এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > চরম লজ্জা! মমতার বিরুদ্ধে কালো কাপড় দেখিয়ে বিক্ষোভ, ফের উত্তাল বিধানসভা!

চরম লজ্জা! মমতার বিরুদ্ধে কালো কাপড় দেখিয়ে বিক্ষোভ, ফের উত্তাল বিধানসভা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- একজন মহিলা মুখ্যমন্ত্রী হয়ে কি করে মেয়েদের দুর্দশা প্রত্যক্ষ করতে পারেন! কি করে ক্ষমতার নেশায় ডুবে থাকতে পারেন! সত্যিই এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে না দেখলে হয়ত তা বোঝা যাবে না। এমনিতেই তো গণতন্ত্রকে দুই হাতে চেপে ধরে এই রাজ্যের সরকার হত্যা করেছে। কিন্তু রাজ্য জুড়ে একের পর এক নারী ধর্ষণ, নারীদের হত্যা করার পরেও যখন অভিযুক্তরা বহাল তবিয়তে ঘুরে বেড়াচ্ছে, তখন পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। যদিও বা এই প্রশাসনের কাছ থেকে ভালো কিছু আশা করা বা ভালো কিছু পদক্ষেপ নেওয়া ছেড়ে দিয়েছে বিরোধীরা। কিন্তু মহিলা মুখ্যমন্ত্রী, তার অন্তত নারীদের সুরক্ষা দেওয়ার ক্ষেত্রে বাড়তি নজর থাকবে, এটা আশা করাই যায়।

কিন্তু সেখানেও যেভাবে ক্রমশ ছাই ফেলে দিচ্ছে এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, তাতে প্রশ্ন উঠছে তার ভূমিকা নিয়েও। তাই নিজেদের প্রতিবাদ জানানোর জন্য আজ রাজ্য বিধানসভায় বিজেপির পক্ষ থেকে নেওয়া হল বড় পদক্ষেপ। এই রাজ্য প্রশাসনের বিবেককে ধাক্কা দিয়ে, শাসক দলকে ধাক্কা দিয়ে তারা একটা বার্তা পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলো যে, নারীরা যখন অপমানিত, তখন একটু সদর্থক পদক্ষেপ গ্রহণ করুন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ছেড়ে দিন তিনি মুখ্যমন্ত্রী! তিনি তো একজন মহিলা। তাহলে সেই নিরিখে তো অন্তত মানবতার জন্য একটা পদক্ষেপ আশা করা যায়। কিন্তু সেটা কেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী করছেন না! সেই নিয়ে প্রশ্ন তুলে বিজেপি কিন্তু এদিন একটা প্রতিবাদের সুর বেধে দিল।

প্রসঙ্গত, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় আবার নতুন করে নারী নির্যাতনের খবর সামনে আসতে শুরু করেছে। আর সেই বিষয় নিয়েই বিরোধীরা এদিন রাজ্য বিধানসভায় মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চায়। কিন্তু সেই প্রস্তাব গৃহীত হলেও তা নিয়ে আলোচনা করতে দিতে চাননি বিধানসভার অধ্যক্ষ। যার ফলে প্ল্যাকার্ড হাতে নিয়ে কালো কাপড় দেখিয়ে এই রাজ্যের মহিলা মুখ্যমন্ত্রী সহ সরকারের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা যায় বিজেপি বিধায়কদের। এখন বিষয়টা হচ্ছে যে, বিজেপি বিধায়করা তারা বিরোধী দলে আছেন, তারা প্রতিবাদ করবেন, সেটাই স্বাভাবিক।

