এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার নাকি আন্দোলনে জন্ম! গণতন্ত্রের হত্যা কেন? পাল্টা খোঁচা বিজেপির!

মমতার নাকি আন্দোলনে জন্ম! গণতন্ত্রের হত্যা কেন? পাল্টা খোঁচা বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাঝেমধ্যেই এমন কিছু কথা বলে ফেলেন, যা সত্যি ট্রোল হওয়ার জন্য যথেষ্ট। নিজেকে সেরা প্রমাণ করতে তিনি যা ইচ্ছে তাই বলে যান। আজকেও হাওড়ায় একটি প্রশাসনিক কর্মসূচিতে গিয়ে তিনি এমন কিছু কথা বলেছেন, যা নিয়ে আলোচনা করার মত রাস্তা খুঁজে পেয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু কি এমন বলেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী! আর তার পাল্টা কিই বা বলেছে বিরোধী শিবির! আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে কখন কি বলেন, হয়ত নিজেই জানেন না। পরবর্তীতে যখন তা নিয়ে চর্চা হয়, তখন হয়ত তিনি বুঝতে পারেন যে, তিনি এই কথা বলে বড় ভুল করে ফেলেছেন। আজকেও তেমনই একপ্রকার কথা তার মুখ থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। আর সাথে সাথেই এই বক্তব্যকে হাতিয়ার করে বিরোধীরা যে প্রশ্ন তুলছে, তাকে যুক্তিসঙ্গত বলেই আখ্যা দিচ্ছে বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত, এদিন হাওড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি সরকারি কর্মসূচিতে উপস্থিত হন এবং সেখানে বক্তব্য রাখেন। আর সেখানেই তিনি বলেন, তার নাকি আন্দোলনে জন্ম এবং আন্দোলনেই মৃত্যু হবে। সংগ্রামই নাকি তার জীবনের শেষ কথা। আর এখানেই অনেকের প্রশ্ন যে, সংগ্রাম, আন্দোলন যদি একজন মুখ্যমন্ত্রীর জীবনের শেষ কথা হয়, তাহলে তা অত্যন্ত ভালো জিনিস। কিন্তু তিনি মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার পর এই রাজ্যে ন্যায্য পাওনার দাবিতে, ন্যায্য চাকরির দাবিতে যারা আন্দোলন এবং সংগ্রাম করছেন, তাদের কেন পুলিশ দিয়ে তিনি আটকে দিচ্ছেন! কেন বিরোধীরা যখন আন্দোলন করতে চাইছে, তাদেরকে বাধা দেওয়া হচ্ছে সেই পুলিশ দিয়ে!

কেন পুলিশ প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করছে? তাহলে নিজে আন্দোলনে জন্মগ্রহণ করে, তার আন্দোলনটাকে ঠিক বলে বাকি সবার ক্ষেত্রে “সবাই ভুল”, এটাই কি প্রমাণ করতে চাইছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান! যদি তার নিয়মটাই সঠিক হয়, তাহলে বুঝে নিতে হবে যে, এটাই ফ্যাসিস্ট শাসকের একমাত্র প্রধান লক্ষণ। অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শুধুমাত্র নিজেকে ভালো বলে লোকের সামনে জাহির করতে জানেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে, তার শাসনের বিরুদ্ধে যদি কেউ কথা বলে, তাহলেই তারা বিরোধিতা করছে, তারা বাংলা বিরোধী ইত্যাদি ইত্যাদি কথা বলে তাদের পুলিশ দিয়ে হেনস্থা করার চেষ্টা। অন্তত তেমনটাই মনে করছেন একাংশ।

বিজেপির দাবি, প্রত্যেকটি সময় মানুষকে ভুল বুঝিয়ে এই রাজ্যের ক্ষমতা দখল করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু তিনি ক্ষমতায় আসার পর পুলিশি অত্যাচার বেড়েছে রাজ্যে। পুলিশকে সব ক্ষেত্রে ব্যবহার করে প্রতিবাদীদের কণ্ঠরোধ করার চেষ্টা হয়েছে এই পশ্চিমবঙ্গের বুকে। তাই সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছ থেকে আন্দোলন, সংগ্রামের কথা শুনতে রাজি নয় পশ্চিমবঙ্গের মানুষ। তিনি আন্দোলনকে অসম্মান করেন এবং তিনি প্রতিবাদীদের দেখে ভয় পান বলেই আজকে পুলিশ দিয়ে সব জায়গায় অত্যাচার চালানো হচ্ছে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও খুব ভালো মতো জানেন যে, পুলিশকে তিনি কি পরিমানে ব্যবহার করছেন! আর একটি শাসক কখন পুলিশকে ব্যবহার করে, সেটাও মানুষের কাছে পরিষ্কার। যখন তাদের রাজনৈতিক ক্ষমতা কমে আসে, যখন মানুষের কাছে তাদের জনপ্রিয়তা থাকে না, তখনই বিকল্প শক্তি হিসেবে ব্যবহার করা হয় প্রশাসনকে। যেটা এই রাজ্যের সরকার করছে। কারণ চুরি, দুর্নীতি এই রাজ্যে যে ভয়াবহ আকার নিয়েছে, তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পাচ্ছেন। তাই মানুষকে ভয় দেখাতে হলে দরকার পুলিশকে। কিন্তু তিনি যখন কেন্দ্রের বিরুদ্ধে অন্যায্য দাবিতে আন্দোলন করবেন, তখন সেই আন্দোলন সঠিক!

কিন্তু তার রাজ্যের বুকে একের পর এক অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিরোধী থেকে শুরু করে প্রতিবাদীরা আন্দোলন করলেই তা ভুল। অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী আন্দোলনে জন্মেছেন বলে বড় বড় কথা বললেও, সবটাই একটা ভাঁওতা। ক্ষমতা পাওয়ার জন্যই তিনি একসময় এই আন্দোলন, সংগ্রাম করেছেন। কিন্তু এখন ক্ষমতার মসনদে বসে তিনি সমস্ত আন্দোলনকে প্রতি মুহূর্তে চ্যালেঞ্জ করছেন এবং পুলিশ দিয়ে তাকে দমন করার চেষ্টা করছেন। যার ফল আগামী দিনে ভয়ংকর হতে পারে এই সরকারের পক্ষে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!