এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > মমতার উদাহরণ টেনে রেলের জমি ‘জবরদখলকারীদের’ পুনর্বাসনের আর্জি নিয়ে লোকসভায় ঝড় তুলল তৃণমূল!

মমতার উদাহরণ টেনে রেলের জমি ‘জবরদখলকারীদের’ পুনর্বাসনের আর্জি নিয়ে লোকসভায় ঝড় তুলল তৃণমূল!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – রেলের নিজের জমি থেকে বস্তি উচ্ছেদ করতে গিয়ে রেলকে বারবার পড়তে হচ্ছে বিরোধী শিবির তৃণমূলের প্রতিবাদের মুখে। এতদিন পর্যন্ত বিভিন্ন সময় দেখা গেছে, রাজ্যের জমি থেকে উচ্ছেদ হয়েছে কিন্তু সে সময় শাসক দলকে মুখ খুলতে দেখা যায়নি। কিন্তু রেলের জমি থেকে উচ্ছেদ করার মুহূর্তে বাধা দেওয়া শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই নিয়ে রাজনৈতিক মহলে চলছে জোর জল্পনা। সম্প্রতি শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের জমি খালি করার ব্যাপারটি নিয়ে অভিযোগ তোলেন রেলের বিরুদ্ধে রাজনীতি করার।

পুনর্বাসন না দিয়ে উচ্ছেদের বিরুদ্ধে তীব্র প্রতিবাদ জানান তিনি। কিন্তু এবার শ্রীরামপুরের তৃণমূল সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় রেলের জমি থেকে উচ্ছেদের ব্যাপারটি লোকসভায় উল্লেখ করলেন। এ প্রসঙ্গে তিনি আবেদন করেন, রেলের জমি খালি করতে গেলে সেখানকার বসবাসকারী মানুষদের পুনর্বাসন দেওয়ার। রেলের প্রতি তিনি অভিযোগ করেন, ব্যক্তিগত জমি হস্তগত করতে চাইছে রেল কর্তৃপক্ষ। সোমবার লোকসভায় কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্তারিতভাবে বলেন, ‘‘শ্রীরামপুর রেল স্টেশনের কাছে রেলের জমি এবং সংলগ্ন ব্যক্তিগত জমি রয়েছে। সেখানে গরিব মানুষ বসবাস করেন। রেল কর্তৃপক্ষ নিজেদের এবং ব্যক্তিগত জমির সীমানা নির্ধারণ না করেই এই সব মানুষকে উচ্ছেদ করতে চাইছে।’’

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তিনি আরো বলেন, নিজের জমির সীমানা নির্ধারণ করে রেল পদক্ষেপ গ্রহণ করুক। কিন্তু যারা ওই জমিতে বসবাস করছে, তাঁদের পুনর্বাসন দেওয়া হোক। আর এ ব্যাপারে তৃণমূল সাংসদ রেলমন্ত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভূমিকাকে উদাহরণ হিসেবে টেনে এনে বলেন, ডানকুনিতে রেল কারখানা তৈরি করার সময় সেখানকার বসবাসকারী মানুষদের পুনর্বাসন দেওয়া হয়েছিল। যদিও কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্য নিয়ে এখনো পর্যন্ত পূর্ব রেলের পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য করা হয়নি। উল্লেখ্য শ্রীরামপুরের মালগুদাম সংলগ্ন রাইল্যান্ড রোডের ধারে রেলের জমিতে বস্তি রয়েছে। রেল কর্তৃপক্ষের তরফে ওই বস্তি উচ্ছেদের জন্য নোটিশ দেওয়া হয়।

এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে রাস্তায় নামে তৃণমূল কংগ্রেস। অন্যদিকে পূর্ব রেল কর্তৃপক্ষ থেকে বলা হয়েছে, আইনতভাবে সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।  জানা যাচ্ছে, রেল দীর্ঘদিন পর নিজের জমিতে পাঁচিল দিতে চাইছে। কিন্তু এলাকাবাসীরা পড়েছন  ফাঁপড়ে। অসহায় অবস্থায় কোথায় যাবেন, তা নিয়ে রীতিমতন বিব্রত হয়ে রয়েছেন তাঁরা। অন্যদিকে রাজনৈতিক মহলের অনেকেই মনে করছেন, রেলের জমি উচ্ছেদ নিয়ে এই মুহূর্তে রাজ্যের লড়াই পরোক্ষে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে। বিশেষজ্ঞদের মতে, রেলের জমি থেকে বস্তি উচ্ছেদ নিয়ে আগামী বেশ কয়েকদিন কেন্দ্র-রাজ্য যে উত্তপ্ত বাকবিতণ্ডা চলবে, তা নিয়ে কোন সন্দেহ নেই। আপাতত রেল কর্তৃপক্ষ কি পদক্ষেপ গ্রহণ করেন, সে দিকেই নজর থাকছে ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!