এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পরিস্থিতি ভালো নয়! তৃণমূলের অনেক বিধায়কই যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে? বিস্ফোরক গেরুয়া নেতা

পরিস্থিতি ভালো নয়! তৃণমূলের অনেক বিধায়কই যোগাযোগ রাখছেন বিজেপির সঙ্গে? বিস্ফোরক গেরুয়া নেতা

লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকেই বিজেপিতে যোগ দেওয়ার হিড়িক পড়েছিল রাজ্যে। লোকসভা ভোটের পর দেখা যায় বিজেপি বাংলা থেকে ১৮ টি আসন ছিনিয়ে নিয়েছে, এরপরেই জলের তোড়ে ঘর ভাঙতে শুরু করে তৃণমূলের। যদিও প্রশান্ত কিশোর দায়িত্ব নেওয়ার পর আবার অনেকে ফিরেছেন, আটকে রাখতে পারেনি বিজেপি। তৃণমূলের ঘর ভাঙা আটকানোর পাশাপাশি, পাল্টা ঘর ভাঙতে শুরু করেছে বিজেপির। তবে এবার ফের শাসকদলের চাপ বাড়িয়ে সামনে এলো বিস্ফোরক তথ্য।

গেরুয়া শিবিরের অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তৃণমূলের অনেক বিধায়কই নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে চাইছেন আর সেই কারণে বিজেপির হেভিওয়েটদের সঙ্গে তাঁরা নিয়মিত যোগাযোগ রাখছেন। এই নিয়ে বিজেপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক হেভিওয়েট নেতা জানান যে, বাংলায় তাদের কাছে বড় লক্ষ্য হলো ২০২১ বিধানসভা। তৃণমূলকে বাংলা থেকে উৎখাত করতে বিজেপি সর্ব শক্তি দিয়ে লড়বে। আর সেই কারণেই খোদ অমিত শাহ বাংলায় এসে ঘাঁটি গেড়ে বসে থাকবেন।

সংশ্লিষ্ট ওই নেতার কথা অনুযায়ী, লোকসভা নির্বাচনেই প্রমাণিত বাংলার মানুষ পরিবর্তনের পরিবর্তন চাইছেন। আর বর্তমানে করোনা পরিস্থিতিতে তা আরও তীব্র হয়েছে। আর তাই সেই পরিবর্তনের লড়াইয়ে একেবারে কলকাতায় বসেই খোদ অমিত শাহ নেতৃত্ব দেবেন। আর এই খবর সামনে আসতেই নাকি রীতিমত চিন্তার ভাঁজ পড়েছে শাসকশিবিরে। কেননা, তৃণমূলও নাকি বুঝতে পেরেছে বাংলায় গেরুয়া শিবিরের হাত ধরে পরিবর্তন আসন্ন। আর তাই, তৃণমূলের বহু বিধায়ক গোপনে আমাদের সাথে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

গেরুয়া শিবিরের ওই নেতার কথা অনুযায়ী, ওই বিধায়করা সকলেই নাকি বিজেপিতে যোগ দিতে চান। যেহেতু অমিত শাহ কলকাতাতেই থাকবেন, তাই তাঁর হাত ধরেই এঁরা বিজেপিতে যোগদান করতে চেয়েছেন। ওই নেতার আরও দাবি, যাঁরা বর্তমানে শাসকদল ছাড়তে চাইছেন, তাঁদের নাকি প্রশাসনিকভাবে আটকাতে চাইছে রাজ্যের শাসকদল। কিন্তু, যদি খোদ অমিত শাহের হাত ধরে যোগদান হয়, সেক্ষেত্রে লড়াইয়ের ময়দানে নাকি তাঁরা অনেক বেশি মনোবল পাবেন।

