এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উফ্, সত্যিই শান্তি নেই মমতার!বাড়ির পথেই ফের তাড়া শুভেন্দুর!

উফ্, সত্যিই শান্তি নেই মমতার!বাড়ির পথেই ফের তাড়া শুভেন্দুর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- সত্যি, এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে বিন্দুমাত্র শান্তি পেতে দিচ্ছেন না শুভেন্দু অধিকারী। রাজনৈতিক ভাবে তো বটেই, যে যে অপকর্ম তার রাজত্বকালে হয়েছে, সেই সমস্ত কিছু তুলে ধরে প্রতি পদে পদে এই মুখ্যমন্ত্রীকে শুভেন্দুবাবু বুঝিয়ে দিচ্ছেন, তিনি অন্তত ছেড়ে দেওয়ার পাত্র নন। আহা রে কি কষ্ট এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর! ভদ্রমহিলার জ্বর হয়েছে, তিনি কষ্ট করে রাজ্য বিধানসভার অধিবেশনে উপস্থিত হয়েছেন, অথচ দীর্ঘ অধিবেশনের পর সেই মুখ্যমন্ত্রী যখন বাড়ি যাচ্ছেন, তখনও তাকে তাড়া করতে হলো? কোথায় রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, তার এত বড় ক্ষমতা! কোথায় তিনি যাবেন, তাকে স্যালুট দেবেন! তা না করে শুভেন্দু অধিকারী লোকটা না প্রতিমুহূর্তে একেবারে জ্বালিয়ে মারছেন এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানকে। বিধানসভার ভেতরে এবং বাইরে তো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিমুহূর্তে টাইট দেন। আজকে বিধানসভা থেকে বাজেট অধিবেশন শেষ করে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যখন তার কনভয় নিয়ে বেরোচ্ছিলেন, তখনও শুভেন্দু অধিকারী এক ভয়ংকর কাণ্ড ঘটিয়ে বসলেন। কি করলেন তিনি?

প্রসঙ্গত, এদিন বিধানসভা অধিবেশনের শেষে যখন মুখ্যমন্ত্রীর কনভয় বের হয়, তখনই হঠাৎ করে শুভেন্দু অধিকারী এবং বিরোধী দলের বিধায়করা চোর, চোর বলে স্লোগান দিতে শুরু করেন। ভেবে দেখুন, একজন বিরোধী নেতা, এরকম বিরোধী নেতাকে সত্যিই কি এর আগে এই তৃণমূল সরকারের আমলে পেয়েছে বাংলা? এর আগেও তো দুইজন বিরোধী নেতা ছিলেন বাম এবং কংগ্রেসের পক্ষ থেকে। তারা কতটা এইরকম কাজ করতে পেরেছেন? আর এইরকম কাজ করা তো দূরের কথা, বিধানসভার ভেতরে কি তারা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকারকে বাধা দিতে পেরেছে! প্রতি পদেপদে বুঝিয়ে দিতে পেরেছেন যে, কোনো রকম আন্ডার স্ট্যান্ডিং তৃণমূলের সঙ্গে হবে না! আসলে রাজনীতি থেকে যারা ইনকাম করে না, যারা সমাজসেবা করার জন্য রাজনীতিতে আসে, তাদের কোনো পিছুটান নেই। যেটা শুভেন্দু অধিকারীর ক্ষেত্রে সাজে। সত্যিই এই ভদ্রলোককে সাবাসি জানিয়ে বলতে হয় যে, এনার দম আছে। এত পুলিশের চক্রান্ত, এত কেস, এত বাধাদান করা সত্ত্বেও সমস্ত কিছুকে উপেক্ষা করে তিনি একেবারে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ফ্যাসিস্ট নীতির বিরুদ্ধে তার চোখে চোখ রেখে চোর শব্দ প্রয়োগ করতেও দুবার ভাবছেন না। আর এতেই রাজ্যের বিরোধী দলনেতা হিসেবে মুখ্যমন্ত্রীর থেকেও বেশি জনপ্রিয়তা বাড়ছে শুভেন্দুবাবুর বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজেকে এতদিন সততার প্রতীক বলে অনেক বড় বড় গল্প সাজিয়ে ছিলেন। কিন্তু এবার আর শেষ হবে বরফ গলবে না। এখন মুখ্যমন্ত্রীকেও চোর, চোর শব্দ শুনতে হচ্ছে। এই দলটা আপাদমস্তক দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়েছে। আগামী দিনে রাজ্যের মানুষ এই দুর্নীতির জন্য তৃণমূলকে রাজ্য ছাড়া করবে বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিধানসভার ভেতরে বিরোধীদের কণ্ঠরোধ করবেন, কিন্তু সেখানেও পারলেন না। এমনকি তিনি যখন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন, তখনও যে শুভেন্দু অধিকারী এইভাবে তাকে চোর, চোর বলে স্লোগান দেবেন, এটা তিনি কখনও ভাবেননি।তাকে যে এত কঠিন কথা এবং শব্দ বন্ধনীতে আক্রমণ করা হবে, সেটা তিনি কোনোদিন কল্পনা করতে পারেননি। আসলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকলেই গায়ের জোরে সব কিছু করা যায় না। এটা হারেহারে বুঝে যাচ্ছেন এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। অনেকে বলছেন কেউ পাপ করলে চুরি করলে এই জন্মেই তার শাস্তি পেয়ে যেতে হবে। হয়ত শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়েই সেই শাস্তি স্বয়ং বিধাতা পৌঁছে দিচ্ছেন মাননীয়ার কাছে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!