এবার মুখ্যমন্ত্রীর ঘুম ছোটাতে কৃষিঋণ মকুব ও উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দামসহ একাধিক দাবিতে মাঠে নামছেন সারা ভারত কৃষকসভা রাজ্য December 27, 2018 এবার মহারাষ্ট্রের অনুকরণে কৃষিঋণ মকুব ও উৎপাদিত ফসলের ন্যায্য দাম সহ একগুচ্ছ দাবীকে সামনে রেখে উত্তরবঙ্গের কৃষকদের নিয়ে মাঠে নামার পরিকল্পনা সারা ভারত কৃষকসভার। লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য সরকারকে চাপে ফেলতে বামেদের উদ্যোগে উত্তরকন্যায় লংমার্চ শুরু করল এই কৃষক সংগঠন। এর জন্যে গত রাত থেকে শিলিগুড়ি শহর এবং আশেপাশের এলাকা থেকে বাড়ি বাড়ি ঘুরে রুটি সংগ্রহ করা হল। কৃষকদের মুখে খাবার তুলে দেওয়ার জন্যে এক লাখ রুটি সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। এই অভিযান কর্মসূচি প্রচারের জন্যে এবং জনসংযোগ তৈরির স্বার্থেই বাড়ি বাড়ি গিয়ে রুটি সংগ্রহের অভিযানে নামেন শিলিগুড়ির বাম নেতা-কর্মীরা। বামফ্রন্ট সূত্রের খবর অনুযায়ী,প্রায় ১০ হাজার কৃষক এই লং মার্চে সামিল হতে সকাল থেকে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে শিলিগুড়িতে এসে হাজির হয়েছেন। বেলা ১১ টায় শুরু হয়েছে এই অভিযান। তবে অভিযানের আগের কর্মসূচি হিসাবে কৃষকদের হাতে গতরাতের সংগৃহীত রুটি তুলে দেওয়া হল। মহারাষ্ট্রের কৃষক আন্দোলনের নেতাদের এই অভিযান সফল করার জন্যে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন শিলিগুড়ির মেয়র ও সিপিআইএম নেতা অশোক ভট্টাচার্য। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এই অভিযান প্রসঙ্গে শিলিগুড়ি পৌরনিগমের মেয়র পারিষদ শংকর ঘোষ জানান, ৬০ হাজার রুটি সংগ্রহ করার লক্ষ্যমাত্রা রাখা হয়েছিল। কিন্তু লক্ষ্যমাত্রাকে ছাপিয়ে ১ লক্ষ রুটি সংগ্রহ করা গিয়েছে। বাড়ি বাড়ি ঘুরে রুটি সংগ্রহ করা হল কেন? এই প্রশ্ন করা হলে জবাবে তিনি জানান,কৃষকদের আন্দোলন সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে সচেতন করার জন্য এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল। সেই জনসংযোগ বাড়ানোর উদ্দেশ্য সফল হয়েছে। উদাহরণস্বরূপ বললেন,একজনের বাড়ি থেকে রুটি সংগ্রহ করার সময় তাঁর প্রতিবেশীরাও সহায়তার হাত বাড়িয়ে দেন৷ এর ফলে কৃষকসভার অভিযানের কথা চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। উল্লেখ্য, শিয়রে লোকসভা ভোট৷ এই মুহূর্তে কৃষকরা যদি একাধিক দাবীকে সামনে রেখে রাজ্যসরকার বিরোধী কর্মসূচিতে পথে নামে তাহলে স্বাভাবিকভাবেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হবে। এদিনের শুরু হওয়া এই লং মার্চ যদি সফল হয় তাহলে মা মাটি মানুষের সরকারকে বেশ বেগ পেতে হবে বলেই মনে করছেন বিশ্লেষকরা। এই অবস্থায় বিক্ষুব্ধ কৃষকদের মন পেতে এবং নির্বাচনের জন্য কৃষকদের ভোটব্যাঙ্ক দখলে রাখতে রাজ্যসরকার কোনো ইতিবাচক পদক্ষেপ নেয় কিনা সেটাই দেখার! আপনার মতামত জানান -