এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মাঝেরহাট ব্রিজের নতুন সংস্করন ঘিরে বিশেষ পদক্ষেপ- চাই ‘কুইক অ্যাকশন’

মাঝেরহাট ব্রিজের নতুন সংস্করন ঘিরে বিশেষ পদক্ষেপ- চাই ‘কুইক অ্যাকশন’


গত 4 সেপ্টেম্বর বিকেল নাগাদ হঠাৎই শহরের মাঝেরহাট সেতু ভেঙে পড়ার ঘটনা এখনও ভুলতে পারেননি কেউই। আর পুজোর আগে মানুষের মন থেকে আতঙ্ক কাটাতে সেই ব্রিজ ভেঙে পড়ার পরেই এই বিষয়ে মুখ্যসচিব মলয় দের নেতৃত্বে একটি তদন্ত কমিটি গড়ে দেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যেই সেই তদন্ত কমিটি একটি রিপোর্টও পেশ করেছে। যেখানে এই ব্রিজ ভাঙার পেছনে মূল দায়ী করা হয়েছে মেট্রো রেল এবং রাজ্যের পূর্ত দপ্তরের গাফিলতিকেই। এদিকে এই ঘটনায় জমা পড়েছে ফরেন্সিক রিপোর্টও। কিন্তু গোটা বিষয়টি আটকে আছে পুলিশের তৈরি তদন্তকারী টিমের রিপোর্টের ওপরই।

জানা গেছে, পুলিশের পক্ষ থেকে এই রিপোর্ট জমা হওয়ার পরেই মুখ্যসচিবের নেতৃত্বাধীন তদন্ত কমিটি তাঁদের রিপোর্ট পেশ করবেন। আর তারপরই এই মাঝেরহাট ব্রিজ ভাঙার ঘটনায় পূর্তদপ্তরের ইঞ্জিনিয়াদের বিরুদ্ধে ব্যাবস্থা নেবে রাজ্য সরকার। আর তাই এখন সেই চিন্তাতেই কার্যত ঘুম উড়ছে অনেক ইঞ্জিনিয়ারদেরই। এদিকে ইঞ্জিনিয়াররা যখন আতঙ্কে ভুগছেন ঠিক তখনই এই মাঝেরহাট ব্রিজের কাজ শেষ করতে সময়সীমা বেধে দিল রাজ্য সরকার। সূত্রের খবর, আগামী 2019 এর 15 সেপ্টেম্বরের মধ্যে এই এই জায়গায় নতুন ব্রিজ তৈরির নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পূর্তদপ্তরকে। ইতিমধ্যেই এইরকম একটি নির্দেশ দিয়ে রাজ্যের মুখ্যসচিব মলয় দে টেন্ডার প্রক্রিয়ার দ্রুত শেষ করে ওয়াক অর্ডার করতে বলেছেন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

জানা গেছে, এই টেন্ডারের জন্য 14 দিন সময় পাচ্ছে ঠিকাদারি সংস্থা। এমনকী যে নির্মানকারী সংস্থাকে এই ব্রিজের কাজের বরাত দেওয়া হবে তারাই ব্রিজ নকশা করবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন মুখ্যসচিব। এদিকে এই ব্রিজ তৈরিতে মাটির ওপরের অংশের কোনো ভিত পরিবর্তন হবে না। শুধুমাত্র রেললাইনের ওপরের ঝুলে থাকা অংশই নতুন করে তৈরি করা হবে। পাশাপাশি যেই অংশ ভাঙেনি সেটাকেও ভেঙে ফেলার কাজ শুরু হয়েছে। অন্যদিকে সময় বাচিয়ে রেলের অনুমতি নিয়ে লাইনের ওপরে ব্রিজও তৈরি করবে রাজ্যের পূর্তদপ্তর। কিন্তু এই কাজ শেষ হতে তো অনেকটাই সময় লাগবে তাহলে ততদিন সাধারনের যাতায়াতের জন্য কি কোনো বিশেষ ব্যাবস্থা করা হয়েছে? সূত্রের খবর, রেলের অনুমতিসাপেক্ষে একটি লেবেল ক্রসিং এবং অপরটিতে বেইলি ব্রিজ তৈরি করে একটি রাস্তা বের করা হচ্ছে। যাতে পুজোর সময় মানুষের অসুবিধে কিছুটা কমে। তবে আর ঢিলেমি নয়, চলতি বছরের নভেম্বরে ঠিক কালীপুজোর পরেই এবার এই মাঝেরহাট ব্রিজের কাজে হাত দিতে পূর্তদপ্তরকে নির্দেশ রাজ্যের মুখ্যসচিবের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!