এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার গলায় চাকরির প্রতিশ্রুতি! দুর্নীতি কবে বন্ধ হবে? প্রবল খোঁচা বিজেপির!

মমতার গলায় চাকরির প্রতিশ্রুতি! দুর্নীতি কবে বন্ধ হবে? প্রবল খোঁচা বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- রাজ্যের বেকারদের চোখের জল ফেলিয়ে, তাদের জীবনকে সর্বস্বান্ত করে এখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন, তিনি নাকি চাকরি দেবেন। রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে তার সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যে, ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন, তাদের পরিবারের একজন করে সদস্যকে হোম গার্ডের চাকরি দেবে রাজ্য সরকার। কবে সেই চাকরি তারা পাবে, সেটা বড় প্রশ্নের বিষয়। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই ঘোষণা নিয়েই এখন কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিজেপির পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে, চাকরি দেওয়ার নাম করে, টাকা নিয়ে তো নিজেদের পকেট মোটা করেছেন তৃণমূল নেতারা।

অনেকে তো জেলে পর্যন্ত গিয়েছেন। তাও তো চাকরি দেওয়ার মত মুরোদ তাদের হয়নি। এখন মুখ্যমন্ত্রী এই সমস্ত প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিজে মহানুভব সাজার চেষ্টা করছেন। কিন্তু এসব না করে অন্তত দুর্নীতি রাজ্যে বন্ধ হোক, তাহলেই শিক্ষিতরা কর্মসংস্থানের দিশা খুঁজে পাবে। সাধারণ মানুষের দাবি এমনটাই। তাই ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন, তাদের পরিবারের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মুখ্যমন্ত্রী যে নাটক শুরু করেছেন, সেই ব্যাপারে এবার তাকে পাল্টা কটাক্ষ ছুড়ে দিলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে দিলীপ ঘোষকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা থেকে শুরু করে বিধানসভা নির্বাচন থেকে যদি ধরা হয়, তাহলে তো আমাদের 60 থেকে 70 জন কর্মী মারা গিয়েছেন। তাদের চাকরিটা হবে তো? মুখ্যমন্ত্রী তো চাকরি দিতে পারছেন না। তাকে চাকরি দিতে হবে না। তিনি রাজ্যে হিংসা এবং দুর্নীতি বন্ধ করুন। তাহলে বাংলা এমনিতেই এগিয়ে যাবে।” একাংশ বলছেন, দিলীপ ঘোষ একদম সঠিক কথাটাই বলেছেন। গনতন্ত্রকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ক্ষমতায় এসে গণতন্ত্রকে দুহাতে টিপে ধরে ধ্বংস করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। গোটা রাজ্যে আজকে কথা বলতে গেলেই পুলিশ দিয়ে তার মুখ বন্ধ করা হয়। কেস দিয়ে বিরোধী নেতাদের জেলে বন্দী করে রাখা হয়। দুর্নীতির বিরুদ্ধে কেউ সোচ্চার হলেই তাকে শাসকের রোষানলে করতে হয়। তাই একদিকে হিংসা এবং অন্যদিকে দুর্নীতি, এই দুই বিষয়ে বন্ধ হলেই পশ্চিমবঙ্গ সুদিন ফিরে পাবে বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে খোঁচা দিতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, এসব প্রতিশ্রুতি দিয়ে কোনো লাভ নেই। দুর্নীতি কবে বন্ধ হবে রাজ্যে? মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে কেউ দয়ার দান চায়নি। আজ পর্যন্ত একটি বেকারকেও চাকরি দেওয়ার মতো ক্ষমতা হয়নি এই রাজ্য সরকারের। বরঞ্চ টাকা নিয়ে অনেক তৃণমূল নেতারা জেলে গিয়েছেন। আর প্রকৃত শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা রাস্তায় বসে চোখের জল ফেলছেন। এই হচ্ছে রাজ্যের অবস্থা। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে মুখ্যমন্ত্রী এখন ভোট পরবর্তী হিংসায় যারা মারা গিয়েছেন, তাদের পরিবারের একজনকে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছেন। কিন্তু এসব না করে শিল্প আনুন, কর্মসংস্থানের নতুন পথ তৈরি করুন। তাহলে আপনার দয়ায় নয়, প্রকৃত শিক্ষিত চাকরি প্রার্থীরা এমনিই চাকরি পাবে। শুধু মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে সঠিক পথটা তৈরি করে দিন। স্বচ্ছতা নিয়ে আসুন রাজ্যে। তা না হলে যে সর্বনাশ এতদিন ধরে এই রাজ্যের হয়েছে, তাতে দয়া, দাক্ষিণ্য, ভাতা, ভর্তুকিতে বাংলা আরও শেষের মুখে চলে যাবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে যে আশা রাজ্যের মানুষ করেছিলেন, তা কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে। আজকে সবথেকে ব্যর্থ মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে রাজ্যের মানুষের কাছে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী বলেই দাবি বিরোধীদের। কিন্তু তারপরও তার লজ্জা হয় না। সামান্য বেকারদের চোখের জল মোছাতে যিনি পারেন না, তিনি আবার নাকি চাকরি দেবেন! তাই তার এই কথাতে বিরোধীদের সামান্য বিশ্বাস নেই। ফলে কাউকে জোর করে মুখের সামনে চাকরি দিতে হবে না মুখ্যমন্ত্রীকে। যাদের যোগ্যতা রয়েছে, তারাই চাকরি পাবে। কিন্তু তার জন্য যে স্বচ্ছতা প্রয়োজন, সেটা অন্তত রাজ্যে তৈরি করে দেওয়া হোক। কর্মসংস্থানের ক্ষেত্র প্রস্তুত করা উচিত রাজ্য সরকারের। তা না করে শুধুমাত্র এই ঢালাও প্রতিশ্রুতি দিয়ে, ঢপের চপ দিয়ে রাজ্যবাসীকে বেশিদিন বোকা বানানো সম্ভব হবে না মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রীর পক্ষে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!