দেখ কেমন লাগে ! সন্দেশখালির চোরেদের নিয়ে ফের সোচ্চার শুভেন্দু ! তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য February 8, 2024 প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এবার বুঝতে পারছেন, দীর্ঘদিন সন্ত্রাস এবং গণতন্ত্রের কন্ঠরোধ করলে ফল ভালো হয় না। তিনি ভেবেছিলেন, পুলিশ দিয়ে সকলের মুখ বন্ধ করে রাখবেন। কিন্তু এবার সন্দেশখালীর মত এলাকা, যেটাকে তৃণমূল নিজেদের দখলদারি বলেই মনে করেছিল, সেখান থেকেই মানুষ গর্জে উঠতে শুরু করেছে। জনতার মধ্যে যে সচেতনতা এবং এই সরকারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ছে, তা স্পষ্ট। তাই সন্দেশখালির সেই ঘটনা নিয়ে রাজ্য বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের পর শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করতেই তিনি এই চোরেদের ঘুম কেড়ে নিলেন। যেভাবে রাজ্য জুড়ে চুরি, দুর্নীতি এই সরকারের প্রশ্রয়ে শুরু হয়েছে, তাতে আগামী দিন যে আরও ভয়ংকর হতে চলেছে তৃণমূলের কাছে, সেই ব্যাপারে চরম আভাস দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। একসময় গুড় বাতাসা নকুলদানা, চরম চরাম ঢাকের কথা বলে নির্বাচনের আগে বিভিন্ন ইঙ্গিত পূর্ণ হুঁশিয়ারি দিতে দেখা যেত বর্তমানে জেলে থাকা অনুব্রত মণ্ডলকে। তার দাপটে সবাই গুটিয়ে থাকতেন বীরভূমে। কিন্তু এখন সেই অনুব্রত মণ্ডল ভেজা বেড়াল হয়ে গিয়েছেন। তাই আগামী দিনে সন্দেশখালিতেও যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, তাতে জনতার এই বিক্ষোভে ভেজা বিড়াল হতে বাধ্য তৃণমূলের শক্তিশালী নেতারা বলেই দাবি একাংশের। প্রসঙ্গত, এদিন রাজ্য বিধানসভায় বাজেট অধিবেশনের পর সন্দেশখালীর ঘটনা নিয়ে শুভেন্দু অধিকারীকে প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে তিনি বলেন, “আমি তো বারবার করে বলছি, সন্দেশখালি বলছে তৃণমূল যাচ্ছে। সন্দেশখালি বলছে, মমতা যাচ্ছে। সেখানে যেভাবে জাগরণ ঘটেছে, যেভাবে নকুল দানা, চড়াম চরম ঢাক দিয়ে চোরেদের চোবানো হচ্ছে, আগামী দিনে এটাই হবে। সন্দেশখালি গোটা রাজ্যকে পথ দেখাচ্ছে। যে সমস্ত এলাকায় অত্যাচার বেশি হয়েছে, সেখানেও জনজাগরণ হওয়া প্রয়োজন।” অনেকে বলছেন, সন্দেশখালিতে এভাবে মানুষের জনজাগরণ সত্যিই অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। এই জনজাগরণ তৃণমূলের কাছে ভীষণ চিন্তার বিষয়। এতদিন সেখানকার মানুষ গুটিয়ে থাকতেন শেখ শাহজাহানের ভয়ে। কিন্তু যেভাবে অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবিতে সাধারণ মানুষ গর্জে উঠতে শুরু করেছেন, তাতে স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, কেউ আর এই পুলিশ প্রশাসনকে দেখে ভয় পায় না। চোখে চোখ রেখে লড়াই করার মত ক্ষমতা সাধারণ মানুষের রয়েছে। তাই এবার তারা নিজেরাই রাজপথে বেরিয়ে এই তৃণমূল সরকার এবং তাদের গুন্ডাদের বিরুদ্ধে, সর্বোপরি পুলিশ প্রশাসনের অত্যাচারের বিরুদ্ধে আইন রক্ষার জন্যে পথে নেমেছেন বলেই মনে করছেন একাংশ। বিজেপির দাবি, তৃণমূলের শেষের সময় হয়ে গিয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেও সন্দেশখালির ঘটনা দেখে ভয় পাচ্ছেন। আগামী দিন চরম বিপদ অপেক্ষা করছে এই তৃণমূলের জন্য। আর সেটা শুভেন্দু অধিকারী খুব ভালো মতই আঁচ করতে পেরেছেন জন্যই তিনি গোটা বাংলাকে সেই সন্দেশখালীর পথেই হাঁটার আহ্বান জানিয়েছেন। কারণ, চোরেদের শিক্ষা দিতে হলে সাধারণ মানুষকে জেগে উঠতে হবে। তাদের প্রতিবাদের মধ্যে দিয়েই বিসর্জন হবে এই ফ্যাসিস্ট তৃণমূল সরকারের বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের। পর্যবেক্ষকদের মতে, অত্যাচারী সব সময় শেষ কথা বলে না। শেষ কথা বলে সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের আমলে যে ভয়াবহ দুর্নীতি, যে ভয়াবহ চোখ রাঙানি, পুলিশের যে অত্যাচার সাধারণ মানুষ এতদিন হজম করেছে, তাতে তারা আর মুখ বুজে সেসব সহ্য করতে রাজি নয়। তাই এখন প্রতিরোধের রাস্তায় নেমে পড়েছেন জনতা জনার্দন। তাই সন্দেশখালি যেভাবে এত বড় পদক্ষেপ নিয়েছে, সেই পথেই হেঁটে তৃণমূলের অত্যাচারকে বিদায় জানাতে হবে গোটা রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষকে। যারা এখনও পর্যন্ত তৃণমূলের গুন্ডাদের ভয়ে গুটিয়ে রয়েছেন, যারা ভাবছেন যে, তাদের প্রতিবাদের ফলে পুলিশ প্রশাসন হয়ত কেস দেবে। কিন্তু সেই সমস্ত মানুষদের জনজাগরণ হওয়া প্রয়োজন। যদি সন্দেশখালি পারে, তাহলে গোটা পশ্চিমবঙ্গও সেই পথে হাঁটতে পারবে। আর যখন গোটা বাংলার মধ্যে এই জনজাগরণ হবে, সেদিনই পশ্চিমবঙ্গে ফের আসবে পরিবর্তন। ভারতের উন্নয়নের পথ ধরেই এগিয়ে যাবে বাংলা। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা। আপনার মতামত জানান -