মমতার দ্বৈতচরিত্র নিয়ে প্রশ্ন বিজেপির, পাল্টা দিলেন অভিষেক! জোর শোরগোল কলকাতা জাতীয় রাজ্য December 10, 2019 নাগরিকত্ব বিল পাস নিয়ে যেন তুলকালাম দৃশ্য দেখা গেল ভারতবর্ষের সংসদে। প্রথম থেকেই এনআরসির বিরুদ্ধে তাঁর আপত্তির কথা জানিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী তথা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেইমতো নাগরিকত্ব বিল পাসের দিন দলকে সংসদে থেকে তার বিরোধিতা করার নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। তবে তৃণমূল কংগ্রেসকে দমাতে প্রথম থেকেই সচেষ্ট ছিল ভারতীয় জনতা পার্টি। অনুপ্রবেশকারী নিয়ে একসময় লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেছে তারা। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হয়, “2005 সালে লোকসভায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেছিলেন যে, রাজ্যের ভোটার তালিকায় বাংলাদেশিদের নাম উঠে যাচ্ছে। আর সেই সময় তার আবেদন লোকসভায় খারিজ হয়ে যাওয়ায় তিনি অধ্যক্ষের আসনের দিকে উঠে গিয়েছিলেন এবং ভোটার তালিকা ছুড়ে নাটকীয় ভাবে কক্ষ ত্যাগ করেছিলেন। 13 বছর পরে এনআরসি ইস্যুতে এখন কেন সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সম্পূর্ণ বিপরীত অবস্থান করে সরব হচ্ছেন?” তবে ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই সময়কার আচরণ নিয়ে প্রশ্ন করে তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা হচ্ছে বলে পাল্টা দাবি করছে তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে তাদের কটাক্ষ করতে ময়দানে নেমেছেন যুব তৃনমূলের সভাপতি তথা তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, এই ব্যাপারে লোকসভায় প্রশ্ন তুলে নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি চ্যালেঞ্জ করছি, 2005 সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওই ভাষণের কপি খুঁজে বার করুন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেখানে অনুপ্রবেশকারী নিয়ে কিছু বলেননি। তিনি বলেছেন, ভুয়ো ভোটার পরিচয় পত্র নিয়ে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই কথা থেকেই স্পষ্ট যে, বিজেপি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেই সময়কার আচরণের কথা তুলে ধরে তৃণমূল কংগ্রেসকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করলে, তৃণমূল ছেড়ে দেবে না বলে মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। এদিন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “বাংলাদেশ পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে উদ্বাস্তুদের নাগরিকত্ব প্রস্তাব থাকলেও শ্রীলঙ্কা এবং মায়ানমারের উদ্বাস্তুদের কথা ভাবা হয়নি কেন! সেখানে সংখ্যালঘুদের উপর নির্যাতন চলছে। তাহলে তারা কেন বাদ পড়ল! আমাদের ভারতের ধারণা ইতিবাচক মানসিকতা রয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি ভালোবাসা, শান্তি ও সম্প্রীতিতে। আপনাদের বিশ্বাস গণহত্যা এবং ঘৃণায়। আমাদের ভারত আশাবাদী উন্নয়নের জন্য মুখিয়ে থাকে। আপনারা ধ্বংসের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছেন। আমরা চেষ্টা করছি সকলকে নিয়ে এগোতে। আর আপনারা বিভাজনে বিশ্বাস করেন।” অর্থাৎ কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপির পক্ষ থেকে নাগরিকত্ব বিলের পক্ষে আওয়াজ তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কোণঠাসা করার চেষ্টা হলেও, পাল্টা সেই ব্যাপারে মন্তব্য করে সংসদে সরব হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আপনার মতামত জানান -