কিন্তু যখন একের পর এক ঘটনা ঘটছে এবং সেই ঘটনা অত্যন্ত স্পর্শকাতর, তখন এই রাজ্যের প্রশাসন কেন নীরব হয়ে রয়েছে? তাহলে কি এই রাজ্যের পুলিশের অভ্যাস বদল করে দিয়েছেন পুলিশ মন্ত্রী! শুধুমাত্র রাজনৈতিক কাজে, শুধুমাত্র বিরোধীদের ওপর বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে, তাদের কেস দেওয়ার ক্ষেত্রেই এই পুলিশ হিম্মত রাখে! কিন্তু অপরাধীদের তারা গ্রেফতার করার মত সাহস রাখে না! ফলে যে ব্যাড প্র্যাকটিস এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রশাসনের অন্দরে ঢুকিয়ে দিয়েছেন, তার জন্য রাজ্যবাসীর যে ক্ষতি হচ্ছে, তাতে কি জবাব দেবে এই রাজ্য সরকার? যেভাবে একের পর এক মহিলার নিরাপত্তা এই রাজ্যে প্রশ্নের মুখে পড়ে যাচ্ছে, তাহলে কি এটাই এগিয়ে বাংলার স্বরূপ?

বিজেপির দাবি, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে সবথেকে বেশি নারী নির্যাতন হয়েছে পশ্চিমবঙ্গে। অথচ এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী রাজনীতি করতে ব্যস্ত। তিনি বড় বড় ভাষণ দেন। তার বাংলা নাকি সব থেকে এগিয়ে রয়েছে! কিন্তু এটাই কি এগিয়ে বাংলার নমুনা? যেখানে প্রতি নিয়ত নারীদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ছে, যেখানে বাংলার মহিলারা মার খাচ্ছেন, তাদের শাসানো হচ্ছে, তারা হুমকির মুখে পড়ছেন, আর এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সেই সমস্ত কিছু প্রত্যক্ষ করছেন কি করে! কেন তার লজ্জা হয় না! কেন তিনি নারী নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে পারছেন না এই রাজ্যে! তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সত্যিই আজকে এই বাংলার পরিস্থিতি দেখে লজ্জা হচ্ছে। আমজনতারা বহু আশা নিয়ে তৃণমূলকে ক্ষমতায় এনেছিল। ভেবেছিল, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মানুষের প্রতিনিধি, গরিবের নেত্রী। সুতরাং মানুষের দুঃখ, কষ্ট, মহিলাদের নিরাপত্তা, বেকার যুবকদের চোখের জল তিনি মোছানোর দিকে নজর দেবেন। কিন্তু সব আশায় ছাই ফেলেছে নবান্ন। যে সমস্ত গরিব মানুষরা বড় বড় আশা করেছিলেন, ঠিক তার বিপরীত কাজ করেছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ক্ষমতায় আসার পর থেকেই তার আমলে চুরি সব থেকে বেশি হয়েছে, তার আমলে দুর্নীতি সব থেকে বেশি হয়েছে, এমনকি এখন নারী নির্যাতনেও ক্রমশ ওপরের দিকে নাম থাকছে বাংলার।

নিঃসন্দেহে বিরোধীদের প্রতিবাদ যদি সরকার তাদের কানে না নেয়, তাহলে সত্যিই কিছু করার নেই। কিন্তু এই সরকারকে ধাক্কা দেওয়ার জন্য, তাদের বিবেক জাগ্রত করার জন্য একটা প্রতিবাদ দরকার ছিল। সেই জন্য আজ কালো কাপড় নিয়ে রাজ্যে যে লাগাতার নারী নির্যাতন শুরু হয়েছে, যেভাবে নারীদের নিরাপত্তা প্রশ্নের মুখে পড়ছে, তা নিয়ে একটু সরকারকে সচেতন করে দিলেন বিরোধী দল বিজেপির জনপ্রতিনিধিরা। কিন্তু এতকিছুর পরেও যদি এই সরকারের ঘুম না ভাঙ্গে, তাহলে তাদের জন্য একটা বড় বিপদ অপেক্ষা করছে। এই রাজ্যের মাতৃশক্তিই ভোটবাক্সে চরম জবাব দেবে এই ফ্যাসিস্ট এবং অপদার্থ প্রশাসনকে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!