এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নতুন পালক মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটে – তাঁর লেখা ‘থিম-সং’ জিতে নিল ‘বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান’

নতুন পালক মুখ্যমন্ত্রীর মুকুটে – তাঁর লেখা ‘থিম-সং’ জিতে নিল ‘বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান’

পশ্চিমবঙ্গ সরকার আয়োজিত বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান ২০১৮ ঘোষিত হতেই জয়জয়কার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রচিত থিম সং তথা আবহ সঙ্গীতের। নন্দন চত্বরে একটি সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করে ১১ টি বিভিন্ন বিভাগের মধ্যে শহর ও শহরতলির সেরা ৭৫ টি পুজো কমিটির নাম ঘোষণা করলেন তথ্য-সংস্কৃতি দপ্তরের রাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেন। অন্যান্য বিভাগে একাধিক পুজো কমিটি জায়গা করে নিলেও সেরা আবহ সংগীত বিভাগে স্থান পেল শুধুমাত্র একটি ক্লাব। আর একটি বিশেষ সম্মানটি অর্জন করেছে নিউ আলিপুরের সুরুচি সঙ্ঘের পুজো।

এই পুজো কমিটির আবহ সঙ্গীতটি শুধু লেখাই নয় – সুরও দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই। সুরুচি সঙ্ঘের পুজো কমিটির কর্মকর্তা রাজ্যের পূর্ত তথা ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। একথার উল্লেখ করেছিলেন ইন্দ্রনীলবাবু এবারের পুজোয় সেরা থিম সং-এর ঘোষণা করতে গিয়ে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি সেরার সেরা বিভাগেও জয়ের খেতাব ছিনিয়ে নিয়েছেন শাসকদলের প্রথমসারির নেতা মন্ত্রীরা। সুরুচি সঙ্ঘ, চেতলা অগ্রণী, নাকতলা উদয়ন সঙ্ঘ, শ্রীভূমি স্পোর্টিং ক্লাব, ত্রিধারা, টালা পার্ক বারোয়ারি, শিবপুর মন্দিরতলা সাধারণ দুর্গোৎসব – এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না – তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

কসবা শীতলামন্দির, টালা প্রত্যয়, অজেয় সংহতি, মুদিয়ালি সহ মোট ১১টি পুজো কমিটি জিতে নিয়েছে ২০১৮ এর সেরা প্রতিমার পুরস্কারটি। বাগবাজার সর্বজনীন এবং একডালিয়া এভারগ্রিন বিশ্ববাংলা সম্মানে ছিনিয়ে নিল সেরা সাবেকি পুজোর সম্মানটি। সেরা ব্র্যান্ডিং-এর শিরোপা পেল বেহালা নতুন সঙ্ঘ এবং রামনগর পুলিস ক্যাম্প দুর্গোৎসব কমিটি। হিন্দুস্থান ক্লাব, কলেজ স্কোয়ার, ৬৪ পল্লি, সিমলা ব্যায়াম সমিতি, খিদিরপুর ২৫ পল্লি, মানিকতলা চালতাবাগান সেরা আলোকসজ্জা ক্যাটিগারিতে স্থান পেয়েছে। বিশ্ববাংলা শারদ সম্মানে সম্মানিত এই ৭৫টি ক্লাব কমিটি আগামী ২৩ অক্টোবর রেড রোডে আয়োজিত দুর্গা কার্নিভালে অংশ নেবে – এমনটাই সাংবাদিক সম্মেলনে জানিয়েছেন ইন্দ্রনীল সেন।

প্রসঙ্গত, বাঙালি জীবনের শ্রেষ্ট উৎসবকে আরও রঙ্গিন করতে প্রথমে এক রঙ কোম্পানি ও পরে এক নারিকেল তেল কোম্পানি এই শারদ-সম্মানকে অন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। তৎকালীন সময়ে এই দুই শারদ সম্মান পাওয়া পুজো কমিটিগুলির কাছে পাখির চোখ হয়ে ওঠে। পরবর্তীকালে, বিভিন্ন অন্যান্য কোম্পানি – এমনকি বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমও নিজেদের এই পুরস্কার চালু করে। কিন্তু, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্যোগে ‘বিশ্ববাংলা শারদ সম্মান’ শুরু হতেই বাকি সব যেন ফিকে পড়ে যায়। আর এবারের, বাঙালির শ্রেষ্ঠ উৎসবের আয়োজনে কোনো খামতি রাখেননি মুখ্যমন্ত্রী – এমনকি ২৮ হাজার পুজো কমিটিকে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২৮ কোটি টাকার অনুদানও দিয়েছেন।

তাঁর সেই অনন্য উদ্যোগে পাশে পেয়েছেন দলীয় সহযোদ্ধাদেরও – রাজ্যের শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেসের প্রায় সব হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী জাতি-ধর্মের বিভেদ ভুলে মুখ্যমন্ত্রীর অনুপ্রেরণায় শারোদৎসবকে একান্ত করে নিয়েছেন। আর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দুর্গাপুজোকে বাংলার বুকে ‘ব্র্যান্ড’ হিসাবে প্রতিষ্ঠা করে এবার তা বিশ্ব-দরবারে প্রতিষ্ঠা করতে চান। আর তাই আন্তর্জাতিক টিভি চ্যানেলে দুর্গাপুজো দেখানোর ব্যবস্থা করেছেন। আর তাই, যেভাবে দুর্গাপুজো উদযাপনের মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতিকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরছে মা-মাটি-মানুষের সরকার – সেখানে নিজের সৃষ্টির জন্য তৃণমূল নেত্রীর রাজ্য-সরকারের পুরস্কার ও স্বীকৃতি পাওয়া একটি অন্য মাত্রা যোগ করল – এমনটাই মনে করছেন ওয়াকিবহালমহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!