এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > “বিজেপি ও ধৃতরাষ্ট্রের জন্য করোনা বেড়েছে” কমিশনকেই কি ধৃতরাষ্ট্রের তত্ত্ব? অনুব্রতর মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা!

“বিজেপি ও ধৃতরাষ্ট্রের জন্য করোনা বেড়েছে” কমিশনকেই কি ধৃতরাষ্ট্রের তত্ত্ব? অনুব্রতর মন্তব্যে বাড়ছে জল্পনা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাকে দু-দুবার নোটিশ দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, বীরভূমে নির্বাচনের আগে কমিশনের পক্ষ থেকে নজরবন্দি করা হয়েছিল বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলকে। এক সময় নির্বাচন কমিশনকে “ধৃতরাষ্ট্র” বলে শোরগোল তুলে দিয়েছিলেন তিনি। যার পরিপ্রেক্ষিতে কমিশনের পক্ষ থেকে তাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছিল নোটিশ। তবে পরবর্তী সময়কালে আর কমিশনের নাম করে কোনো আক্রমণ করতে দেখা যায়নি বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে।

কিন্তু অষ্টম দফায় বীরভূমের নির্বাচন শেষ হতে না হতেই ফের ধৃতরাষ্ট্রের কথা শোনা গেল অনুব্রত মণ্ডলের গলায়। যার ফলে তিনি আবার কি নির্বাচন কমিশনকে “ধৃতরাষ্ট্র” বলে আক্রমণ করলেন! এখন তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বলা বাহুল্য, বীরভূমের নির্বাচন শেষ হতে না হতেই সাংবাদিক বৈঠক করেন অনুব্রত মণ্ডল। আর সেখানেই করোনা বৃদ্ধি নিয়ে বিজেপিকে দায়ী করেন তিনি। পাশাপাশি এই করোনা বৃদ্ধির জন্য “ধৃতরাষ্ট্র দায়ী” বলে দাবি করতে দেখা যায় তাকে।

সূত্রের খবর, এদিন সাংবাদিক সম্মেলনে অনুব্রত মণ্ডল বলেন, “নির্বাচন শেষ হল। করোনা প্রচুর বেড়ে গেল। আর এই করোনা বৃদ্ধি করল বিজেপি এবং ধৃতরাষ্ট্র।” আর অনুব্রত মন্ডলের এই মন্তব্য নিয়ে এখন তৈরি হয়েছে জল্পনা। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূলের প্রতিটি স্তরের নেতা কর্মীরা ভোটের দফা বৃদ্ধির জন্য করোনা ভাইরাস বাংলায় এত ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে বলে অভিযোগ করেছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক্ষেত্রে বারংবার নির্বাচন কমিশনের পদ্ধতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তারা। সেদিক থেকে অনুব্রত মণ্ডল একসময় নির্বাচন কমিশনকে “ধৃতরাষ্ট্র” বলে কটাক্ষ করেছিলেন্ আর নির্বাচন শেষের পর করোনা বৃদ্ধির জন্য একদিকে যেমন তিনি বিজেপিকে দায়ী করলেন, ঠিক তেমনই “ধৃতরাষ্ট্র” বলে নাম না করে কমিশনকে কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন বলেই দাবি করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অর্থাৎ যে “ধৃতরাষ্ট্র” বলার জন্য একসময় নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে তাকে নোটিশ পাঠানো হয়েছিল, এবার আর নাম না করে হলেও নিজেরেই কৌশলী মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে করোনা বৃদ্ধির জন্য বিজেপি এবং নির্বাচন কমিশনকে কার্যত একবাক্যে আক্রমণ করলেন বীরভূম জেলা তৃণমূলের সভাপতি বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, নির্বাচন শেষের পর আর কোনো বিতর্কে যেতে চাইলেন না অনুব্রত মণ্ডল। আর তাই নিজের এই মন্তব্যের মধ্যে দিয়ে করোনা ভাইরাস বৃদ্ধির জন্য একদিকে বিজেপি এবং অন্যদিকে নির্বাচন কমিশনকে দায়ী করলেন তিনি। যদিও বা নির্বাচন কমিশন সংক্রান্ত কোনো মন্তব্য করতে দেখা যায়নি তাকে। তবে তার এই ধৃতরাষ্ট্র মন্তব্য যে কমিশনকে উদ্দেশ্য করেই, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!