এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > আবারও নতুন বিতর্কের মুখে আইপিএল। প্রকাশ্যে এল ধোনির কীর্তি! কি বলছেন নেটিজেনরা?

আবারও নতুন বিতর্কের মুখে আইপিএল। প্রকাশ্যে এল ধোনির কীর্তি! কি বলছেন নেটিজেনরা?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আইপিএলের শুরু থেকেই চেন্নাইয়ের ওপরে অশান্তির খাঁড়া ঝুলছে। সেখানে কিছুদিন আগেই ধোনিকে নিয়ে চর্চা শুরু হয়েছিল। শোনা গিয়েছিল তিনি নাকি আইপিএলে নিজের সেরাটা দিয়ে খেলছেন না। ফলে তাই নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। অন্যদিকে রায়নাকে দলে ফিরে আশার জন্য অনুরোধও দেখা গিয়েছিল সোশাল মিডিয়াতে।

তবে এই পরিস্থিতি কিন্তু এখানেই সীমাবদ্ধ থাকেনি। এর রেশ পৌঁছেছিল ধোনির পত্নী এমনকি ছোট্ট মেয়েকে ধর্ষণের মতো হুমকি বিষয় নিয়ে। আর যা নিয়ে সরগরম হতে দেখা গিয়েছিল সোশ্যাল মিডিয়াতে। তবে বিতর্ক যে তাঁর পিছু ছাড়তে রাজি নয়, সে কথাই আবারো প্রমাণ হয়ে গেল। জানা গেছে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদকে হারালেও বিতর্কে জড়িয়েছেন ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। আর নিয়ে সম্প্রতি বিতর্ক শুরু হয়েছে ক্রিকেটমহলে।

কিন্তু ঠিক কি হয়েছিল সেদিন? জানা যাচ্ছে, সিএসকে অধিনায়ক মহেন্দ্র সিংহ ধোনির চোখরাঙানিতেই নাকি ভয় পেয়ে ওয়াইড দিতে গিয়েও দেননি আম্পায়ার পল রাইফেল। আর এমনই চর্চাতে উত্তেজনা শুরু হয়েছে ক্রিকেটমহলে। যা নিয়ে নেট জনতা তথা ক্রিকেট প্রেমীদের তোপের মুখে পড়তে দেখা গেছে স্বয়ং এসএসডিকে।

বস্তুত, পেসার শার্দূল ঠাকুরের একটি বল ব্যাটসম্যানের থেকে দূরে থাকায় ওয়াইড হয়েছিল বলে দেখা গেলেও পরের বলও একই ভাবে ছিল দূরে থাকে। এরপরই আম্পায়ার পল রাইফেল যা দেখে দু’হাত ছড়িয়ে ওয়াইডের সঙ্কেত করতে গিয়েছিলেন। কিন্তু, কাহানি মে টুইস্ট হল, এইসময় নাকি ক্রুদ্ধ ধোনির হাব-ভাব দেখে তিনি ওয়াইডের সঙ্কেত করেননি। অন্যদিকে রিপ্লেতেও নাকি বল ওয়াইড হতেই দেখা গিয়েছিল। কিন্তু, ধোনির প্রতিক্রিয়াতেই নাকি সিদ্ধান্ত বদলান আম্পায়ার।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বস্তুত এরপরই ক্ষোভ দেখা যায় ক্রিকেট অনুরাগীদের মধ্যে। অনেককেই সোশ্যাল মিডিয়ায় এই নিয়ে সমালোচনা করতে দেখা যায়। অনেকেই বলেন এই আম্পায়ারিং অত্যন্ত লজ্জাজনক। এটা একেবারেই ক্রিকেটের স্পিরিটের বিরুদ্ধে। সেইসঙ্গে অনেকের মতে, ধোনি স্টাম্পের পিছনে থাকলে ব্যাটম্যানের থেকে আম্পায়াররাই বেশি ভয় পায়।

সেইসঙ্গে তুলধনা করতে দেখা গেছে পল রাইফেলকে। অনেকের মতে এই আম্পায়ার বিশ্বকাপ জিতেছেন এবং ১৩৭ টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তাই তাঁর কাছে ধোনির মতো এমন এক খেলোয়ারের গুরুত্ব কোথায়, যে তিনি নিজের সিদ্ধান্ত বদলে ফেলেছেন। আর এটাই যদি নিয়ম হয়, তবে এর থেকে দুর্বল আম্পায়ারিং আর কিছু হয়না।

অনেকের মতে আবার এটা প্রথম নয়, এর আগেও ধোনির চাপে আম্পায়ারদেরকে এমন করতে দেখা গেছে। তবে এর থেকে শিক্ষা নিয়েই ঘটনার যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত বলেই মনে করেছেন অনেকে। অনেকে আবার যদি ধোনি সবকিছু ঠিক করে দেবেন, তাহলে আম্পায়ারদের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।

অনেকের মতে এমন খেলা দেখতে কেউই অভ্যস্ত নন। ধোনি কি এভাবেই নিজের প্রতিক্রিয়া দিয়ে আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত পাল্টে ফেলতে পারেন? সেই ক্ষমতা নিয়েও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে কিছু মানুষকে। তবে যদিও এই বিষয়ে আপাতত আইপিএল কর্তৃপক্ষ বা মহেন্দ্র সিং ধোনির দলের তরফে কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি, তবে ভবিষ্যতে এর কি প্রতিক্রিয়া আসে, এখন সেটাই দেখার অপেক্ষা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!