এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > নিশানায় পিকে থেকে খোদ দলনেত্রী! জল্পনা ক্রমশ উস্কে দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট

নিশানায় পিকে থেকে খোদ দলনেত্রী! জল্পনা ক্রমশ উস্কে দিচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট


প্রত্যেকবার ২১ সে জুলাই এর মঞ্চে সক্রিয় ভূমিকায় দেখা যায় রুদ্রনীল ঘোষকে। কিন্তু এবারে ছেদ পড়েছে তাতে, মঞ্চে অনেকের মতো তিনিও এদিন অনুপস্থিত ছিলেন। আর যা ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে তবে কি তিনি বিজেপিতে পা বাড়াচ্ছেন?

যদিও এমন জল্পনার কারণ অবশ্য শুধুমাত্র কালকের ব্রিগেডের অনুপস্থিতি নয়। তাঁর সিনেমার একটি ডায়লগ আজকাল খুব হিট। সোশ্যাল মিডিয়ায় ট্রোল হয়েছে তা হলো ” ধরতে পারবেন না “। যে যেখানে খুশি ” ধরতে পারবেন না ” জুড়ে দিয়ে মিম বানিয়ে পোস্ট করছেন তাতে অবশ্য এই তারকার তেমন কোনো আপত্তি দেখা যায়নি। কিন্তু, কয়েকদিন আগে তৃণমূলের একটি পেজ থেকে দিলীপ ঘোষ ও মুকুল রায়ের ছবি দিয়ে বলা হয় “কে বেশি মূর্খ – ধরতে পারবেন না ”

পোস্ট টি ভাইরাল হয়ে যায়। এদিকে কয়েকঘন্টার মধ্যেই রুদ্রনীল ঘোষ নিজের ফেসবুক একাউন্ট থেকে এই পোস্টটির প্রতিবাদ স্বরূপ একটি পোস্ট করেন যাতে লেখা ছিল “মজার একটা লিমিট থাকে! সেটা টপকালে মুশকিল! এই কুরুচির রাজনৈতিক পোস্টের তীব্র বিরোধিতা করছি! মিম মানেটা পালটে দিও না কেউ! please!!!”


আর এরপরেই জল্পনা শুরু হয় তবে কি তিনি বিজেপির দিকে পা বাড়াচ্ছেন আর তাই এমন তৃণমূলের পোস্টের বিরোধিতা করে পোস্ট করেছেন? আর এরপর আবার গতকাল অনুপস্থিত ছিলেন তিনি। সব মিলিয়ে জোর জল্পনা শুরু হলে এদিন তিনি এই নিয়ে মুখ খোলেন।

একটি কলকাতার ওয়েব পোর্টালের খবর অনুযায়ী, মুখমন্ত্রী সম্পর্কে তিনি ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে ভুল খবর যায়। কানে শুনে বিশ্বাস করেন। বাকিরা কথা চাপিয়ে দিলে মেনে নেন। জায়গায় জায়গায় তৃণমূল নেতাদের ব্যবহার ভাল না। আর এই সব কারণেই তাঁর সাথে তৃণমূলের দূরত্ত্ব তৈরী হয়েছে। যা নিয়ে প্রশ্ন তুললেই অসুবিধার আর সে সব কিছুর প্রভাব এবার লোকসভা নির্বাচনে পড়েছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এছাড়াও ওই পোর্টালের দাবি যে রুদ্রনীল ঘোষ বলেছেন যে, কাটমানি শব্দের আমন্ত্রণ করেছেন তৃণমূল। আর জায়গায় জায়গায় নেতারা টাকা ফেরত দিচ্ছেন। ফলে মনে হচ্ছে তৃণমূলটাই কাটমানির দল। তাঁর মতে কাটমানির জবাব ব্ল্যাকমানি হতে পারে না। যা ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফেরতের দাবি তুলেছেন।

এদিকে লোকসভায় ভরাডুবির পর তৃণমূল নেতৃত্ব ইলেকশন স্ট্র্যাটেজিস্ট প্রশান্ত কিশোরকে নিয়োগ করেছে। এই নিয়েও এদিন তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, রাজ্যকে কতটা চেনেন প্রশান্ত কিশোর যে তিনি হাল ধরবেন? সাথেই এদিন বিজেপিতে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে তিনি দাবি করেন যে, বিজেপি তৃণমূলের পদ্ধতিতেই ডিফেন্ড করছে। বিজেপি মানে তার কাছে স্পষ্ট নয়। সুতরাং এই মুহূর্তে কোনো সিদ্ধান্ত তিনি নিচ্ছেন না – পরে ভেবে দেখবেন।

ফলে এতে স্পষ্ট যে বিজেপিতে এখন যান যা যান কিন্তু তৃণমূল বিমুখ হয়েছেন তিনি, বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। ফলে এক হেভিওয়েট তারকাকে হারালো তৃণমূল – যা কিছুটা হলেও তৃণমূল শিবিরে দাগ কাটবে বলে মত রাজনৈতিক মহলের। এখন এই তারকার মান ভাঙিয়ে ফের দলে ফেরাতে সক্ষম হয় নাকি হাতছাড়া করে তৃণমূল? আর সেই তারকাকে ঘরে তুলবে কি বিজেপি? এইসব প্রশ্নের উত্তর পেতে আগামী কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞ মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!