এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > কংগ্রেস > “জোট নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। কেউ অপপ্রচারে কান দেবেন না।” সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্কবার্তা অধীরের

“জোট নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। কেউ অপপ্রচারে কান দেবেন না।” সোশ্যাল মিডিয়ায় সতর্কবার্তা অধীরের


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী ২০২১ এর বিধানসভা নির্বাচনে রাজ্যের বিরোধী দল কংগ্রেস ও বামফ্রন্ট ঐক্যবদ্ধ হয়ে লড়াই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কিছুদিন ধরেই বাম-কংগ্রেস জোটের ভবিষ্যৎ নিয়ে বেশ কিছু বিভ্রান্তিকর খবর মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছিল, কিছু সংবাদমাধ্যম এ বিষয়ে লিখতে শুরু করেছিল। বলা হয়েছিল যে, আসন বন্টন নিয়ে বনিবনা ও বিভিন্ন বিরোধের কারণে ভোটের আগেই ভেঙ্গে যেতে পারে দুই দলের এই জোট। এবার এ প্রসঙ্গে সোশ্যাল মিডিয়ায় দলের সদস্যদের সতর্ক করে দিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী জানালেন, ” জোট নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা হচ্ছে। কেউ অপপ্রচারে কান দেবেন না।” সেই সঙ্গে তিনি পরিষ্কার ভাবে জানান যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বাম ও কংগ্রেস জোট বদ্ধ হয়েই লড়াই করবে।

আবার, সিপিএম ও কংগ্রেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনের আসন বণ্টনের বিষয়ে এখনও তাদের মধ্যে কোন বৈঠক হয়নি। পুজোর পরে এ বিষয়ে তাদের বৈঠক হবে। তখনই এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে। তবে চলতি বছরের মধ্যেই প্রার্থী স্থির করে ফেলতে চায় বামফ্রন্ট। কারণ, তাহলে বিধানসভা ভোটের কয়েকমাস আগে থেকেই দলের প্রার্থীকে সামনে রেখে আন্দোলন ও প্রচার করার সুবিধা হবে।

প্রসঙ্গত গত ২০১৬ সালে বাম- কংগ্রেস জোট বদ্ধ হয়েছিল। কিন্তু সরকার গঠনের অনেক দূরেই থমকে গিয়েছিল তাদের জোট। তবে, নির্বাচনী ফলাফল বিশ্লেষণ করে দেখা গিয়েছিল যে, রাজ্যের অন্তত ৪০ থেকে ৪৫ টি আসনে সামান্য ভোটের জন্য হার হয়েছিল জোট প্রার্থীর। অনেকে জানিয়েওছিলেন যে, বাম-কংগ্রেস যদি আরো আগে ও আরো শক্তভাবে ভাবে জোট করতে পারতো তবে দ্বিতীয়বার তৃণমূলকে সরকার গঠন থেকে বিপাকে ফেলা যেত। কিন্তু ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকে জোট ছেড়ে বেরিয়ে আসে বামফ্রন্ট। শীর্ষ বাম নেতৃত্ব সেসময় জোটের প্রতি তেমন উৎসাহ দেখায় নি।

গত, ২০১৯ এর লোকসভা ভোটের আগে জোট করার একটা চেষ্টা হয়েছিল। জোট গঠনের জন্য বৈঠকও ডাকা হয়েছিল। কিন্তু জোট গঠন সম্ভব হয়নি। বাম, কংগ্রেস যার পরিনামও পেয়েছিল হাতে হাতে। তাই আগামী বিধানসভা নির্বাচনে অনেক আগে থেকেই জোট গঠনে ইচ্ছুক এই দুই বিরোধীদল। একক কর্মসূচির পাশাপাশি কেন্দ্রীয় ভাবে যৌথ কর্মসূচিও গ্রহণ করছে এই দুই দল সম্প্রতি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, অধীর চৌধুরীকে দ্বিতীয়বার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি করা হলে তাঁকে টুইট করে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন সিপিএমের পলিটব্যুরোর সদস্য মহম্মদ সেলিম। তাঁকে পাল্টা টুইট করে অধীর চৌধুরী লিখেছিলেন, ” সেলিম ভাই, একসঙ্গে লড়ব!’ দুই দলের দুই শীর্ষ নেতা বুঝিয়ে দিতে চেয়েছিলেন, এবার জোট হবে খোলাখুলি। ঘোমটার আড়ালে খ্যামটা নাচার দিন শেষ।”

তবে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল ও রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি বাম কংগ্রেসের এই জোটকে নানাভাবে কটাক্ষ করেছে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যে, পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি বিরোধী সমস্ত মানুষের নেত্রী হলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই লড়াইতে তাঁর মাঝে আর কেউ নেই। এ প্রসঙ্গে তাদের বক্তব্য, নেতারা জোটের কথা বললেও, নিচুতলার কংগ্রেস কর্মীরা কখনোই সিপিএমকে ভোট দেবেন না। কারণ গত ৩৪ বছর ধরে তাঁরা সিপিএমের সন্ত্রাস দেখে এসেছেন।

বাম কংগ্রেস জোট সম্পর্কে বিজেপির কটাক্ষ, দুটি অপ্রাসঙ্গিক দল কি করলো তা মূল্যহীন। তৃণমূল সরকারকে হঠাতে পারবে একমাত্র বিজেপি। রাজ্যের মানুষ ইতিমধ্যেই তা বুঝে গিয়েছেন। তাদের কটাক্ষ, জোট করলেও জোট প্রার্থীকে নোটার সঙ্গেই প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে হবে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!