মুখ গেল মমতার, আদালতের রায় পেয়েই উচ্ছ্বসিত শুভেন্দু! উত্তাল রাজ্য! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 9, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বারবার আদালতের দরজায় গিয়ে মুখ পুড়তে শুরু করেছে এই রাজ্যের তৃণমূল সরকারের। কিন্তু তারপরেও তাদের লজ্জা নেই। বারবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসন সেই একই ভুল করছে। যে ভুল করে আদালতে ধাক্কা খাচ্ছে তারা। শুভেন্দু অধিকারী আগামী 10 মার্চ একটি সভা করার ব্যাপারে আবেদন করেছিল। কিন্তু প্রত্যাশিতভাবেই সেই সভায় অনুমতি না দিয়ে এই রাজ্যের পুলিশ আবার প্রমাণ করেছে, তারা দলদাস হয়ে গিয়েছে। তবে আদালত অবশ্য এই ফ্যাসিস্ট প্রশাসনের থোতা মুখ ভোতা করে দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, তারা সব অন্যায়কে প্রশ্রয় দেবে না। যেখানে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। আর তারপরেই এই পুলিশ প্রশাসনের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার পাশাপাশি আদালতের রায়কে স্বাগত জানিয়েছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। প্রসঙ্গত, এদিন আদালতের পক্ষ থেকে শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করার ব্যাপারে অনুমতি দেওয়া হয়। আর তারপরেই অস্বস্তিতে পড়ে যায় এই রাজ্যের প্রশাসন। যেখানে প্রশাসনকে তুলোধোনা করে একটি পোস্ট করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি লেখেন, “ব্যর্থ রাজ্য প্রশাসনের তরফে সন্দেশখালিতে আমার জনসভা আটকানোর যে নির্লজ্জ প্রচেষ্টা, তা মহামান্য হাইকোর্টের ধূলিসাৎ করে দিয়েছে। আমি আদালতের এই রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি।” তবে সকলের একটাই প্রশ্ন যে, জেনেশুনে এই ভুল করার কি কোনো মানে হয় এই রাজ্যের সরকারের? বিন্দুমাত্র গণতান্ত্রিক চেষ্টা যদি তারা এই রাজ্যে রাখত, তাহলে তো কোনো ভুল হত না। কিন্তু কেন এই রাজ্যের প্রশাসন বারবার বিরোধীদের সভা আটকে দিয়ে সেই এক ভুল করার চেষ্টা করছে? এর ফলে তো প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে, এই রাজ্যে গণতন্ত্র নেই। প্রমাণ হয়ে যাচ্ছে যে, শুভেন্দু অধিকারী যে সমস্ত অভিযোগ করছেন, তা সত্যি। আর তার ফলেই প্রতি পদে পদে মুখ খাওয়া হচ্ছেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী বলেই মনে করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, ক্ষমতায় বসে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মধ্যে এক আমূল পরিবর্তন লক্ষ্য করা যাচ্ছে। যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী নেত্রী থাকার সময় রাজ্যে গণতন্ত্র নেই বলে চিৎকার চেঁচামেচি করতেন, তার আমলেই তিনি সব থেকে বেশি গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করছেন। আর এটা আজকে সাধারণ মানুষ বা বিরোধীদলকে বলতে হচ্ছে না। একদম আদালতের পক্ষ থেকেও একের পর এক নির্দেশ দিয়ে বুঝিয়ে দেওয়া হচ্ছে যে, এই রাজ্যের প্রশাসন কতটা ফ্যাসিস্ট। তবে দিনের শেষে রাজ্যের মানুষের মনে, প্রতিবাদীদের মনে, বিরোধীদের মনে একটা বিশ্বাস তৈরি হয়েছে যে, পুলিশের কাছে গিয়ে সুবিচার না পাওয়া গেলেও শেষ ভরসা আদালত। তবে নিজেদের চোখের সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একের পর এক ধাক্কা খাওয়ার পর শিক্ষা নেবেন কিনা, সেটাই বড় প্রশ্ন। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -