এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > সরকারি কর্মচারীদের চরম অপমান মমতার! রুচিহীনতার এ কোন নিদর্শন? নিন্দার ঝড়!

সরকারি কর্মচারীদের চরম অপমান মমতার! রুচিহীনতার এ কোন নিদর্শন? নিন্দার ঝড়!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-বকেয়া মহার্ঘ ভাতার দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে শহীদ মিনারের নিচে আন্দোলন করছেন সংগ্রামী যৌথ মঞ্চের সদস্যরা। কিন্তু সেদিকে নজর দেওয়ার মতো সময় নেই রাজ্য সরকারের। তবে সেখানে পৌঁছে গিয়ে তাদের পাশে দাঁড়ালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। শুধু তাই নয়, যে মুখ্যমন্ত্রী এই সরকারি কর্মচারীদের প্রতি সময় অপমান করেন, তার মুখোশও টেনে খুলে দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। স্পষ্ট করলেন, এই রাজ্য সরকার সরকারি কর্মচারীদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতিশীল নয়। বরঞ্চ একের পর এক ভাষা প্রয়োগ করে এই কর্মচারীদের অপমান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী।

প্রসঙ্গত, এদিন যৌথ সংগ্রামী মঞ্চের আন্দোলনকারীদের সঙ্গে দেখা করেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। যেখানে নিজের বর্ধিত বেতনের অংশ দিয়ে তাদের সাহায্যের প্রস্তাব দেন তিনি। আর তারপরেই সেই মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে আক্রমণ শানান রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। তিনি বলেন, “এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের অপমান করেন। কখনও তিনি ঘেউ ঘেউ করছেন বলে তুলনা করেন। আবার কখনও এরা যোগ্যতায় চাকরি পায়নি বলে দাবি করেন।” অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধাচরণ এই সরকারের মধ্য দিয়ে বারবার প্রকাশ পায়। আর এই সমস্ত শব্দ প্রয়োগ রুচিহীনতার প্রকাশ।” আর বিরোধী দলনেতার এই মন্তব্য যে শাসক দলকে অস্বস্তির মুখে ফেলে দিল, তাতে কার্যত একমত বিশেষজ্ঞরা।

বলা বাহুল্য, একসময় মহার্ঘ ভাভার দাবিতে যারা আন্দোলন করছিলেন, তাদের নিয়ে মন্তব্য করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে তিনি “ঘেউ ঘেউ করবেন না” বলে একপ্রকার বক্তব্য রেখেছিলেন। যাকে অপমানের সূচক হিসেবে ধরে রাজ্যের সর্বত্র নিন্দার ঝড় উঠতে শুরু করেছিল। কিন্তু তারপরেও সরকারের হুশ ফেরেনি। তারা এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করছে না। যার কারণে এবার সেই সমস্ত আন্দোলনকারীদের পাশে দাঁড়িয়ে বিরোধী দলনেতা মাস্টারস্ট্রোক দিয়ে ফেললেন। অনেকে প্রশ্ন করছেন, শুভেন্দু অধিকারী এই মঞ্চে পৌঁছে যেতে পারলেও, কেন তাদের জন্য কোনো ঘোষণা পর্যন্ত করতে পারছেন না মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়? শুধুমাত্র অপমান করে কেন সরকারি কর্মচারীদের আরও ক্ষিপ্ত করে তুলছেন তিনি? যে সরকারের তিনি মুখ্যমন্ত্রী, সেই সরকারের অধস্থন কর্মচারীদের নিয়ে তার এরূপ মন্তব্য করা কি সাজে! তা নিয়ে নানা মহলে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন।

পর্যবেক্ষকদের মতে, এই সরকার মন্ত্রীদের বেতন বৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু বকেয়া মহার্ঘ ভাতা দিতে পারে না। আর সেখানে আন্দোলন করতে গেলেই সরকারের কটু কথা শুনতে হবে আন্দোলন কারীদের। তবে সরকার গণতান্ত্রিক উপায়ে আন্দোলন করা ব্যক্তিদের সহ্য করতে না পারলেও, তাদের পাশে দাঁড়ালেন বিরোধী দলনেতা। বুঝিয়ে দিলেন, এই রুচিহীন শাসকের সব সময় গণতান্ত্রিক পদ্ধতিকে হত্যা করা। তাই যারা নিজেদের গণতান্ত্রিক দাবি আদায় করতে চাইছেন, তাদেরকে অপমান করে ব্যর্থতার পরিচয় দিচ্ছে নবান্ন। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন সমালোচক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!