এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার বিপদ বাড়ালেন কেজরিওয়াল, মোক্ষম বান শুভেন্দুর! বেকায়দায় তৃণমূল!

মমতার বিপদ বাড়ালেন কেজরিওয়াল, মোক্ষম বান শুভেন্দুর! বেকায়দায় তৃণমূল!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যেভাবে রাজ্যের একের পর এক মন্ত্রী জেলে যেতে শুরু করেছেন, তাতে মূল মাথার জেলে যাওয়া শুধু সময়ের অপেক্ষা। বিরোধীরা দাবি করছে, অবিলম্বে হাওয়াই চটির বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নিতে হবে। আসলে যারা চুরি করে, তারা বুঝতে পারে যে, একদিন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হবেই। হয়ত সেটাই বিজেপি বিরোধী অনেক রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা বুঝতে পেরেছেন। তাই কেজরিওয়াল এবার প্রকাশ্য সভায় দাবি করলেন যে, তাকে শুধু নয়, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও গ্রেপ্তার করার পরিকল্পনা করছে বিজেপি। তবে এসব বলে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল বিজেপিকে কটাক্ষ করলেও, তিনি সত্যি কথাটাই বলে দিয়েছেন। কটাক্ষ করে এমনটাই বললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

প্রসঙ্গত, এদিন অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বক্তব্যের পর গোটা বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হয় শুভেন্দু অধিকারীকে। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিজেপি বিরোধী জোটকে চাপে ফেলে দেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। শুধু তাই নয়, যারা চোর, তারা জেলে যাবে বলেও দাবি করেন তিনি। শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যারা চোর, তারা তো জেলে যাবেই। বেছে বেছে তিনি এই নামটা বলে দিয়েছেন। ঠাকুর ঘরে কে, আমি তো কলা খাইনি।” একাংশের মতে, একদিন না একদিন যে দুর্নীতি হয়েছে, তার জন্য মূল মাথাকে ধরতে হবেই। ধীরে ধীরে হয়ত সেই পথেই এগোচ্ছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। হয়ত তৃণমূলের ওপরতলার অনেক নেতা নেত্রী সেটা বুঝতে পেরেছেন। তাদের কাছে এই খবর পৌঁছে গিয়েছে। যেভাবে মন্ত্রীরা ধরা পড়ছে এবং তাদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়া যাচ্ছে, তাতে আসল রাঘব বোয়ালের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই এখন চাপে পড়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু দলের নেতা কেজরিওয়াল বিজেপির বিরুদ্ধে প্রতিহিংসার কথা বলে হালে পানি পেতে চাইছেন। তবে তিনি অন্তত আর যাই হোক, সত্যি কথাটা বলেছেন। দেশে তো অনেক নেতা রয়েছে। কেন শুধুমাত্র মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামটাই নিতে দেখা গেল কেজরিওয়ালকে? তাহলে কি সত্যিই দুর্নীতিতে যুক্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী? প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরা।

বিজেপির দাবি, পিসি, ভাইপো দায়িত্ব নিয়ে গোটা বাংলাকে শেষ করে দিয়েছেন। বিজেপি বিরোধী নতুন জোট গঠন হয়েছে। কিন্তু সেই জোটে থাকা বিভিন্ন নেতা নেত্রাও জানেন যে, তাদের এই জোটের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, তারা প্রত্যেকেই দুর্নীতিগ্রস্ত। আগামী দিনে তাদের ভবিষ্যৎ হয়ত শ্রীঘরের মধ্যেই আটকে থাকবে। তাই এটা বুঝতে পেরেই এখন থেকেই আশঙ্কার কথা বলেছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। চুরি করলে, দুর্নীতি করলে কেউ রেহাই পাবে না। দেশের আইন কাউকে ছাড় দেবে না। তাই আগামী দিনে অনেক রাজ্যের অনেক বড় বড় হেভিওয়েটের শোচনীয় দশা হবে। যার মধ্যে বাংলার সর্বস্ব চেটেপুটে খাওয়া অনেক রাঘববোয়ালরাও রয়েছেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃণমূলে এত চুরি হচ্ছে, এত নেতারা জেলে যাচ্ছেন, অথচ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছু জানেন না, এটা কি করে সম্ভব? আবার সেই তৃণমূলে একটিও সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়া কেউ নিতে পারেন না। ফলে চুরিটাও যে তার অনুমতি নিয়েই হয়েছে, তাতে সন্দেহ নেই বিরোধীদের মধ্যেও। ফলে তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, দ্রুত আসল চোরেদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক। সেদিক থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বন্ধু দল হতে পারে আম আদমি পার্টি। কিন্তু সেই দলের নেতাও হয়ত জানেন যে, কতটা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছে তৃণমূল। তাই বেছে বেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম নিতে দেখা গেল তাকে। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!