এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতা পুলিশের চরম নির্লজ্জতা, তৃনমূলকে ক্ষমতায় বসাতে হুমকি বড়বাবুর! ভাইরাল ভিডিওয় উত্তাল রাজ্য!

মমতা পুলিশের চরম নির্লজ্জতা, তৃনমূলকে ক্ষমতায় বসাতে হুমকি বড়বাবুর! ভাইরাল ভিডিওয় উত্তাল রাজ্য!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পুলিশ প্রশাসন বলে যে রাজ্যে আর কিছু নেই, সম্পূর্ণটাই যে তৃণমূলের দলদাস হয়ে গিয়েছে, সেই ব্যাপারে মাঝেমধ্যেই অভিযোগ করে বিরোধীরা। ক্ষমতায় টিকে থাকতে যে পুলিশকে এইভাবে ব্যবহার করা হবে, তা সত্যিই তৃণমূলের কাছ থেকে অন্তত আশা করা যায়নি। আর এবার তৃণমূলকে খুশি করতে পুলিশের আরও এক নির্লজ্জতা প্রকাশ্যে চলে এলো। যেখানে রানীনগর 2 পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসের সভাপতি কুদ্দুস আলী গ্রেপ্তার হওয়ার পর দাবী করেছেন যে, তাকে তৃণমূল করার জন্য চাপ দিচ্ছেন বড়বাবু। ইতিমধ্যেই ভাইরাল হওয়া সেই ভিডিও ঘিরে উত্তাল রাজ্য। তবে সেই ভিডিওর সত্যতা অবশ্য যাচাই করেনি প্রিয়বন্ধু বাংলা।

প্রসঙ্গত, ইতিমধ্যেই রাণীনগরে প্রায় 36 জন কংগ্রেসের নেতা, কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যেখানে 4 জন কংগ্রেস নেতাকর্মীকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে বাকি 32 জনকে জেলে রাখা হয়েছে। আর পুলিশ হেফাজতে থাকা পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি কুদ্দুস আলীর একটি ভিডিও ইতিমধ্যেই ভাইরাল হয়েছে। যেখানে তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করে বলছেন যে, এই থানার বড়বাবু তাকে তৃণমূল করার জন্য চাপ দিচ্ছেন। এখন এই বক্তব্যের সত্যতা নিয়ে তৃণমূল প্রশ্ন তুলতেই পারে। কিন্তু বারংবার রাজ্যে যেভাবে পুলিশ প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তৃণমূল ক্ষমতা দখলের খেলায় মেতে উঠেছে বলে অভিযোগ আসে বিরোধীদের তরফে, তাতে জেলে থাকা কংগ্রেস নেতার এই অভিযোগ সেই মাত্রাকে আরও বাড়িয়ে দিল। চরম চাপে পড়ে গেল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার প্রশাসন বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা।

একাংশ বলছেন, জেলের ভেতরে যখন কষ্ট করে এই কংগ্রেস নেতা রয়েছেন, তখন তিনি পুলিশের বিরুদ্ধে এমনি এমনি অভিযোগ করবেন না। পুলিশ নিশ্চয়ই জেলের ভেতরে তাকে চাপ দিয়েছে। কারণ সব ক্ষমতা চাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। একটি জায়গাতেও যদি তিনি না জেতেন, সেখানকার ক্ষমতা দখলে আনতে প্রথমে দলকে কাজে লাগাবেন। তারপর দুষ্কৃতীদের দিয়ে হুমকি দেওয়া হবে। বিরোধী নেতাদের বাড়ি ভাঙচুর করা হবে। আর তাতেও কাজ না দিলে শেষ পর্যন্ত ব্যবহার করা হবে পুলিশকে। হয়ত রানীনগরের ক্ষেত্রেও সেই কাজ করা হচ্ছে। অনেকে আবার এক্ষেত্রে কংগ্রেসের পশ্চিমবঙ্গের নেতৃত্বকে খোচা দিয়ে বলছেন, এই তৃণমূলের সঙ্গেই তো বিজেপিকে আটকাতে সর্বভারতীয় জোটে শরিক হয়েছে অধীর চৌধুরীরা। বাংলায় তারা দেখুক যে, সেই তৃণমূলকে শেষ করতে কতটা নির্লজ্জতা শুরু করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন! তা দেখে অন্তত তারা শিক্ষা নিক। বাংলায় তাদের কর্মীরা মার খাবে, তাদের কর্মীদের জেলে বসে হুমকি দেওয়া হবে, আর তারা ইন্ডিয়া জোটে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এক টেবিলে বসে ডিনার সারবেন, দুটো একসাথে হতে পারে না। তাই কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যেও কিন্তু তৈরি হতে শুরু করেছে ক্ষোভ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বৃহত্তর জোট রাজনীতির স্বার্থে নিজের কর্মীদের কথা কংগ্রেস কতটা ভাববে, তা সময় বলবে। তবে পুলিশকে দিয়ে যে ধরনের নির্লজ্জ রাজনীতি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল করতে শুরু করেছে, তা যথেষ্ট চিন্তার কারণ। তৃণমূল না করলেই গ্রেফতার! তৃণমূল করার জন্য থানায় বসে বড়বাবুর চাপ! আর কত নিচে নামবে রাজ্যের প্রশাসন? তৃণমূলের দলীয় ব্লক সভাপতিরাও যা করেন না, এবার পুলিশকে সেই কাজ করতে দেখা যাচ্ছে। সমালোচকরা বলছেন, শুধুমাত্র নিজের পোস্ট বাচাতে, সরকারের কাছে ভালো হতে, সুখে সংসার করতে যেভাবে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করছে এই পুলিশরা, তাতে তাদের ভবিষ্যতও খুব একটা ভালো হবে না। কারন, পৃথিবীটা গোল একদিন ক্ষমতার পরিবর্তন হবেই। তাই সেই ভবিষ্যতের কথা ভেবে অন্তত পুলিশকর্মীরা নিরপেক্ষ হন। এমনটাই আশা করছেন সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!