এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে আসার আগেই কড়া হল প্রশাসন! বন্ধ হল দোকান, শক্ত হল লকডাউন!

কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল পরিদর্শনে আসার আগেই কড়া হল প্রশাসন! বন্ধ হল দোকান, শক্ত হল লকডাউন!

করোনার মত ভয়াবহ মারন ভাইরাসকে আটকাতে একমাত্র উপায় লকডাউন। তবে দীর্ঘদিন ধরেই রাজ্যে অভিযোগ উঠেছে, সেই নকডাউন মানা হচ্ছে না। আর তারপরেই পশ্চিমবঙ্গের মত প্রথমে করোনা আক্রান্ত শূন্য রাজ্যে এখন দিনকে দিন বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। লকডাউনের মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে বাইরে বেরোতে দেখা যাচ্ছে। এমনকি প্রথমদিকে পুলিশ সাধারণ মানুষকে গৃহবন্দী করে রাখতে কড়া পদক্ষেপ নিলেও, পরবর্তী ধাপে পুলিশের কড়াকড়ির ক্ষেত্রে প্রকাশ্যে এসেছে দুর্বলতা।

রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এমনকি রাজ্যের বিরোধী দলের আপত্তির বিষয় ছিল এই লকডাউন না মানার বিষয়টি। ইতিপূর্বেই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে এই বিষয়ে রাজ্যকে সতর্ক করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরেও কোনো হুঁশ ফেরেনি বলে অভিযোগ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় মানুষকে প্রকাশ্যে বাইরে বের হতে দেখা গেছে। যার ফলে বিঘ্নিত হয়েছে লকডাউনের নিয়ম। এমতাবস্তায় সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের তরফে টুইট করে রাজ্যের সাতটি জেলাকে অত্যন্ত গুরুতর বলে জানানো হয়।

যার মধ্যে রয়েছে কালিম্পং, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, হুগলি, নদীয়া, পশ্চিম বর্ধমান, পশ্চিম মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ 24 পরগনা। আর এই ট্যুইট করার সাথে সাথেই কেন্দ্রের তরফে রাজ্যকে আরও জানিয়ে দেওয়া হয় যে, এই সাত জেলায় কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল তা পরিদর্শন করতে যাবে। যার পরে রাজ্যের শাসকদলের পক্ষ থেকে তার তীব্র বিরোধিতা করা হয়। কিন্তু এই সমস্ত জায়গায় যে লকডাউন হচ্ছে না, তা কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার খবর পেয়ে কিছু মানুষের আচরণেই কার্যত প্রমাণিত হয়ে গেল।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল যে কোনো সময় এলাকা পরিদর্শন করতে আসতে পারেন, এই আশঙ্কায় এদিন আঁটোসাঁটো নিরাপত্তাব্যবস্থা দেখা গিয়েছে মালবাজার এলাকায়। জানা যায়, মঙ্গলবার সকালে অন্যান্য দিনের মতই স্বাভাবিক থাকতে দেখা যায় মালবাজারের বাজার এলাকাকে। প্রচন্ড ভিড় এবং যানজট দেখে বোঝার উপায় নেই যে লকডাউন চলছে। তবে, এরপরেই নিরাপত্তাব্যবস্থা আঁটোসাঁটো করতে ময়দানে নেমে পরে স্থানীয় প্রশাসন, বেশ কিছু জায়গায় চলে টহলদারি।

শুধু তাই নয়, দোকানদারদের নির্দেশ দেওয়া হয়, যে সমস্ত মানুষ বাজারে জিনিস কিনতে মাস্ক পড়ে আসবেন না, তাদেরকে যেন কোনো জিনিসপত্র দেওয়া না হয়। আর পুলিশ প্রশাসনের এই উদ্যোগ দেখে স্থানীয়দের অনেকের মনেই আশার আলো তৈরি হয়েছে। তবে একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল আসার খবর পেয়েই মালবাজারের প্রশাসন এখন লকডাউনকে মানাতে সক্রিয় হল?

কিন্তু, এর সাথেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে – এতদিন তারা যদি এই সক্রিয়তা অবলম্বন করত, তাহলে তো কেন্দ্রের তরফে প্রতিনিধিদল পাঠানোর কোনো প্রয়োজনই হত না! কেন হঠাৎ এই উদ্যোগ নেওয়া হল! কেন এতদিন চুপ করে বসেছিল প্রশাসন? যদিও এই নিয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নয় কেউই। এদিন এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এসডিপিও দেবাশীষ চক্রবর্তী বলেন, “বাজারে যেহেতু অযথা মানুষ ভিড় করছেন এবং বেশকিছু প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দোকান খোলা থাকছে, তা বন্ধ করার জন্য দোকানদার এবং সাধারন মানুষকে বলা হচ্ছে।”

একই সঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “অত্যাবশ্যক জিনিসের দোকান ছাড়া অন্য কোনো দোকান খোলা থাকলে সেই সব দোকান মালিকের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” তবে এসডিপিও সাহেব এই কথা বলায় অনেকে খুশি হলেও, সকলের মনে এখন একটাই প্রশ্ন – কেন্দ্রীয় প্রতিনিধিদল পাঠানোর কথা বলাতেই কি প্রশাসনের কর্তাব্যক্তিরা লকডাউন নিয়ে কড়া মনোভাব দেখাতে শুরু করলেন? নাকি সবটাই বিরোধীদের অপপ্রচার? করোনা আবহেও এই রাজনৈতিক তরজা কিন্তু ক্রমশ চরমে উঠছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!