এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার? ভয়েই কি এই পদক্ষেপ মমতার! তুঙ্গে জল্পনা!

যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়বে তৃণমূল সরকার? ভয়েই কি এই পদক্ষেপ মমতার! তুঙ্গে জল্পনা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-তৃতীয়বার যতই সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে ক্ষমতায় আসুক না কেন তৃণমূল কংগ্রেস, মনে মনে একটা ভয় রয়েছে শাসক দলের। হয়তো তারা বাইরে সেই কথা অস্বীকার করবে। তবে তৃণমূলের অনেকেই জানে যে, বিরোধী দলনেতা হিসেবে শুভেন্দু অধিকারী কতটা শক্তিশালী! তার ক্যারিশমাতে আগামী দিন তৃণমূল ভাঙতে বেশি সময় লাগবে না। হয়তো এবার সেই ভয়ে ভীত স্বয়ং মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। যে কারণে এবার বিধানসভায় তৃণমূল বিধায়কদের উপস্থিতি বাধ্যতা মূলক করতে বড় পদক্ষেপ নিল শাসক দল। অর্থাৎ বিধানসভার ভেতরে যাতে সকল তৃণমূলের মন্ত্রী এবং বিধায়করা উপস্থিত থাকেন তার জন্য দেওয়া হলো কড়া নির্দেশিকা। যা দেখে অনেকে বলছেন, ঠ্যালায় না পড়লে বিড়াল গাছে ওঠে না।

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভায় উপস্থিতি নিয়ে তৃণমূলের প্রত্যেক মন্ত্রী এবং বিধায়কদের কাছে একটি নির্দেশিকা পৌছে গিয়েছে। যেখানে জানানো হয়েছে, এখন থেকে বিধানসভায় প্রতিটি অধিবেশনে উপস্থিত থাকতে হবে দলের সমস্ত বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের। এক্ষেত্রে পরিষদীয় মন্ত্রীর ঘরে হাজিরা খাতায় সই করতে হবে প্রত্যেক মন্ত্রীকে। অন্যদিকে বিধায়কদের সই করতে হবে নির্মল ঘোষের ঘরে। অর্থাৎ নিজেদের বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের একত্রিত করে রাখতেই তৃণমূলের এই পদক্ষেপ। যা দেখে অনেকের মনেই প্রশ্ন চিহ্ন তৈরি হয়েছে। অনেকে বলছেন, সামনে লোকসভা নির্বাচন। তাহলে কি তৃণমূল আবার ভাঙতে পারে! সেই ভয়েই কি বিধানসভায় নিজেদের সব বিধায়ক, মন্ত্রীদের একত্রিত করে রাখতেই এই পদক্ষেপ নিচ্ছে শাসক দল?

বিরোধীদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও খুব ভালো মতো জানেন, তার দলের সংগঠনের কি পরিস্থিতি। যত দিন আসবে, ততই তৃণমূল ভাঙতে শুরু করবে‌। যে বাম বিরোধিতার মধ্যে দিয়ে তৃণমূলের উত্থান হয়েছিল, সেই বামেদের সঙ্গেই সর্বভারতীয় রাজনীতিতে বিজেপিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে উদগ্রীব হয়ে উঠেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যা অনেকেই মেনে নিতে পারছেন না। আবার দলের এক যুবনেতার উত্থান অনেকেই অন্য চোখে দেখছেন। সিংহভাগ নেতা নেত্রীরাই তার কথা অনেকেই শুনতে চাইছেন না। তার ফলে শাসকদলের অন্দরে তৈরি হয়েছে অসন্তোষের বাতাবরণ। আর সেই অসন্তোষ যদি আগামী দিনে ভয়াবহ আকার ধারণ করে, তাহলে বিধানসভায় তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা কমতে শুরু করবে। আর তার ফলে যে কোনো মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে এই সরকার। তাই শুভেন্দু অধিকারীর গ্রাস থেকে এই সরকারকে রক্ষা করতে এখন বিধায়ক, মন্ত্রীদের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক করার জন্য নির্দেশ দিতে হচ্ছে তৃণমূল নেতৃত্বকে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, কিছুদিন আগেই বিধানসভায় একটি বিতর্ক সভার ভিডিও সামনে এসেছে। যেখানে শুভেন্দু অধিকারী কড়া ভাষায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে বিদ্ধ করেছেন। বিরোধীদলের সদস্য সংখ্যা কম থাকতে পারে। কিন্তু তাদের যুক্তির কাছে রীতিমত নাস্তানাবুদ হতে হয়েছে রাজ্যের শাসক দলকে। সেদিক থেকে শাসক দলের যদি সব সদস্য এবং মন্ত্রীরা উপস্থিত না থাকে, তাহলে তাদের পক্ষে বিধানসভায় বিরোধীদের চাপে রাখা কার্যত অসম্ভব হয়ে পড়বে। কারণ, শুভেন্দু অধিকারীর মত বিরোধী দলনেতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে প্রচন্ড অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই একদিকে নিজেদের সংগঠন এবং সমস্ত সদস্যদের ধরে রাখতে, আর অন্যদিকে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিরোধী শক্তিকে জব্দ করতেই শাসকদলের এই নির্দেশিকা। তবে এত কিছু করেও বিজেপিকে আটকানো সম্ভব হবে না তৃণমূলের পক্ষে। শেষ পর্যন্ত তাদের এই চেষ্টা ব্যর্থ হতে পারে এবং যে কোনো মুহূর্তে তৃণমূল সরকারের জন্য আসতে পারে অশনি সংকেত। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!