এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতাকে টাইট দিতে রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন? নয়া আশঙ্কায় টালমাটাল তৃনমূল!

মমতাকে টাইট দিতে রাজ্যজুড়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন? নয়া আশঙ্কায় টালমাটাল তৃনমূল!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিশ্ববিদ্যালয় নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাত ক্রমশ বৃদ্ধি পাচ্ছে। রাজ্যপাল চাইছেন, উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করুক। কিন্তু তাতে সহমত নয় রাজ্য সরকার। ইতিমধ্যেই চিঠি, পাল্টা চিঠির আবহ সংকটজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে। আর তার মাঝেই অভিযোগ যে রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে বিশ্ববিদ্যালয় ঢোকার ক্ষেত্রে বাধা দেওয়া হচ্ছে। নিরাপত্তাহীনতার অভাব বোধ করছেন উপাচার্য। আর এই খবর শুনেই রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয়, সেই ব্যাপারে রাজ্যপালকে পদক্ষেপ নিতে অনুরোধ করলেন বিরোধী দলনেতার শুভেন্দু অধিকারী। বুঝিয়ে দিলেন, তৃণমূলের দাদা, দিদিদের বাড়বাড়ন্ত আটকাতে এই পদক্ষেপ নেওয়া ছাড়া আর কোনো উপায় নেই।

প্রসঙ্গত, এদিন রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিরাপত্তাহীনতার বক্তব্য নিয়ে শুভেন্দুবাবুকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, “রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অত্যন্ত ভালো মানুষ। কিন্তু তৃণমূলের এই উশৃংখল নেতা-নেত্রীদের হাত থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে বাঁচাতে হলে সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে। রাজ্যপালকে অনুরোধ করব, বিশ্বভারতীর মতো বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে যাতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হয় কয়েক দিনের জন্য। তাহলেই মমতা ব্যানার্জিকে টাইট দেওয়া যাবে।”

একাংশের আশঙ্কা, বিরোধী দলনেতার এই প্রস্তাবে সারা দিয়ে যদি রাজ্যপাল সত্যিই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করে দেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে, তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি তৈরি হবে রাজ্যে। কেননা রাজ্যপাল যে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে রাজ্য সরকারের ওপর মোটেই সন্তুষ্ট নয়, তা তার একাধিক বিজ্ঞপ্তিতেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। গোদের ওপর বিষফোঁড়া হয়ে দাঁড়িয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে রাজ্যপালের বিরুদ্ধে একাধিক মন্তব্য। ফলে রাজ্যপাল চাইছেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে ভালোভাবে পরিচালনা করতে আরও কড়া পদক্ষেপ গ্রহণ করতে। সেদিক থেকে শুভেন্দু অধিকারীর এই বক্তব্য যদি রাজ্যপালের পছন্দ হয়ে যায়, তাহলে কিন্তু সিঁদুরে মেঘ দেখতে পারে রাজ্য সরকার। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন বিরোধীরা।

পর্যবেক্ষকদের মতে, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের ওপর যে ধরনের ঘটনা ঘটেছে, তাতে রাজভবনও খুব একটা খুশি নয়। এই ঘটনার পর থেকেই রাজ্যপাল আরও বেশি করে উপাচার্যদের দ্বারাই যাতে বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনা করা যায়, তার জন্য বিজ্ঞপ্তি পর্যন্ত প্রকাশ করেছেন। আর সেটাই সরকারের গাত্রদাহের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে এতসবের পরেও যদি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সরকারের দাদা দিদিদের দাপাদাপি চলতে থাকে, তাহলে শুভেন্দু অধিকারীর এই ফর্মুলা প্রয়োগ করে মুখ্যমন্ত্রীকে চরম টাইট দিলেও দিতে পারেন রাজ্যপাল। তবে কি করবে রাজভবন, তা সময় বলবে। কিন্তু শিক্ষাঙ্গনে শাসকের রক্তচক্ষু আটকাতে কোন ফর্মুলায় সাফল্য আসে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!