প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের বিধানসভা নির্বাচন, তারপর একের পর এক উপনির্বাচনে হার গেরুয়া শিবিরকে রীতিমত পেছনের সারিতে পৌঁছে দিয়েছে এই রাজ্যে। সামনে আসছে পুরসভা নির্বাচন আর তারপর 2024 এর লোকসভা নির্বাচন। অন্যদিকে একের পর এক নির্বাচনে হার গেরুয়া শিবিরের অন্দরে বড়োসড়ো ভাঙন তৈরি করেছে। আগামী দিনে বিজেপির অবস্থান কি হবে, 2024 এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি কি ফল করবে এ সমস্ত প্রশ্নের উত্তর এবার একটি বিতর্কিত অডিওর মাধ্যমে সামনে এসেছে। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে তীব্র সমালোচনা। যদিও প্রিয় বন্ধু মিডিয়া এই অডিও ক্লিপ যাচাই করে দেখেনি এখনো পর্যন্ত।

তবে শোনা যাচ্ছে, যে বিতর্কিত অডিও ক্লিপটি প্রকাশ পেয়েছে সেখানে দুটি কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। যার মধ্যে একটি কণ্ঠস্বর বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ এর বলে দাবি করা হচ্ছে। এবং এই কণ্ঠস্বরের অধিকারী স্পষ্ট ভাষায় ওই অডিও ক্লিপে জানিয়েছে, বিজেপি আগামী লোকসভা নির্বাচনে তিনটি আসন পাবে। এমনকি শুভেন্দু অধিকারীর নিজের জেলা পূর্ব মেদিনীপুরেও বিজেপি খাতাই খুলবে না। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকও 50 হাজার ভোটে হারবে বলে ভবিষ্যদ্বাণী করা হয়েছে। অডিও ক্লিপটি প্রকাশ্যে আসতেই তীব্র অস্বস্তি গেরুয়া শিবিরে। রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের কাছে এ প্রসঙ্গে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানিয়েছেন, পুরো বিষয়টি তদন্তসাপেক্ষ।

দাবি করা হচ্ছে, এই অডিও ক্লিপের যে দুজনের কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে তার মধ্যে একজন হলেন সৌমিত্র খাঁ, অন্যজন বিজেপিরই একজন কর্মী। এই অডিও ক্লিপটিতে দুই পুরুষ কণ্ঠস্বর শোনা যাচ্ছে। দাবি উঠেছে, সৌমিত্র খাঁ এর নামাঙ্কিত কণ্ঠস্বর শুভেন্দু অধিকারী এবং দিলীপ ঘোষ সম্পর্কেও বিতর্কিত মতামত দিয়েছে। কার্যত বাংলার রাজনীতিতে হিন্দুদের মধ্যে ভাগাভাগি করেছে বিজেপি তাই বাংলার মানুষ গ্রহণ করেননি বিজেপিকে বলে ঐ অডিওতে শোনা যাচ্ছে বলে খবর। তবে ওই কণ্ঠস্বর শান্তনু ঠাকুর ছাড়া আগামী লোকসভায় কারোর জেতার সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেছে। পাশাপাশি ওই কণ্ঠস্বর এটাও জানিয়েছে বলে খাবর, 2024 সাল পর্যন্ত তিনি লোকসভা এলাকার বাইরে কোথাও বেরোবেন না।

এই অডিও টেপ সংক্রান্ত প্রতিক্রিয়া জানার জন্য সৌমিত্র খাঁ এর সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাঁকে পাওয়া যায়নি। খুব স্বাভাবিকভাবেই এ ধরনের অডিও টেপ প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্য রাজনীতিতে ব্যাপক চাপানউতোর শুরু হয়েছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের। এই মুহূর্তে গেরুয়া শিবিরের পরিস্থিতি যে খুব একটা ভালো নয় বাংলায়, তা সবার জানা। আপাতত এই পরিস্থিতি সামাল দিতে গেরুয়া শিবির এবার কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে সেটাই দেখার।