এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতার সাংসদকে বিরাট উপহার মোদীর! চরম বিড়ম্বনায় ঘাসফুল শিবির!

মমতার সাংসদকে বিরাট উপহার মোদীর! চরম বিড়ম্বনায় ঘাসফুল শিবির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-কেন্দ্রের বিজেপি সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করতে দেশে তৈরি হয়েছে বিরোধী ইন্ডিয়া জোট। যে জোটের নেতৃত্ব স্থানে রয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সংসদের ভেতরে এবং বাইরে বিজেপিকে চাপে রাখতে বিভিন্ন পদ্ধতি অবলম্বন করছে ঘাসফুল শিবির। কিন্তু এবার সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ হেভিওয়েট সাংসদের বড়সড় সুখবর দিলেন রাজ্যসভার চেয়ারম্যান তথা উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনকর। ইতিমধ্যেই তিনি একটি ভাইস চেয়ারম্যানের প্যানেল তৈরি করেছেন। আর সেখানেই জায়গা দেওয়া হয়েছে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনকে। স্বাভাবিক ভাবেই যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্মতি ছাড়া একজন প্রধান পর্যন্ত ঠিক হয় না, সেখানে তার এবং তার দলের অনুমোদন না নিয়েই রাজ্যসভার চেয়ারম্যানের এই পদক্ষেপ যে তৃণমূলকে যথেষ্ট বিড়ম্বনায় ফেলে দিল, তা বলার অপেক্ষা রাখে না।

প্রসঙ্গত, এদিন অধিবেশনের শুরুতেই ভাইস চেয়ারম্যানদের নতুন প্যানেল ঘোষণা করেন উপরাষ্ট্রপতি তথা রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনকর। আর সেখানেই নাম দেখা যায় তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেনের। তবে দলের সঙ্গে আলোচনা না করেই কেন এই ধরনের নাম ঘোষণা করা হলো! তা নিয়ে তৃণমূলের মধ্যে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। বলা বাহুল্য, এতদিন এই তালিকায় নাম ছিল তৃণমূল সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায়ের। সেদিক থেকে উপরাষ্ট্রপতি নিজেই শান্তনু সেনের নাম ঘোষণা করায় তৃণমূল তাতে অনুমোদন দেবে কিনা বা তৃণমূলের সেই নামের প্রতি ইচ্ছা রয়েছে কিনা, এটাও লাখ টাকার প্রশ্ন।

অনেকে বলছেন, ছোট পদক্ষেপ হতে পারে। কিন্তু এই পদক্ষেপের মধ্যে দিয়ে কার্যত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঘোল খাইয়ে দিলেন নরেন্দ্র মোদী। এখন তৃণমূলকে কোনো একটা বড় সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। হয় উপরাষ্ট্রপতির এই সিদ্ধান্তে সমর্থন জানিয়ে শান্তনু সেনকেই এই দায়িত্ব দেওয়ার ব্যাপারে সর্বসম্মতি প্রকাশ করতে হবে। তা না হলে শান্তনু সেনের বিরুদ্ধে দলের মধ্যেই প্রশ্ন তুলবে তৃণমূল নেতৃত্ব। সেদিক থেকে শান্তনুবাবুর কাছে এই দ্বিতীয় পদক্ষেপ অত্যন্ত অপমান সূচক হবে। আর তাতে তিনি লোকসভা নির্বাচনের আগে দলের বিরুদ্ধে বড় কোনো পদক্ষেপ নিতে পারেন। যার জেরে তৃণমূল অত্যন্ত চাপে পড়ে যাবে বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, গোটা বিষয়টি এখন তৃণমূল আলোচনার পর্যায়ে রেখেছে। যতদূর মনে করা হচ্ছে, শান্তনু সেনের নাম ঘোষণায় তৃণমূল নেতৃত্ব কিছুটা আশ্চর্য। ইতোমধ্যেই গোটা বিষয়টি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গেও কথা বলতে শুরু করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই একাংশ বলছেন, শান্তনু সেনের ব্যাপারে তৃণমূলের সহমত পোষণ করার সম্ভাবনা অত্যন্ত ক্ষীন। ফলে সেটাই যদি হয়, তাহলে আগামী দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দলে গৃহযুদ্ধ শুধু সময়ের অপেক্ষা। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি সমালোচক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!