এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > শুভেন্দুর সভায় অনুমতি, ফের আদালতে মুখ পুড়লো মমতা পুলিশের!

শুভেন্দুর সভায় অনুমতি, ফের আদালতে মুখ পুড়লো মমতা পুলিশের!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আর কতবার শুভেন্দু অধিকারীকে আটকাতে গিয়ে মুখ পোড়াবে এই রাজ্যের সরকার? কেন এই রাজ্যের পুলিশ মন্ত্রী বুঝতে পারছেন না যে, তার অন্যায় আবদার সব জায়গায় খাটবে না। অতীতেও বিভিন্ন জায়গায় বারবার শুভেন্দু অধিকারীকে সভা করা থেকে বাধাদান করার চেষ্টা করা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্যের বিরোধী দলনেতা আদালতে গিয়ে শেষ পর্যন্ত জয় নিয়ে এসে এই সরকারের মুখের ওপর ঝামা ঘষে দিয়ে প্রমাণ করে দিয়েছেন যে, ফ্যাসিস্ট প্রশাসন হয়ত সভার অনুমতি দেবে না। কিন্তু শেষ ভরসা আদালত। তাই সেখান থেকেই বারবার তারা অনুমতি নিয়ে আসবে। আর এবারেও যে ঘটনা ঘটলো, তাতে আরও একবার আদালতের দরজায় গিয়ে প্রবল ধাক্কা খেলো এই রাজ্যের পুলিশ। আগামী 10 তারিখে শুভেন্দু অধিকারী ন্যাজাট থানার অন্তর্গত দক্ষিণ আক্রাতলায় একটি সভা করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু সেখানেও পুলিশের বাধাদানের প্রক্রিয়া শুরু হয়। আর তার পরিপ্রেক্ষিতেই আদালতে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আজ সেই আদালতের পক্ষ থেকে যে কথা বলা হলো, তাতে প্রবল অস্বস্তি তৈরি হয়েছে শাসক দলের মধ্যে।

সূত্রের খবর, পুলিশের পক্ষ থেকে বাধা দেওয়ার পরেই আদালতে পৌঁছে যান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। আগামী 10 মার্চ যাতে তিনি সভা করতে পারেন, তার জন্য আদালতের কাছে আবেদন করেন। আর তারপরেই আজ আদালতের পক্ষ থেকে এই রাজ্যের প্রশাসনকে একটি প্রশ্ন করা হয়েছে। বিচারপতি বলেন, ‘সভার অনুমতি না দিয়ে কাকে রক্ষা করতে চাইছেন? সভা আটকাতেই কি ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে?” অর্থাৎ আদালত বুঝতে পেরেছে যে, এই রাজ্যের সরকার বেছে বেছে সেখানেই আইন কানুন মানছে, যেখানে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিরোধী দলের নেতা নেত্রীরা সভা করতে চাইছেন। এক্ষেত্রেও যে তাই হয়েছে, এটা আদালতের আর বুঝতে বাকি নেই। তাই তারা শুভেন্দু অধিকারীকে সেইদিন সকাল 10 টা থেকে বিকাল 5 টা পর্যন্ত সভা করার অনুমতি দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছে, এইসব ফ্যাসিস্ট নীতি পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে চলবে না।

পর্যবেক্ষকদের মতে, আরও একবার এই রাজ্যের প্রশাসনের মুখ পুড়লো শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। তারা বারবার ধাক্কা খাচ্ছে, বারবার আদালতে গিয়ে শুভেন্দু অধিকারী প্রমাণ করে দিচ্ছেন যে, মিথ্যে কথা বললে তার পরিণাম ভালো হয় না। তাকে আটকানোর চেষ্টা যদি এই রাজ্যের পুলিশ করে, তাহলে আদালতের কাছে তাদের ধাক্কা খেতে হবে। এক্ষেত্রেও সেটাই হলো। কিন্তু এত কিছুর পরেও এই রাজ্য সরকার এবং পুলিশ মন্ত্রী কি শিক্ষা নেবেন! নাকি নির্লজ্জভাবে আবার তারা বাধাদান করবার জন্য আদালতের এই নির্দেশকে অমান্য করে অন্য রাস্তায় হাঁটবেন? যদি তাই করেন, তাহলে ভবিষ্যৎ কিন্তু এই সরকারের কাছে আরও সংকটজনক হয়ে দাঁড়াবে। কারণ আদালতের কাছে যত সময় যাচ্ছে, ততই স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, বিরোধীদের ভয় পাচ্ছে এই রাজ্যের সরকার। তারা গণতান্ত্রিক অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। আর সেই কারণেই শুভেন্দু অধিকারীর সভার পক্ষেই রায় দিয়ে নবান্নকে অস্বস্তিতে ফেলে দিল কলকাতা হাইকোর্ট। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!