এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > এবার কি দল ছাড়ছেন চিরঞ্জিত? নয়া বক্তব্যে অস্বস্তিতে তৃণমূল!

এবার কি দল ছাড়ছেন চিরঞ্জিত? নয়া বক্তব্যে অস্বস্তিতে তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতিতে যত সময় যাচ্ছে, যতই ভালো মানুষদের সংখ্যা কমে যাচ্ছে। একটা অংশের মানুষরা, যারা একটা সময় মানুষের ভালোর জন্য এই রাজনীতিতে নাম লিখিয়েছিলেন, তারা এখন এই রাজনীতি থেকে দূরে সরে যেতে চাইছেন। কেন এমনটা হচ্ছে বলুন তো? এর জন্য যদি কেউ দায়ী হয়ে থাকে, তাহলে তার নাম তৃণমূল কংগ্রেস। কারণ এদের ভুল নীতি এবং এদের ওপর মানুষ অনেক ভরসা করে থাকা সত্ত্বেও সেই সমস্ত প্রতিশ্রুতি পূরণ না করে তারা যে সর্বনাশ এই রাজ্যের করেছে, তাতে সকলেই এই দল থেকে মুখ ফিরিয়ে নিতে শুরু করেছে। এমনকি তাপস রায়ের মত ব্যক্তিত্ব তিনিও ২৩ বছরের সম্পর্ক ত্যাগ করে যোগ দিয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। আর এসবের মাঝেই বারাসাতের তৃণমূল বিধায়ক তথা বিশিষ্ট অভিনেতা চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর একটি মন্তব্য আরও জল্পনা বাড়িয়ে দিয়েছে। প্রবল অস্বস্তি তৈরি করেছে তৃণমূলের মধ্যে। কিন্তু কি এমন বললেন এই তৃণমূল বিধায়ক?

প্রসঙ্গত, এদিন একটি কর্মসূচিতে চিরঞ্জিত চক্রবর্তী যে বক্তব্য রেখেছেন, তা ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে দেখা যাচ্ছে যে, চিরঞ্জিতবাবু রাজনীতি থেকে অবসর নেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছেন। তিনি নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরছেন যে, তিনি আর রাজনীতিতে থাকতে চান না। তিনি এবার সরে যাবেন। এমনকি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তিনি বারবার বলা সত্ত্বেও নেত্রীর কারণে তিনি এই রাজনীতিতে রয়েছেন। তবে এবার তিনি বিদায় নেবেন। অনেকে বলছেন, এই চিরঞ্জিত চক্রবর্তী কিন্তু আজ থেকে দলের সঙ্গে যুক্ত নন। তিনি তৃণমূলের সঙ্গে অনেকদিন ধরেই যুক্ত রয়েছেন। স্বাভাবিকভাবেই তাপস রায়ের পর যদি তার গলাতেও এইরকম সুর শোনা যায় এবং সত্যি সত্যিই যদি চিরঞ্জিত চক্রবর্তী দল থেকে বিদায় নেন, তাহলে কিন্তু এটা বর্তমান সময়ে তৃণমূলের কাছে অত্যন্ত চাপের বিষয় হবে।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে তার দলের এক গভীর দুঃসময় দেখতে হবে। তিনি পুরনো নেতাদের এক ফোঁটাও সম্মান দেননি। যার ফলে তাপস রায় নিজের মান, ইজ্জত এবং মেরুদন্ড সোজা রেখে দল পরিবর্তন করতে বাধ্য হয়েছেন‌। ভবিষ্যতে এরকম দিন আসছে, এই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার দলের একের পর এক ভ্রান্ত নীতি এবং পশ্চিমবঙ্গকে পিছিয়ে দেওয়ার কারণেই অনেক নেতা রাজনীতি থেকে অবসর নিয়ে নেবেন। আবার অনেক ভালো মানুষরা এই দলের প্রতি বিরক্ত হয়ে অন্য দলে যোগ দিতে পারেন। কারণ আর যাই হোক, যারা একটু বিবেকবোধ নিয়ে বেঁচে থাকতে চান, যারা মানুষের কাজ করতে চান, তাদের জন্য যে তৃণমূল কংগ্রেস নয়, এটা স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই চিরঞ্জিত চক্রবর্তীর মত মানুষ যে রাজনীতির ময়দানে থেকে অত্যন্ত বিরক্ত, তা তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে আরও একবার প্রমাণিত হয়ে গেল। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!