প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-পঞ্চায়েত নির্বাচনের নামে যে এক কথায় প্রহসন চলছে বাংলায়, তা আর নতুন করে বলতে হবে না। একের পর এক চিত্র যেভাবে সামনে আসছে, তাতে স্পষ্ট, তৃণমূল নেতাদের অঙ্গুলিহেলনেই পরিচালিত হচ্ছে এই পঞ্চায়েত নির্বাচন। কেন্দ্রীয় বাহিনী থাকা তো দূরের কথা, অনেক জায়গায় রাজ্য পুলিশ চেষ্টা করছে, সুষ্ঠভাবে নির্বাচন সম্পন্ন করার। কিন্তু সেই পুলিশকেও তৃণমূল নেতাদের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে।

যার ফলে দক্ষিণ দিনাজপুরের গঙ্গারামপুরের শুকদেবপুরের একটি বুথে তৃণমূল নেতাদের হুমকির মুখে পড়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদারের শরণাপন্ন হলেন এক পুলিশ কর্মী। ইতিমধ্যেই সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি। যেখানে তিনি দাবি করেছেন, এই হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন এবং পুলিশের দুর্দশা।

সূত্রের খবর, এদিন সকালে গঙ্গারামপুরের শুকদেবপুর এলাকায় একটি বুথে যান বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। কিন্তু সেখানেই এক পুলিশকর্মী তার কাছে এসে গোটা পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করেন। সুকান্তবাবুর কাছে এসে সেই পুলিশ কর্মী বলেন, বুথে পুরো ছাপ্পা চলছে। শুধু তাই নয়, তার ওপর হামলা করা হচ্ছে। এমনকি তৃণমূলের জেলা সভাপতি এবং স্থানীয় জেলা পরিষদের প্রার্থী মৃণাল সরকারের নাম করে তৃণমূল নেতারা তাকে হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ জানান সেই পুলিশকর্মী।

স্বভাবতই রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করে বিজেপি। কিন্তু এবার সেই পুলিশ সুষ্ঠভাবে ভোট প্রক্রিয়া পরিচালনার চেষ্টা করলেও, তাদেরকেও যে তৃণমূলের হুমকির মুখে পড়তে হচ্ছে এবং সেই পুলিশরা যে রীতিমতো অসহায়, তা বিজেপির রাজ্য সভাপতির এই পোস্ট করা ভিডিওর মধ্যে দিয়েই পরিষ্কার হয়ে গেল।

বিজেপির দাবি, পুলিশের একাংশ চেষ্টা করছে গণতন্ত্রকে রক্ষা করতে। কিন্তু তৃণমূল নেতাদের অঙ্গুলিহেলনেই সবকিছু চলছে। আর পুলিশ যেভাবে নিজেকে রক্ষা করতে বিরোধী দলের প্রধান সেনাপতির শরনাপন্ন হলেন, তা রীতিমত মারাত্মক। যার ফলে পুলিশমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে বলেই দাবি পর্যবেক্ষকদের।