এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পদত্যাগ করলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, জোর জল্পনা রাজ্যে!

পদত্যাগ করলেন হেভিওয়েট তৃণমূল নেতা, জোর জল্পনা রাজ্যে!

 

লোকসভা নির্বাচনে তৃণমূল ধাক্কা খাওয়ার পর দলের তরফে সুশৃংখলতা বজায় রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু যত দিন যাচ্ছে, ততই যেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসছে। এবার নির্বাচনের কয়েক মাস আগে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দিলেন হুগলী-চুঁচুড়া পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুনীল মালাকার। যা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা ছড়িয়ে পড়েছে এলাকায়। কিন্তু কেন হঠাৎ সুনীলবাবু নিজের পদ থেকে ইস্তফা দিলেন! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে একাংশ।

অনেকে বলছেন, এই তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদারের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। সম্প্রতি “দিদিকে বলো” কর্মসূচিতে অসিত মজুমদার এই তৃণমূল কাউন্সিলরের ওয়ার্ডে গেলে তাকে অনেক অভিযোগ পেতে হয়। যার ফলে তিনি সেই কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে উষ্মা প্রকাশ করেন।

আর এরপরেই সেই তিন নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর তথা জলকল বিভাগের পুর পরিষদ সুনীল মালাকার প্রশাসনের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ায়, দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই প্রকাশ্যে এল বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তাহলে কি দলের বিধায়ক তার ওয়ার্ডে গিয়ে তার কাজ নিয়ে উষ্মা প্রকাশ করাতেই তিনি কাউন্সিলর পদ থেকে ইস্তফা দিলেন!

এদিন এই প্রসঙ্গে সেই কাউন্সিলর সুনীল মালাকার বলেন, “আমি পৌরসভার জল দপ্তরের পুর পারিষদ। কিন্তু কোনোখানে জলের সমস্যা নেই। উপরন্ত জলের চাপে কোথাও কোথাও পাইপ ফেটে যাচ্ছে। আমার ওয়ার্ড পৌরসভা সবকটি ওয়ার্ডের মধ্যে বড় ওয়ার্ড। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত কর্মী নেই। বারবার কর্মী বাড়ানোর কথা বলা হলেও, তা করা হয়নি। কিছু দলের নেতা এবং কর্মীর কাছে আমাকে অপমানিত, অসম্মানিত এবং লাঞ্ছিত হতে হচ্ছে। যে পদে থেকে সম্মানের থেকে অসম্মানিত বেশি হতে হয়, সেই পদ থেকে সরে যাওয়া বাঞ্ছনীয়।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে মুখে সুনীলবাবুর একথা বললেও, মহকুমা শাসকের কাছে দেওয়া চিঠিতে পদত্যাগের কারণ হিসেবে শারীরিক অসুস্থতাকে উল্লেখ করেছেন তিনি। তবে শারীরিক অসুস্থতা যে তার পদত্যাগের মূল কারণ নয় তা তার কথার মধ্যে দিয়েই উঠে এসেছে। যার ফলে তৃণমূলের এই কাউন্সিলরের ভোটের আগে পদত্যাগ রীতিমতো অস্বস্তি বাড়িয়ে দিয়েছে শাসকদলের অন্দরমহলে। তবে সুনীলবাবু দলের একাংশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেও, তাকে পাত্তা দিতে নারাজ স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক অসিত মজুমদার।

এদিন তিনি বলেন, “কেউ স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করতে চাইলে কিছু বলার নেই। তবে ওর বিরুদ্ধে এলাকাবাসীর ক্ষোভ বেড়ে গিয়েছিল।” কিন্তু অসিতবাবু যে কথাই বলুন না কেন, দলের হেভিওয়েট কাউন্সিলর যেভাবে পদত্যাগ করলেন, তাতে ভোটের আগে তৃণমূলের অস্বস্তি যে এই পৌরসভায় বাড়বে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে মোড় নেয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!