রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বাড়াতে 2 গেরুয়া নেতার কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় পদক্ষেপ! কলকাতা রাজ্য May 15, 2020 করোনা ভাইরাসের কারণে এখন বন্ধ রয়েছে রাজ্যের পৌরসভা নির্বাচন। যদি করোনা ভাইরাসের প্রকোপ দেখা না যেত, তাহলে এই সময়ে অনুষ্ঠিত হয়ে যেত রাজ্যের মেয়াদ উত্তীর্ণ পৌরসভাগুলোর নির্বাচন। অতীতে কখনও কলকাতা পৌরসভা ভোট শেষ হওয়ার পর প্রশাসক বসানো নজির না থাকলেও, এবার নির্বাচন না হওয়ার কারণে সেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। যেখানে পুরো ও দপ্তরের পক্ষ থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে সেই কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক মন্ডলী গঠন করা হয়েছে। যার মাথায় বসানো হয়েছে পৌরসভার প্রাক্তন মেয়র তথা রাজ্যের পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিমকে। তবে প্রথম থেকেই রাজ্য সরকার বা রাজ্যের শাসক দল নিজেদের হাতে ক্ষমতা রাখবার জন্য পৌরসভায় ফিরহাদ হাকিমকে বসিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ জানাতে শুরু করেছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। শুধু তাই নয়, রাজ্যপালের কাছেও এই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়েছে তারা। কিন্তু এরপর বিজেপির তরফ থেকে আর সেভাবে কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় গোটা ব্যাপারটি স্থিতিশীল হয়ে গেছে বলে মনে করা হয়েছিল। কিন্তু বিজেপি যে গোটা ঘটনায় কিছুতেই পিছিয়ে আসবে না, তা কার্যত প্রমাণ হয়ে গেল। সূত্রের খবর, এবার কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক বসানো সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বিজেপির দুই হেভিওয়েট নেতা কলকাতা হাইকোর্টে মামলা করলেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - জানা গেছে, রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় এবং বিজেপি আইনি সেলের আহ্বায়ক ব্রজেশ ঝা যৌথভাবে এই ব্যাপারে একটি জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। শুক্রবার সেই মামলার শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে। বস্তুত, কলকাতা পৌরসভার প্রশাসক বসানোর সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এর আগেও শরদকুমার সিং নামে এক ব্যক্তি একটি রিট মামলা করেন। তবে তা সত্ত্বেও তিনি সরকারের এই সিদ্ধান্তের স্থগিতাদেশ আদালত থেকে আনতে পারেননি। কিন্তু এবার বিজেপির পক্ষ থেকে এই ব্যাপারে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করায় তার দিকে নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের। যদি বিজেপি এই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে কলকাতা হাইকোর্টের পক্ষ থেকে রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে কোনো রায় দেওয়া হয়, তাহলে সরকার যেমন অস্বস্তিতে পড়বে, ঠিক তেমনই গেরুয়া শিবিরের পক্ষেও তা স্বস্তিদায়ক হবে বলে মনে করা হচ্ছে। এদিন এই প্রসঙ্গে মামলাকারী বিজেপি নেতা বলেন, “কলকাতা পৌরসভার 634 নম্বর ধারার অপপ্রয়োগ হয়েছে। কেউ এভাবে প্রশাসক পদে বসতে পারে না। রাজ্যের বিজ্ঞপ্তি খারিজের আবেদন আমরা মামলায় রেখেছি।” সব মিলিয়ে এখন শুক্রবার শুনানি হওয়া এই মামলায় হাইকোর্টের পক্ষ থেকে কি বলা হয়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -