এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মমতার সাধের বানিজ্য মেলা, অশ্বডিম্ব বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর!

মমতার সাধের বানিজ্য মেলা, অশ্বডিম্ব বলে কটাক্ষ শুভেন্দুর!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-সত্যিই শুভেন্দু অধিকারী একজন বিরোধী নেতা হিসেবে মানুষের কথা বলে যাচ্ছেন। এমন বিরোধী নেতা বহুদিন দেখতে পায়নি পশ্চিমবঙ্গ। অতীতে যারা ছিলঢ় তারা তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে বিরোধিতা করতে গিয়ে সেটিং করে নিয়েছিলেন। নিজেদের সুযোগ-সুবিধা কিভাবে পাওয়া যাবে, সেই চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শুভেন্দু অধিকারীর সেই পিছুটান নেই। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকেই বিরোধী নেতা হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে নিশ্বাস নেওয়ার রাস্তাটাও বন্ধ করে দিয়েছেন। রাজ্যে আবার কোটি কোটি টাকা খরচ করে হচ্ছে বিশ্ব বঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন। অতীতেও এই সম্মেলন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। কিন্তু এদিন সেই ব্যাপারে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করতেই কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন তিনি।

 

 

 

প্রসঙ্গত, এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলন নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করেন সাংবাদিকরা। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে বিরোধী দলনেতা বলেন, “অশ্বডিম্ব। আমি এখানেই মায়েদের সঙ্গে কথা বললাম। তারা বলছেন, তাদের মেয়েরা গ্র্যাজুয়েশন করে ডিগ্রি নিয়ে বসে আছে। কিন্তু চাকরি পাচ্ছে না। তাহলে এই সমস্ত সম্মেলন করে কি লাভ?” আর বিরোধী দলনেতার এই প্রশ্ন তো মানুষের প্রশ্ন। সম্মেলন হচ্ছে, কোটি কোটি টাকা খরচ করে বিদেশ যাত্রা হচ্ছে। কিন্তু সেখান থেকে কিছু রেজাল্ট আসছে কি? যদি রেজাল্ট আসেও, তাহলে তার শ্বেতপত্র কেন প্রকাশ করছে না এই রাজ্য সরকার? তাদের এত ভয় কেন? তারা তো দাবি করে যে, তারা নাকি শিল্প দরদী! শিল্প আনার জন্য তাদের নাকি চেষ্টার শেষ নেই। তাহলে তাদের পেছনে কেন টাকা খরচ করা হচ্ছে যে, জায়গা থেকে কোনো রেজাল্ট আসবে না? সেই টাকা দিয়ে তো বেকার যুবক-যুবতীদের মুখে হাসি ফোটানো যেত। কেন সেই চেষ্টার দিকে নজর নেই এই রাজ্য সরকারের? কি লাভ এই টাকা খরচ করে নামিদামি শিল্পপতিদের রাজ্যে নিয়ে এসে বিরোধীদের হাতে অস্ত্র তুলে দেওয়ার? প্রশ্ন তুলছেন সমালোচকরাও।

 

 

 

বিজেপির দাবি, টাকা খরচ সেখানেই করা উচিত, যেখান থেকে কোনো ভালো ফলাফল আসবে। কিন্তু এই সরকার মানুষের টাকা নিয়ে নয়ছয় করছে। কখনও উৎসব, কখনও অনুষ্ঠান, আবার কখনও বা শিল্প সম্মেলনের নাম করে নামিদামি ব্যক্তিদের নিয়ে এসে নিজের প্রচার করাতে ব্যস্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। আসলে এই সমস্ত কিছু করে মানুষের কোনো লাভ হচ্ছে না। শুভেন্দুবাবু সেটাই বলেছেন। কিন্তু এর পরেও যদি সরকারের ঘুম না ভাঙ্গে, তাহলে সত্যিই আর কিছু বলার নেই। এই রাজ্যের বর্তমান এবং ভবিষ্যৎকে সম্পূর্ণরূপে শেষ করে দিয়ে নতুন খেলায় মেতে উঠেছেন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

 

 

 

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই সমস্ত উৎসব অনুষ্ঠান করেন, যাতে তার প্রচার হয়। তার বড় বড় ছবি থাকবে, যারা সেই অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে আসবেন, সেখানে সবাই তার প্রশংসা করবে। নিজের প্রচার করতে সবথেকে বেশি ব্যস্ত এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান। মানুষের কি হচ্ছে, মানুষ কতটা বিপদে রয়েছে, সেদিকে তার নজর না দিলেও চলবে। তাই দুদিন ব্যাপী ঢালাও খরচ করে এই শিল্প সম্মেলন হচ্ছে। টিভিতে বড় বড় কর্তা ব্যক্তিদের বক্তব্য শুনছে রাজ্যবাসী। কিন্তু তাদের আশার আলো সম্পূর্ণরূপে নিভে গিয়েছে। কারণ তারা এই সরকারকে দেখছেন এবং প্রতিমুহূর্তে দেখছেন। তাই এই শিল্প সম্মেলন সত্যিই অশ্বডিম্ব ছাড়া আর কিছুই নয়‌। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!