মমতার কারণে লজ্জিত বাংলা, ফের সন্দেশখালি নিয়ে সোচ্চার বিজেপি! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য March 9, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-একজন মুখ্যমন্ত্রী কি করে ক্ষমতায় বসে এত পরিবর্তন হতে পারেন! সত্যিই এটা হয়ত এই রাজ্যের বর্তমান পুলিশ মন্ত্রীকে না দেখলে বোঝা যেত না। তিনি যে পরিস্থিতি রাজ্যের তৈরি করেছেন, আজকে সন্দেশখালির মত ঘটনা ঘটে যাওয়ার পরেও এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় গলায় কথা বলছেন। এমন একটা ভাব দেখাচ্ছেন, যেন কিছুই হয়নি। তার সরকার যেন সাথে সাথেই সব পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু যে তৃণমূল কংগ্রেস সুশাসনের কথা বলে, সেই দলের নেতারা কেন মহিলাদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলবে! সেটাই তো বড় প্রশ্ন। কেন তৃণমূল নেতারা এত বড় অপকর্ম করার সাহস পাবেন, যখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী! কেন বাংলার মহিলাদের অভাব অভিযোগের কথা শুনে প্রধানমন্ত্রীকে ছুটে আসতে হবে? স্বাভাবিকভাবেই সন্দেশখালীর মত একটা ঘটনা কিন্তু গোটা দেশ এবং গোটা সমাজের কাছে এই বাংলার মাথাকে নিচু করে দিয়েছে। যত দিন যাচ্ছে, ততই সন্দেশখালিকে কেন্দ্র করে যে সমস্ত তথ্য সামনে আসছে, তা চমকে দেওয়ার মত। তাই তৃণমূলের পক্ষ থেকে যতই ভয় দেখানোর চেষ্টা হোক, যতই অন্যদিকে ইস্যু ঘুরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হোক, সন্দেশখালি যে ক্ষত তৈরি করেছে, তাতে তৃণমূলের জন্যেই পিছিয়ে পড়েছে বাংলা। এদিন বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ যে কথা বললেন, তারপর আরও চাপে পড়ে গেল এই রাজ্যের শাসক দল। প্রসঙ্গত, এদিন সন্দেশখালি নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য করেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “সন্দেশখালি সকলের সামনে বাংলার মাথাকে নত করে দিয়েছে। সেই কারণেই আজকে প্রধানমন্ত্রীকে ছুটে আসতে হয়েছে। সন্দেশখালি মহিলাদের সঙ্গে কথা বলতে হয়েছে।” অনেকে বলছেন, একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, তার আমলে কি করে এত জঘন্যতম ঘটনা ঘটতে পারে! আর সবটাই তো মিথ্যা হতে পারে না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না হলে গায়ের জোরে পুলিশ দিয়ে ভয় দেখিয়ে সবাইকে চুপ করাতে পারেন। কিন্তু সন্দেশখালির মা-বোনেরা অত্যাচার সহ্য করতে করতে তাদের দেওয়ালে পিঠ থেকে গিয়েছে জন্যই আজকে তারা মুখ খুলতে শুরু করেছেন। কি ভয়ংকর কষ্টের মধ্যে তারা এতকাল ছিলেন, এটা তারা প্রকাশ করে দিয়েছেন। আর সেই কারণেই এই রাজ্যের শাসক দল বুঝতে পেরেছে যে, তাদের চালাকি, তাদের অত্যাচার ধরা পড়ে গিয়েছে। তাই এখন অন্যদিকে ইস্যু ঘোরানোর মরিয়া চেষ্টা হচ্ছে। তবে এসব করে যে লাভ নেই, সন্দেশখালি যে পরিস্থিতি তৈরি করেছে, যেভাবে সাধারণ মানুষের চোখ খুলে দিয়েছে, তাতে গোটা রাজ্য যে তৃণমূলের ওপর বিরক্ত, তা প্রতি মুহূর্তে স্পষ্ট হচ্ছে বলেই মনে করছেন একাংশ। পর্যবেক্ষকদের মতে, যে যাই বলুক না কেন, বিগত বাম আমলের শেষের দিকে যেভাবে নন্দীগ্রাম, সিঙ্গুরের আন্দোলন পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করেছিল, বর্তমান সরকারের মধ্যেও কিন্তু সেই রকম একটা প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এই সরকারের একের পর এক কর্মকাণ্ড নিয়ে মানুষ যখন বিরক্ত, তখন সন্দেশখালি ইঙ্গিত দিচ্ছে যে, রাজ্যে আবার একটা পরিবর্তন হতে চলেছে। শাসককে তখন কেউ ভয় পায় না, যখন মানুষের সর্বস্ব হারিয়ে যায়। এক্ষেত্রেও কিন্তু তেমনটাই হয়েছে। সন্দেশখালির মা বোনেরা আজকে কোনো ভয়ের কাছে মাথা নত না করে চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদ করছেন। আর সেই কারণেই দিকে দিকে সন্দেশখালি হয়ে রয়েছে। তারাও ধীরে ধীরে প্রতিবাদে সামিল হবেন। তাই মাতৃশক্তির এই কান্না স্বাভাবিকভাবেই রবিঠাকুর, বিবেকানন্দের বাংলার মাথা অনেকটাই নত করে দিয়েছে। শুধুমাত্র তৃণমূলের এই অপকীর্তি করা নেতাদের জন্য লজ্জায় পড়ে গিয়েছে গোটা বাংলা। দিলীপ ঘোষের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -