এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ ঘোষিত হবে বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী, শুরু নতুন পথ চলা

সব জল্পনার অবসান ঘটিয়ে আজ ঘোষিত হবে বাম-কংগ্রেসের জোট প্রার্থী, শুরু নতুন পথ চলা

 

“আমার হাত ধরে তুমি নিয়ে চলো সখা..আমি তো পথ চিনি না..” বাংলা সংস্কৃতির জগতে এই সংগীত অত্যন্ত শ্রুতিমধুর। তবে শুধু সঙ্গীত জগতে নয়, বঙ্গ রাজনীতিতেও বাম এবং কংগ্রেসের কাছে এই গানের শব্দগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস এবং বিরোধী দলে ক্রমাগত জায়গা করে নেওয়া বিজেপিকে সরিয়ে নিজেরা জায়গা দখল করে নিতে এখন একে অপরের হাত ধরে পথ চলতে মরিয়া আলিমুদ্দিন স্ট্রিট এবং বিধান ভবনের নেতারা।

বস্তুত, শেষবার 2016 সালে বিধানসভা নির্বাচনে জোট করে লড়াই করেছিল বাম-কংগ্রেস। তারপর অনেক নির্বাচনে জোটের কথা বললেও তাদের আশা পূর্ণ হয়নি। তবে 2019 এ ব্যাপক ধাক্কা খেয়ে এবার আসন্ন রাজ্যের তিনটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের আগে জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই করার সীদ্ধান্ত নিল হাত এবং কাস্তে-হাতুড়ি শিবির।

সূত্রের খবর, বুধবার মুখোমুখি একটি বৈঠকে বসল প্রদেশ কংগ্রেস এবং বামফ্রন্ট। আর সেখানেই নির্বাচন থেকে শুরু করে বিভিন্ন ইস্যুতে যৌথ লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নিল তারা। যা ভবিষ্যতে দুইদলকেই তৃণমূল এবং বিজেপি বিরোধিতায় অনেকটাই এগিয়ে দেবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তবে নির্বাচন নিয়ে তাদের কি সিদ্ধান্ত হল!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার দলীয় স্তরে দুইপক্ষ আলোচনার পর খড়গপুর, কালিয়াগঞ্জ এবং করিমপুর বিধানসভা কেন্দ্রের প্রার্থী ঘোষণা করবে। যেক্ষেত্রে খড়গপুর, কালিয়াগঞ্জে কংগ্রেস এবং করিমপুরে সিপিএম প্রার্থী দেবে। আর যেখানে যে দল প্রার্থী দিচ্ছে না, সেখানে তারা জোট করা দলকে সমর্থন করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। দুই দলই তাদের প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত করে ফেলেছে। তবে আজ পরস্পর সবুজ সংকেত দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে সেই নামগুলো ঘোষণা করবে বলে জানা গেছে।

তবে শুধু নির্বাচনী জোটবদ্ধ হয়ে লড়াই নয়, জেলা এবং রাজ্যস্তরে উপনির্বাচনের পাশাপাশি অভিন্ন ইস্যুগুলো নিয়ে এই দুই দল যৌথ কর্মসূচিতে অংশ নেবে বলেও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, এদিন রিপন স্ট্রিটে শরিক আরএসপির দলীয় মুখপত্র অফিসে বাম এবং কংগ্রেসের মধ্যে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

এদিন এই বৈঠক শেষে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র বলেন, “এদিন থেকে পথ চলা শুরু হল। বিজেপিকে ঠেকানোর অজুহাতে কংগ্রেসের কেউ কেউ খড়গপুর কেন্দ্রে তৃণমূলকে সমর্থন দেওয়ার কথা বললেও সেটা তাদের ব্যক্তিগত মত। উপনির্বাচন সহ বামেদের সঙ্গে যৌথ লড়াইয়ের কৌশলে সোনিয়া গান্ধী সীলমোহর দিয়েছেন।”

অন্যদিকে এই প্রসঙ্গে বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু বলেন, “উপনির্বাচনে একে অপরের প্রার্থীর হয়ে যৌথ প্রচারে অংশ নেবে। এছাড়াও বিভিন্ন ইস্যুতে যৌথ কর্মসূচি নিয়েও কথা হয়েছে।” সব মিলিয়ে সমস্ত জল্পনার অবসান ঘটিয়ে হাতে হাত ধরে লড়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নিল বাম এবং কংগ্রেস।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!