গোটা দেশে বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপি বিরোধীতার পথে গিয়ে এখন থেকেই 2019 র জন্য সমস্ত বিরোধী জোটকে একত্রিত করতে শুরু করছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।যার জেরে সাম্প্রতিককালে একাধিক লোকসভা বা বিধানসভা উপনির্বাচনে এই বিরোধী জোটের কাছে হারতে হয়েছে বিজেপিকে। যেখানে যে দল শক্তিশালী সেখানে তাঁরাই বিরোধী জোটের প্রার্থী হয়ে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়বে! তৃনমূল নেত্রীর এই ফর্মুলায় উত্তরপ্রদেশের মত রাজ্যেও একদা অহিনকুল সম্পর্ক সমাজবাদী ও বহুজন সমাজবাদী পার্টী একসাথে লড়ে রিতীমত ঘাম ঝড়িয়ে দিয়েছে বিজেপির। কিন্তু এইভাবে চলতে থাকলে যদি 2019 কেন্দ্রে বিরোধী জোট ক্ষমতায় আসে তবে কে হবেন তাঁদের প্রধানমন্ত্রী?

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

——————————————————————————————-

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কদিন আগেই কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তৃনমূলের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও বহুজন সমাজবাদীর মায়াবতী হলে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই বলে ঘোষনা করেন। রাজনৈতিক মহল মনে করছেন, কংগ্রেস ভালোই জানে যে এই বিরোধী জোটে যদি প্রধানমন্ত্রী হিসাবে তাঁদের কোনো প্রার্থীকে তুলে ধরা হয় তবে প্রথমেই এই বিরোধী জোট ভেঙে যেতে পারে। তাই সুকৌশলে দেশের দুই মহিলা নেত্রীর নাম নিয়েছেন তিনি।

এদিকে রাহুল গান্ধী যখন প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হলে আপত্তি নেই বলে জানাচ্ছেন ঠিক তখনই বিরোধী জোটের আরেক নেতা তথা দেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী এবং জনতা দল সেকুলার নেতা এইচ ডি দেবেগৌড়াও প্রধানমন্ত্রী পদে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হওয়ার পক্ষেই জোরালো সওয়াল করলেন। এদিন তিনি বলেন, “সবসময় কি ছেলেরাই প্রধানমন্ত্রী পদে দেশ শাসন করবে! ইন্দিরা গান্ধী 17 বছর দেশ শাসন করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন প্রধানমন্ত্রী হতে পারবেন না।?” তবে শুধু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এদিন বহুজন সমাজবাদীর মায়াবতীর নামও উল্লেখ করেন দেবেগৌড়া। এখন দেখার 2019 সালের লোকসভায় বিরোধী জোট ক্ষমতায় এলে কে হয় তাঁদের প্রধানমন্ত্রী?