নিজের লোকেদের নিয়ে লবি প্রভাবশালী তৃণমূল নেতাদের? শীর্ষনেত্রীও থামাতে পারছেন না দ্বন্দ্ব? তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য October 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিভিন্ন জায়গায় কমিটি গঠন করে তৃণমূল কংগ্রেস এখন দলকে ঐক্যবদ্ধ করার চেষ্টা করছে। কিন্তু মালদহ জেলার ব্লক কমিটিতে জায়গা পাওয়া নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল চরম পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। যেখানে হেভিওয়েট অনেক নেতারা নিজেদের অনুগামীদের ব্লক কমিটিতে সংযুক্ত করার জন্য উঠে পড়ে লেগেছেন। যার ফলে অন্তর্কোন্দল প্রকাশ্যে আসছে। আর এতেই অস্বস্তিতে পড়েছে শাসক দল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার মোথাবাড়িতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে একটি ব্লক সম্মেলন অনুষ্ঠিত করা হয়। যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছিল। কালিয়াচক টু ব্লকের অচিনতলায় আয়োজিত সেই সম্মেলনে উপস্থিত থাকতে দেখা যায় জেলা তৃণমূলের সংখ্যালঘু সেলের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি টিঙ্কু রহমান বিশ্বাস, জেলা পরিষদের সদস্য আসাদুল আহমেদ সহ অন্যান্যদের। প্রত্যেকেরই অভিযোগ, এই সম্মেলনে তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনায় ব্যাপক বিতর্ক তৈরি হয়েছে একাংশের মতে, বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেখানে সকলকে নিয়ে চলতে চাইছে তৃণমূল কংগ্রেস, সেখানে যদি এইভাবে বাছাই করে নেতাদের কর্মী সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়, তাহলে শাসকদলের ভোটব্যাংকে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে। জানা গেছে, কিছুদিন আগে ইংলিশবাজারেও একটি কর্মী সম্মেলন হয়েছিল। যেখানে অনুপস্থিত থাকতে দেখা গিয়েছিল রাজ্যের হেভিওয়েট প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরীকে। আর এবার এই ঘটনায় নতুন করে বিতর্ক ছড়িয়ে পড়ল বলেই মনে করছেন সকলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একাংশ বলছেন, বর্তমানে ব্লক স্তরে বেশ কিছু নেতা নেত্রীদের উপর উপর তৃণমূলের শীর্ষস্তরের রাশ অনেকটা আলগা হয়ে পড়েছে। তার ফলে নিজেদের মত করে নেতা-নেত্রীরা এলাকায় দল পরিচালনা করায় তৈরি হচ্ছে দ্বন্দ্ব। এক নেতার সঙ্গে অপর নেতার ঠিকমত বনিবনা না হওয়ায় সেই দ্বন্দ্ব আরও বাড়তে শুরু করেছে। আর এই পরিস্থিতিতে ব্লক স্তরের নেতারা চেষ্টা করছেন, তাদের অনুগামীদের জায়গা করে দেওয়ার। কিন্তু তা না হওয়াতেই এবং বিরোধী গোষ্ঠীর অনেক নেতা জায়গা পাওয়াতেই তৃণমূলের অনেকে ক্ষিপ্ত হতে শুরু করেছেন। যার ফলে মালদহ জেলার বিভিন্ন ব্লকের ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। তাই এই পরিস্থিতি যদি সামাল দেওয়া না যায়, তাহলে আগামী দিন যে তৃণমূলের পক্ষে অত্যন্ত বিপদজনক হয়ে আসতে চলেছে, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। যেখানে দলের পক্ষ থেকে বারবার বলা হচ্ছে, সকলে মিলে একসাথে চলুন, সেখানে কেন এখনও পর্যন্ত গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ হচ্ছে না! এইভাবে চলতে থাকলে কিভাবে জয়লাভ করবে তৃণমূল কংগ্রেস? এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা সাংসদ মৌসম বেনজির নূর বলেন, “দলের কলেবর দিনকে দিন বাড়ছে। ফলে কোথাও কোথাও মতানৈক্য দেখা দিচ্ছে। তবে বিষয়টি নিয়ে অযথা জলঘোলা করা হচ্ছে। আমরা সকলেই দলের অনুগত সৈনিক।” তিনি আরও বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দেখানো পথে সকলকে চলতে হবে। বিষয়টি সমস্ত তৃণমূল নেতা কর্মীকে মাথায় রাখতে হবে।” কিন্তু জেলা সভানেত্রী একথা বললেও, বাস্তবে মালদহ জেলার বিভিন্ন ব্লকের তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল যে বাড়তে শুরু করেছে, তাতে কার্যত নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -