প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বাংলায় এসে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রাজনৈতিকভাবে যতটা প্রতিপক্ষকে আক্রমণ করতে হয়, ঠিক ততটাই করেছেন। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে সেভাবে কোনো বিস্ফোরক মন্তব্য করতে দেখা যায়নি বিজেপির এই সর্বভারতীয় নেতাকে। তবে বাংলার বিজেপি নেতা কর্মীরা আশা করেছিলেন, অমিত শাহ বঙ্গ সফরে এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক কোনো মন্তব্য করবেন। কিন্তু সেরকম কিছুই হয়নি। যার ফলে তৈরি হয়েছে জল্পনা। অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, তাহলে কি ওপরতলায় সেটিং হয়ে গিয়েছে! আর সেই কারণেই কি বাংলায় এসে তৃণমূলের বিরুদ্ধে সেভাবে বিদ্রোহী মন্তব্য করলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী! একাংশ বলছেন, এর পেছনে বেশ কিছু ফর্মুলা রয়েছে। আর সেই ফর্মুলার কথা মাথায় রেখেই তৃণমূলকে গুরুত্ব দিতে চাইলেন না কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।

সূত্রের খবর, অমিত শাহ বিজেপি নেতৃত্বকে নিয়ে বাংলায় একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন। আর সেখানেই তিনি স্পষ্ট করে দিয়েছেন, কোনোভাবেই রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হবে না। বরঞ্চ লড়াই, আন্দোলনের মধ্যে দিয়েই বিজেপিকে ক্ষমতায় আসতে হবে। একাংশের মতে, অমিত শাহের এই বক্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তবে হঠাৎ করে কেন তার এত সুর নরম হয়ে গেল! বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বর্তমানে গোটা দেশে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিরোধী মুখ হিসেবে উঠে আসতে শুরু করেছেন। তাই বাংলায় এসে যদি সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে লাগাতার কটাক্ষ করা হয়, তাহলে তিনি বাড়তি গুরুত্ব পেয়ে যাবেন। গোটা দেশে তিনি আরও বেশি করে বিজেপির বিরুদ্ধে মুখ হিসেবে উঠে আসবেন। তাই অমিত শাহ সুকৌশলে রাজ্যে এসে বাংলার বিজেপি নেতৃত্বকে শক্তিশালী বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করার বার্তা দিলেন।

শুধু তাই নয়, সামনেই রাষ্ট্রপতি নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে সকল বিরোধী দলকে এক ছাতার তলায় আনার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই কাজ করতে সক্ষম হন, তাহলে আগামী দিনে তিনিই বিজেপির বিরুদ্ধে প্রধান মুখ হতে পারেন বলে জল্পনা তৈরি হয়েছে। তাই এই পরিস্থিতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে যদি লাগাতার আক্রমণ করা হয়, তাহলে তাকে কেন্দ্র করে বিরোধী দলগুলোর মধ্যে উৎসাহ তৈরি হবে। তাকেই সামনে রেখে লড়াইকরবে সকল বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো। তবে তেমন কিছু যাতে না হয়, বিরোধীদের যাতে ছত্রভঙ্গ করে দেওয়া যায় এবং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় গুরুত্ব না পান, তার জন্যই বাংলা এসে সেভাবে তৃণমূল নেত্রীর বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে দেখা গেল না অমিত শাহকে বলেই মনে করছেন একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।