প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেবকে বরাবরই বাংলা ছবির সুপারস্টার হিসেবে দেখে এসেছে বাংলার জনগণ। তাঁর ফ্যান ফলোয়ারও লক্ষণীয়। কালে কালে তা আরো বেড়ে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। ছয় বছর আগে এই দেব রূপোলী জগত থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে প্রবেশ করেন বাংলার রাজনৈতিক মহলে। নির্বাচনে দাঁড়িয়ে ঘাটাল থেকে সাংসদ পদ লাভ করেন তিনি। তারপর বিভিন্ন সময় রাজনৈতিক কাজে দেখা গেছে তাঁকে। অন্যদিকে বিরোধীদের জন্য কোন সময়েই তাঁকে চিরাচরিত চোখা মন্তব্য করতে দেখা যায়নি।

রাজনীতি নিয়েও খুব একটা জনসমক্ষে মুখ খোলেন না তিনি। এবার সেই দীপক অধিকারী ওরফে দেব ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে নিজের চিন্তা ভাবনা মেলে ধরলেন বলে জানা যাচ্ছে। সম্প্রতি ফেসবুকের এক সাক্ষাৎকারে তৃণমূলের এই সেলিব্রিটি সাংসদ দেব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নের প্রশংসায় পঞ্চমুখ হয়েছেন। তবে তাঁর সাথেই তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রীর পাশে আরও যোগ্য লোক থাকা দরকার। এক্ষেত্রে দেব জানিয়েছেন, নিচুতলায় উন্নয়নকে পৌঁছে দেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু লোকের কারণে তৃণমূলের নাম খারাপ হচ্ছে।

অন্যদিকে জানা গেছে, রবিবার ওই ফেসবুক সাক্ষাতকারে নরেন্দ্র মোদি থেকে রাম মন্দির, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে উন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে তাঁর ব্যক্তিগত মত জানিয়েছেন দেব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূয়সী প্রশংসা করলেও দেব কিন্তু নিচুতলার কর্মীদের নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছেন। তবে সেই নিচুতলার কর্মীরা কারা তা নিয়ে অবশ্য তিনি বিশদ ব্যাখ্যায় যাননি। এই সাক্ষাৎকারে দেব এর কাছে রাম মন্দিরের শিলান্যাস নিয়ে প্রশ্ন করা হয়।

আর সেই উত্তরে দেব জানিয়েছেন, রাম মন্দির তৈরি হলে তিনি সপরিবারে তা দর্শনে যাবেন। তবে করোনা আবহে সামাজিক দূরত্ববিধি বজায় রাখতে এই অবস্থায় মন্দিরের ভূমি পুজা এবং ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করা যে খুব একটা ঠিক হয়নি, সে কথাও তিনি জানান। অন্যদিকে এদিন দেব মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিরও প্রশংসা করেন। দেবের কথায় নরেন্দ্র মোদি একজন পাওয়ারফুল লিডার। উনি যা বলেন, দেশের মানুষ তাঁর কথা শোনে। এই সাক্ষাৎকারে দেব নিজের রাজনৈতিক দর্শন নিয়েও জানিয়েছেন কিছু কথা।

দেবের কথা অনুযায়ী, 2024 সালে দেব যদি আবার রাজ্যের মানুষের কাছে ভোট চাইতে যায় সে ক্ষেত্রে দেবের নজরে থাকবে, তিনি নিজে কি কি কাজ করেছেন। তবে দেবের এই সাক্ষাৎকার নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে বিতর্ক। তৃণমূলের অন্দরেও দেবকে নিয়ে শুরু হয়েছে গুঞ্জন। এর আগেও দেবের গলায় শোনা গেছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বহুল প্রশংসা। এবার ভার্চুয়াল সাক্ষাৎকারে যেভাবে দেব প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির প্রশংসা করলেন, তাতে প্রশ্ন উঠছে তাহলে কি এবার তৃণমূলের আরেক সেলিব্রিটি হেভিওয়েট নেতা দূরত্ব বাড়াচ্ছে দলের সাথে?