এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > লকডাউনের মাঝেও দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! নন্দীগ্রামেও তীব্র অস্বস্তি

লকডাউনের মাঝেও দুই প্রভাবশালী তৃণমূল নেতার দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে! নন্দীগ্রামেও তীব্র অস্বস্তি


করোনা মোকাবিলা করতে যখন রাজ্য সরকারের প্রাণ ওষ্ঠাগত, ঠিক তখনই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অস্বস্তি বাড়ল রাজ্যের শাসকদলের। জানা গেছে, দলীয় নেতৃত্বের আদেশ অমান্য করেই তৃণমূল পরিচালিত গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধানের অপসারণের দাবিতে তৃণমূলের অন্যান্য পঞ্চায়েতের সদস্যরা লিখিত প্রস্তাব এনেছে। যে ঘটনায় এখন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে নন্দীগ্রাম 2 ব্লকের আমেদাবাদ 2 গ্রাম পঞ্চায়েতে। বস্তুত, আমেদাবাদ 2 পঞ্চায়েতের সমস্ত আসনই বর্তমানে তৃণমূলের দখলে রয়েছে। গত 2018 সালের সেপ্টেম্বর মাসে এখানে প্রধান হিসেবে নির্বাচিত হন তৃণমূলের সবিতা বারিক।

তবে তৃণমূলের এই প্রধানের বিরুদ্ধে শাসকদলের 7 জন সদস্য বিডিওর কাছে অপসারণের দাবিতে একটি চিঠি দিয়েছেন। যার ফলে তৃণমূলের গোষ্টীকোন্দল প্রকাশ্যে চলে এল বলে মত রাজনৈতিক মহলের। অনেকে বলছেন, এই পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান সবিতা বারিকের সঙ্গে স্থানীয় অঞ্চলের সভাপতি শেখ রওসন আলির দ্বন্দ্ব দীর্ঘদিনের। তাহলে কি দুই নেতা নেত্রীর দ্বন্দ্বের জন্যই এই রকম অবস্থা হল?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন এই প্রসঙ্গে প্রধানের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর নেতা বলে পরিচিত শেখ রওশন আলী বলেন, “দুই সপ্তাহ ধরে প্রধান অফিসে আসেন না। বিষয়টি বিধানসভার নেতৃত্বকে জানিয়ে আলোচনার জন্য একাধিকবার বলা হয়েছে। কিন্তু কোনো আলোচনা হয়নি। সাধারণ মানুষের সমস্যা হচ্ছে। তাই প্রধানকে সরাতে অনাস্থা এনেছেন দলের সদস্যরা।”

এদিকে এই ব্যাপারে তৃণমূলের প্রধান সবিতা বারিক বলেন, “কি কারনে দুই সপ্তাহ ধরে অফিস যাচ্ছি না, দলীয় বিধানসভা কমিটির চেয়ারম্যান কে জানিয়েছি। তারা যা সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই হবে।” কিন্তু এভাবে লকডাউনের মুহূর্তে যদি তৃণমূল নেতারা চলতে থাকে এবং প্রধানের বিরুদ্ধে যদি দলের সদস্যরাই অনাস্থা আনেন, তাহলে তো বিড়ম্বনা আরও বাড়বে?

এদিন এই প্রসঙ্গে নন্দীগ্রাম বিধানসভা কমিটি তৃণমূলের চেয়ারম্যান মেঘনাদ পাল বলেন, “নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা না করে আমেদাবাদ পঞ্চায়েতের কয়েকজন সদস্য অনাস্থা এনেছেন। এটা দল বিরোধী কাজ। বিষয়টি দলের জেলা সভাপতিকে জানাব।” সব মিলিয়ে এখন লকউনের মুহূর্তে তৃণমূলের এই দ্বন্দ্ব কতটা কমে এবং এই ব্যাপারে তৃণমূল নেতৃত্ব কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!