মেয়রের বিবাহবিচ্ছেদ মামলায় নতুন মোড়- মেয়রপত্নী রাজি হলেও শোভন রাজি নন সুষ্ঠু সমাধানে কলকাতা রাজ্য August 8, 2018 মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়ের দাম্পত্য কলহ নিয়ে বহুদিন ধরেই আলাদতে জলঘোলা হলেও কিছুতেই জট কাটানো যাচ্ছে না এই ইস্যুর। এতোদিন পর একটি সমঝোতা সূত্রের হদিশ মিললেও ফের বেঁকে বসলেন শোভন বাবু। তিনি কোনো আপস মীমাংসায় রাজি নন,পরিস্কার ভাবে সাংবিধানিক নিয়ম মেনেই স্ত্রী রত্না চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ চান তিনি। এবং এক্ষেত্রে আইনি জটিলতা কাটিয়ে যত দ্রুত সম্ভব এ মামলার ইতি চান তিনি, এমনটাই আবেদন করলেন বিচারকের কাছে। অন্যান্য দিনের মতো এদিনও বিশেষ বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়কে সঙ্গে করে নিয়েই আদালত চত্বরে হাজির হলেন শোভন বাবু। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলা দায়রা জজ রবীন্দ্রনাথ সামন্ত ভরা এজলাসে জানান,যেহেতু মমলাকারী এ রাজ্যের একজন সম্মানীয় ব্যক্তি তাই সমস্ত দিক বিচার করে মামলাটি আপোসে মিটিয়ে নেওয়াটাই ভালো। অহেতুক দোষারোপের মাধ্যমে সম্মান হানি করে লাভ নেই কোনো। বিচ্ছেদের মামলা নিজস্ব এজলাসে রেখেই মামলাটির আপস মীমাংসা করার সিদ্ধান্তের কথা জানালেন বিচারপতি। আদালতের আবেদনে সদর্থকভাবে সাড়াও দিয়েছিলেন মেয়রপত্নীর আইনজীবীরা। আইনি জট কাটিয়ে উঠে মেয়র দম্পতি ফের একবার সংসার করার সুযোগ পান এমনটাই চান তাঁরা। কিন্তু বিচারকের সেই আবেদন মেনে নিতে নারাজ খোদ মেয়র শোভনবাবু। এরপরই মামলাটি পাঠানো হয় আলিপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক পার্থ সারথি চক্রবর্তীরা এজলাসে। জেলা জজ মামলাটি যত জলদি সম্ভব নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন।চলতি মাসের ২০ তারিখ নতুন এজলাসে বিচ্ছেদ মামলাটির শুনানির দিন ধার্য করা হয়েছে। আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে ——————————————————————————————- এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে। উল্লেখ্য,এতোদিন মামলাটির শুনানি আলিপুরের ষষ্ঠদশ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক শান্তনু মিশ্রের এজলাসেই চলছিল। বন্ধ এজলাসে চলা এই মামলাকে নিয়ে সম্প্রতি বেশ গন্ডোগোল পাকালে বিচারক তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেন এ বিষয়ে। এবং দুপক্ষের আইনজীবীকে জানিয়ে দেন তিনি আর আর এই মামলার শুনানিতে অংশ নিতে চান না। সেখান থেকেই এই মামলা পাঠানো হয় আলিপুর জেলা জজের কাছে। তারপর এদিন এই মামলা নিয়ে শুনানি এ খবর প্রকাশ্যে আসে। এখন কতোদিনে এ মামলার জট কাটবে তা নিয়ে বেশ গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজ্য রাজনৈতিকমহলের অন্দরেও। আপনার মতামত জানান -