চীনের সাথে কলকাতার বিশেষ অঞ্চলের নিবিড় ব্যবসায়িক যোগ! করোনা চিন্তা ক্রমশ প্রকট হচ্ছে! কলকাতা রাজ্য April 5, 2020 চীন থেকেই করোনা ভাইরাসের উৎপত্তি বলে মনে করছেন অনেকে। প্রত্যক্ষভাবে বা সরকারিভাবে এখনও পর্যন্ত কেউ এই ব্যপারে চীনকে দায়ী না করলেও, সকলেরই মনের ধারণা হয়ে গিয়েছে যে, গোটা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এই ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার পেছনে মূল দায়ী চীন। কিন্তু সেই চীনের সঙ্গে কলকাতার একটি অংশের নিয়মিত যোগাযোগ থাকায় এখন শহর কলকাতা তথা পশ্চিমবঙ্গে এই ভাইরাস চরম আকার ধারণ করতে পারে বলে মনে করছেন একাংশ। কিন্তু কিভাবে চীনের সঙ্গে যোগাযোগ কলকাতার? জানা যাচ্ছে, কলকাতা পৌরসভার 77 ও 78 নম্বর ওয়ার্ডে বিদেশি পণ্যের বাজার রয়েছে। আর এখানকার প্রায় 5 হাজারের মত বাসিন্দা প্রতিমাসে চীন থেকে জিনিস সরবরাহ করতে যান। ফলে কলকাতা পৌরসভার এই দুই ঘিঞ্জি এলাকায় ব্যবসার কাজে চিনে যাওয়া ব্যক্তিদের মধ্যে ভাইরাস বাসা বাঁধতে পারে বলে তীব্র আশঙ্কা শুরু হয়েছে। আর এখানেই একাংশের প্রশ্ন, তাহলে কি পশ্চিমবঙ্গের স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে শুরু করে প্রশাসন কলকাতা পৌরসভার এই দুই ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের মধ্যে যথোপযুক্ত নজর রাখছে! নাকি এক্ষেত্রে ঢিলেমি ভাবেই চলছে সবকিছু? যদি এই ব্যাপারটিকে হালকাভাবে নেওয়া হয় এবং তারপরে যদি একবার এখান থেকে ভাইরাস ছড়াতে শুরু করে, তাহলে তো পরিস্থিতি মারাত্মক আকার নেবে! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রসঙ্গে 77 নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শামীমা রিহান খান পৌরসভাকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে কলকাতা পৌরসভার ডেপুটি মেয়র তথা মেয়র পারিষদ অতীন ঘোষ এই বিষয়ে বলেন, “জীবাণুনাশক স্প্রে এবং স্বাস্থ্য পরীক্ষার বিষয়টি স্বাস্থ্য দপ্তরকে জানানো হবে।” কিন্তু কি করছে স্বাস্থ্য দপ্তর? এদিন এই প্রসঙ্গে রাজ্যের স্বাস্থ্য দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “মূল দায়িত্ব পৌরসভার। ওরা তথ্য স্বাস্থ্যদপ্তরকে দিলেই দপ্তর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।” আর এখানেই বিশেষজ্ঞদের প্রশ্ন, একে অপরের ঘাড়ে যেভাবে দোষারোপের পালা শুরু করেছেন, তাতে যদি পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যায়, তাহলে দোষারোপ তো দূর অস্ত, উল্টে সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে পৌঁছে যাবে বাংলা। তাই অবিলম্বে কলকাতার এই দুই সন্দেহজনক এলাকায় যদি তৎপরতা অবলম্বন না করা যায়, তাহলে আসছে যেদিন ভয়ঙ্কর হতে পারে বলেই মত বিশেষজ্ঞদের। আপনার মতামত জানান -