এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > উদ্বোধনের আগেই চাঙর খসে পড়ছে উড়ালপুলের! “উন্নয়নের জোয়ার” কটাক্ষ বিরোধীদের!

উদ্বোধনের আগেই চাঙর খসে পড়ছে উড়ালপুলের! “উন্নয়নের জোয়ার” কটাক্ষ বিরোধীদের!


“রাজ্যে মা-মাটি-মানুষের সরকারের আমলে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে” বলে দাবি করেন তৃণমূল কংগ্রেসের ছোট, বড়, মেজো সমস্ত স্তরের নেতারাই। এক্ষেত্রে নিজেদের সরকারের উন্নয়নের বড় করে দেখিয়ে বিগত বাম সরকারের উন্নয়ন এবং বর্তমান কেন্দ্রীয় সরকারের উন্নয়নকে ছোট করে দেখাতে ব্যস্ত থাকেন তৃণমূলের নেতারা‌। তবে ঘাসফুল শিবির মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকারের উন্নয়নকে বড় করে দেখানোর চেষ্টা করলেও এবার যেন কেচো খুঁড়তে কেউটে বেরিয়ে পড়ল।

উদ্বোধন হওয়ার আগেই খসে পড়তে দেখা গেল 34 নম্বর জাতীয় সড়কের বাইপাস রাস্তার উড়ালপুলের চাঙরকে। যা নিয়ে এখন ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে মালদহের ইংলিশবাজার শহরের রামনগর কাছারি এলাকায়। জানা গেছে, গত 2011 সালে মালদহে এই বাইপাস নির্মাণের কাজ শুরু হয়। যা শেষ করার কথা ছিল 2014 সালে। কিন্তু জমি সম্পূর্ণরুপে 2015 সালে পাওয়ায় সেই কাজ করতে অনেকটাই দেরি হয়ে যায়। এদিকে সঠিক সময়ে জমি না পাওয়ায় 1176 কোটি টাকা মূল্যের এই কাজের মূল্য আরও বাড়তে থাকে।

ফলে বর্তমানে এই বাইপাসের কাজ সম্পূর্ণরূপে বন্ধ হয়ে পড়ে আছে। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, এই বাইপাসের কাজ শেষ করতে এখনও 20 থেকে 25 কোটি টাকার প্রয়োজন। যা নিয়েই প্রবল সমস্যা দেখা দিয়েছে। ফলে যদি এই অর্থনৈতিক সমস্যা না মেটে, তাহলে এই বাইপাস তৈরি হওয়া যে কার্যত অনিশ্চিত ব্যাপার, সেই ব্যাপারে সংশয় প্রকাশ করেছেন অনেকেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এরই মাঝে সেই বাইপাসের উড়ালপুলের চাঙর খসে পড়ার ঘটনা সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের দিকে বড়সড় প্রশ্নচিহ্ন তুলে দিল বলে মত বিশেষজ্ঞদের। বাসিন্দাদের আশঙ্কা, অনেকেই উড়ালপুলের তলা দিয়ে যাতায়াত করেন। অনেক সময় বাচ্চা ছেলেরা সেই উড়ালপুলের নিচে খেলাধুলা করে। ফলে জনবহুল এলাকায় এইভাবে যদি উপর থেকে চাঙর খসে পড়ে, তাহলে যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। আর যেখানে এই উড়ালপুলের উদ্বোধনই হল না, সেখানে কিভাবে তা ভেঙে গেল!

তা নিয়েই এখন প্রশ্ন করতে শুরু করেছে বিরোধীরা। বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোর মতে, “এটাই হল রাজ্যের উন্নয়ন। এই উন্নয়নের মাধ্যমে সাধারণ মানুষের আরও সর্বনাশ হচ্ছে। পরিকাঠামো উন্নয়ন অপেক্ষা সরকার উদ্বোধন করতেই বেশি মনোযোগী। এই ঘটনার ক্ষেত্রে তা আবার প্রমাণিত হল।” এদিন এই ব্যাপারে স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, “এদিন সকালে উড়ালপুলের চাঙর খসে পড়ে। ঘটনার পর থেকে আমরা আতঙ্কে রয়েছি। অবিলম্বে ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।” কিন্তু কেন এরূপ দুর্ঘটনা ঘটল!

এদিন এই প্রসঙ্গে 34 নম্বর জাতীয় সড়কের মালদহ ডিভিশনের ম্যানেজার ওমনাথ বিহারী বলেন, “ফারাক্কা থেকে রায়গঞ্জ পর্যন্ত জাতীয় সড়ক পিপিপি মডেলে তৈরি হয়েছে। ফ্লাইওভার সেতু সহ রাস্তার অন্যান্য অংশ তৈরির দায়িত্ব সরকার একটি সংস্থাকে দিয়েছে। 30 বছর পর্যন্ত ওই সংস্থা রাস্তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। ফলে চিন্তার কিছু নেই। কারণ এতে সরকারের কোনো অর্থ অপচয় হবে না।”

তিনি আরও বলেন, “এখনও রাস্তার উদ্বোধন হয়নি। তার আগে তাড়াহুড়ো করে বাইপাস রাস্তা চালুর জন্য এই অবস্থা হয়েছে। উড়ালপুলের ক্ষতিগ্রস্ত লেনে এখনও কাজ হয়নি। বিভিন্ন মহল থেকে চাপ সৃষ্টি করায় আমরা বাইপাস খুলতে বাধ্য হয়েছি।” সব মিলিয়ে রাজ্যে উন্নয়ন হয়েছে বলে শাসক দল দাবি করলেও মালদহের উড়ালপুল থেকে চাঙর খসে যাওয়ার ঘটনা কিন্তু সেই উন্নয়নের পাশে বড় প্রশ্ন তৈরি করছে।

** ছবিটি প্রতীকী

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!