের মনে প্রশ্ন যে  সব্যসাচী দত্তকে এই আন্দোলনে যুক্ত হয়ে সরব হওয়ার জন্যই কি আন্দোলনকে মান্যতা দিয়ে 10% ডিএ ঘোষণা করতে বাধ্য হল সরকার। তাহলে কি সব্যসাচী দত্তের আন্দোলনের রূপরেখা যে ঠিক ছিল, তা পরোক্ষে মেনে নিল শাসক দল!

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, আসলে সব্যসাচী দত্তের মতো ব্যক্তিত্ব মেয়র পদ থেকে সরে দাঁড়ানোয় শাসকদল কিছুটা হলেও চাপে পড়েছে। আর তাইতো সব্যসাচী দত্ত যে আন্দোলনে যুক্ত থেকে শাসকদলের বিরাগভাজন হয়েছিলেন, সেই আন্দোলনের দাবিতে কিছুটা হলেও মান্যতা দিয়ে সেই সব্যসাচী বাবুকে বার্তা দিতে চাইল তৃণমূল। কিন্তু এতে কি বরফ গলবে!

এদিন এই প্রসঙ্গে বিধাননগর পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত বলেন, “আমার আন্দোলনের জন্য যদি সরকারের বোধোদয় হয়ে থাকে, তাহলে সেটা শুধু আমার একার কৃতিত্ব নয়, আন্দোলনকারীদেরও কৃতিত্ব। এই ধরনের আন্দোলনে আগেও ছিলাম, আগামীদিনেও থাকব।” সব মিলিয়ে সব্যসাচী দত্তের যে আন্দোলনে যুক্ত থাকা নিয়ে সব থেকে বড় সমস্যা ছিল শাসকদলের, সেই আন্দোলনের মূল দাবিকে মান্যতা দিয়ে ঘুরিয়ে সেই সব্যসাচী দত্তকেই সমর্থন করল শাসকদল বলে মত বিশেষজ্ঞদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!