এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতি? সামনে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে বড়সড় আর্থিক দুর্নীতি? সামনে এল চাঞ্চল্যকর রিপোর্ট


এবার ফের দুর্নীতির ঘটনায় সামনের সারিতে উঠে এল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের কো অপারেটিভের নাম। সূত্রের খবর, অডিটে এক হিসেব থাকলেও ব্যাঙ্কে রয়েছে আরেক হিসেব। আর তাই বিশ্ববিদ্যালয়ের কো অপারেটিভের বিরুদ্ধে আট দফার অভিযোগ তুলে কদিন আগেই ক্রেডিট সোসাইটির কর্তারা সরকারের কাছে একটি চিঠি পাঠায়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতে গত জুলাই মাসে সেই ঘটনার তদন্ত করে একটি রিপোর্টও জমা পড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে।

সেখানেই তদন্তকারী অফিসারেরা জানিয়ে দেন যে, ২০১১ থেকে ১৬ পর্যন্ত এই সমবায়ের পাশবুক পরীক্ষা করে দেখা গেছে, ক্রেডিট সোসাইটি অনুমতি না দিলেও তৎকালীন পদাধিকারিদের একাংশ এই অ্যাকাউন্টে কাজকর্ম করার জন্য তৃতীয় পক্ষকে দ্বায়িত্ব দিয়েছে। অভিযোগ, ২০১৩-র ২৭ শে এপ্রিল একটি চেকের সাহায্যে ১ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা তোলা হয়। ফলে ব্যাঙ্কও এব্যাপারে জড়িত আছে বলে মনে করছেন অনেকে।

আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এদিকে এই সমবায়ের কাজে পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দেওয়া হলেও সেখানকার নথিতে তার কিছুই উল্লেখ নেই। এছাড়াও এই ক্রেডিট সোসাইটির ১২ টি সিআইএফ নম্বরেরও খোঁজ পাওয়া গেছে। রিপোর্ট মোতাবেক জানা গেছে, ২০০৩-৪ থেকে ২০১৫-১৬ পর্যন্ত ব্যাঙ্কে থাকা টাকার সাথে অডিটের প্রচুর গরমিল আছে। আর এই গরমিল প্রতিবারই পাওয়া যায় বলে জানাচ্ছেন অনেকে।

সূত্রের খবর, ২০১৫-১৬ তে অডিটে ৫ লক্ষ ৪২ হাজার ৫১০ টাকা থাকলেও ব্যাঙ্কে সেই টাকার পরিমান মোটে ১ লক্ষ ৬৯ হাজার ১৯২ টাকা। এদিকে এই রিপোর্ট সম্পর্কে ক্রেডিট সোসাইটির সম্পাদক শুভেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, “সরকারি ও আমাদের অভ্যন্তরীন রিপোর্টে অনেক মিল রয়েছে”। জানা গেছে, গত ২৭ শে জুলাই এই রিপোর্ট সোসাইটির সাধারন সভায় পেশ করে যারা এই টাকা নয়ছয়ে যুক্ত তাঁদের থেকেই সেই টাকা তোলার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সব মিলিয়ে কো অপারেটিভের দুর্নীতি নিয়ে বড়সড় অস্বস্তিতে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!