এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > আমপান আবহে একাধিক গাফিলতি দেখিয়ে, মমতার জন্য পরিস্থিতি আরো কঠিন করলেন তাঁরই প্রাক্তন সৈনিক শোভন চ্যাটার্জী

আমপান আবহে একাধিক গাফিলতি দেখিয়ে, মমতার জন্য পরিস্থিতি আরো কঠিন করলেন তাঁরই প্রাক্তন সৈনিক শোভন চ্যাটার্জী


৭২ ঘণ্টা পার হয়েছে , বাংলার বুকে ধ্বংসলীলা চালিয়ে বিদায় নিয়েছে আমফান। কিন্তু এখনও প্রায় প্রতিটি প্রান্তে রয়ে গিয়েছে তার ক্ষতচিহ্ন। যা মেরামতিতে লাগছে দীর্ঘ সময় উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ অংশের পাশাপাশি বিদ্যুত্‍ পরিষেবা বিপর্যস্ত কলকাতায়। জল সরবরাহেও ব্যাপক ঘাটতি। যা ঘিরে কলকাতা সহ উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিভিন্ন জায়গায় চলেছে বিক্ষোভ। সেই সব সামাল দিতেই নাজেহাল প্রশাসন। এবার নেত্রীর অস্বস্তি বাড়িয়ে মুখ খুললেন তাঁর প্রাক্তন সৈনিক ও বর্তমান বিজেপি নেতা শোভন চ্যাটার্জী।

প্রাক্তন মেয়র এদিন বর্তমান মেয়র ফিরহাদ হাকিমের দিকেই আঙ্গুল তুললেন। তিনি শনিবার পুরসভার ব্যর্থতার দিকেই অভিযোগের আঙুল তুলেছেন। এ দিন তিনি বলেন, ”রোগী ভেন্টিলেশনে চলে যাওয়ার পরে চিকিত্‍সা শুরু হচ্ছে। পুরসভা হয়তো এর গুরুত্ব বুঝতে পারেনি। আমপানের মোকাবিলায় যা যা করণীয় ছিল, তাতে ঘাটতি রয়েছে।” যা ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা।

পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে যে তারা ঠিক মতো কাজ করছে না , একাংশ তা মেনে নিচ্ছে আর দাবি করছে যে শোভনবাবু যদি আগের মতো দ্বায়ীত্বে থাকতেন তবে এই অসুবিধা হতো না, অনেক এই সচল হতো কলকাতা। আর সেই দাবিকেই মান্যতা দিলেন শোভনবাবু। তবে একাংশ বলছে শোভনবাবু ঠিক বলছেন না। আমপানের যা তাণ্ডব তাতে ব্যাবস্থা নিয়েও কিছু করা যাচ্ছে না। সব লন্ডভন্ড করে দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শোভনবাবু আরো বলেন, ”ঘোলা জলে মাছ ধরার মানসিকতা আমার নেই। তবে এই ঝড়ের পরে পুরসভার কাজ দেখে যন্ত্রণা হচ্ছে। ছ’-সাত দিন আগে থেকেই পূর্বাভাস দেওয়া হচ্ছিল। কেন আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হল না? অতীতে বিপর্যয় মোকাবিলা কী ভাবে হয়েছে, তা কারও মনে না-ও থাকতে পারে। কিন্তু রেকর্ড তো রয়েছে। সেটা দেখেই পরিকল্পনা করা যেত।”

গাছ কাটা নিয়ে তিনি বলেন, ”শুনছি, এক-একটা গাছ কাটতে তিন-চার ঘণ্টা লাগছে। কেন লাগবে? বৈদ্যুতিক করাত দিয়ে গাছ কাটতে এত সময় লাগার কথা নয়। আসলে কোথায়, কে কাজ করবেন, কার কী দায়িত্ব, বরোয় নোডাল অফিসার কারা থাকবেন, হেড অফিসে কারা থাকবেন, সেই পরিকল্পনায় খামতি ছিল। শুধু ইলেকট্রিক সাপ্লাইকে দোষ দিলে হবে না। ওদের গাইড করলেই তাতে ফল মিলত।”

পুর প্রশাসকমণ্ডলীর চেয়ারম্যান ফিরহাদ হাকিমেরও সমালোচনা করে শোভন বলেন, ”উনি যে দফতরের মন্ত্রী, সেই দফতরেরই অধীন কলকাতা পুরসভা। মেয়রও ছিলেন তিনি। আমি হলে দুটো পদে থাকতাম না।”

গাছ কাটায় দেরি নিয়ে প্রাক্তন মেয়র বলেন, ”পুরসভাকে আরও আধুনিক যন্ত্রপাতি রাখতে হবে। বিদেশে দেখেছি, ব্লেডে কাগজ কাটার মতো করে গাছ কাটা হয়। এ শহরেও সেই প্রযুক্তি প্রয়োজন।” তিনি জানান, তাঁর বাড়ির কাছেও একটি গাছ পড়েছিল। সেটি কাটতে রাত কাবার হয়ে যায়।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!