এই দাবি শোনার পর, প্রিয়বন্ধু মিডিয়ার তরফে পাল্টা প্রশ্ন করা হয়, তৃণমূল ইতিমধ্যেই দাবি করছে যে খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বা তৃণমূল নেতারা করোনা নিয়ে যা কাজ করছেন – তাতে মানুষ বিজেপি নয় তৃণমূলের উপরেই ভরসা রাখছেন। তৃণমূলের দাবি তিনিই ‘বাংলার গর্ব’ – এমনকি অনুব্রত মন্ডলের মত নেতারা দাবি করেছেন, বাংলার মানুষ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ‘ভগবান’ ভাবছেন। অন্যদিকে, করোনার সময়ে বিজেপি নেতাদের খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে দাবি উঠেছে! তবে কেন তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে আসবেন বিধায়করা?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই নিয়ে ওই বিজেপি হেভিওয়েট নেতার দাবি – মুখ্যমন্ত্রী কতটা কাজ করেছেন বা বর্তমানে করছেন, সেটা বাংলার মানুষ দেখতে পাচ্ছেন! এটা ১৯৯০ কিংবা ২০০০ সাল নয়! যে তখন মানুষের হাতে স্মার্ট ফোন আসেনি, এত ভিডিও , ছবি বা ডিজিটাল সংবাদ মাধ্যম নেই, যে যাই করি পরের দিন খবরের কাগজে ভালো করে দোষ ত্রুটি সংশোধন করে খবর প্রকাশ হবে আর মানুষ বলবেন যে, আহা! কত কাজ করছেন! এটা ডিজিটাল যুগ – ভিডিও, পিকচার, ফেসবুক, হোয়াটস্যাপে সব খবর সবাই দেখতে পাচ্ছেন।

ওই নেতার আরও বক্তব্য, যতই মিডিয়াকে খবর করতে দেওয়া না হোক, যতই সব চেপে রেখে বিজ্ঞাপনের চেষ্টা হোক – রেশন চুরি থেকে শুরু করে কাটমানি, করোনাতে তথ্য লুকানো থেকে পরীক্ষা না করা, চিকিৎসকদের পিপিই-মাস্ক না দেওয়া থেকে বিজেপি নেতাদের ত্রাণবিলি আটকানো – সবাই সবটা দেখতে পাচ্ছেন, বুঝতে পারছেন। ফলে ক্ষোভে ফুঁসছেন সাধারণ মানুষ। তাঁর পাল্টা প্রশ্ন, বিরোধীদের অভিযোগ তীব্র হতেই – রাজ্যের খাদ্যসচিব থেকে স্বাস্থ্যসচিবকে সরিয়ে দিতে হয়! সাংবাদিক বৈঠক করতে ভয় পান মুখ্যমন্ত্রী! তাহলেই বুঝুন অবস্থাটা কি?

ওই নেতা আরও জানিয়ে দিলেন, তৃণমূলও খুব ভালো করে জানে – মানুষের মধ্যে যে পরিমান ক্ষোভ বাড়ছে, তাতে অবস্থা মোটেই ভালো নয়! এখন তৃণমূলের সবাই তো আর খারাপ নন, অনেক ভালো মানুষ আছেন – যাঁরা জনগনের কাজ করতে চান, কিন্তু তৃণমূলে সে সুযোগ নেই! ফলে, পরিবর্তনকে মান্যতা দিয়ে তাঁরা এখন থেকেই যেখানে কাজ করার সুযোগ পাবেন, সেখানে আসতে চাইছেন। আগামীদিনে বাংলায় বিজেপি আসছেই, এই দেওয়াল লিখন – সাধারণ মানুষ থেকে জনপ্রতিনিধি সকলের কাছেই স্পষ্ট। তাই, বহু তৃণমূল বিধায়কই এখন আমাদের দলে আসতে চেয়ে যোগাযোগ রেখে চলেছেন।

স্বাভাবিকভাবেই প্রিয়বন্ধুর তরফ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল কারা কারা যোগাযোগ রেখেছেন? ওই বিজেপি নেতা নাম বলতে চাননি কিছুতেই। তাঁর স্পষ্ট যুক্তি, এখনই নাম প্রকাশ্যে এলে তাঁদের উপর তৃণমূল চাপ সৃষ্টি করবে। সুতরাং, নাম কিছুতেই প্রকাশ করা যাবে না, তবে সময় এলেই সব জানতে পারবেন। এর আগে লোকসভা নির্বাচনের সময়েও মানুষ দেখেছেন, তৃণমূলের উপর আস্থা না রেখে অনেকেই আমাদের দলে এসেছেন এবং নির্বাচনে জিতেওছেন। সুতরাং বিধানসভা নির্বাচনের আগেও, যাঁরা বাংলার প্রকৃত উন্নয়ন চান, তাঁরা সকলেই বিজেপিতে আসবেন।

ওই নেতা আরও জানিয়েছেন, তৃণমূল থেকে যে সংখ্যক বিধায়ক আসতে চলেছেন, তাঁদের সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। তৃণমূলের অন্দরমহলে একটু খোঁজখবর নিয়ে দেখুন না, তাহলেই বুঝে যাবেন কতজন ওই দলে থাকতে চাইছেন? পরিস্থিতি যে ভালো নয় সেটা বুঝেই, ওদের এখন তাসের ঘরের মত ভেঙে পড়া শুধু সময়ের অপেক্ষা! বর্তমানে করোনা পরিস্থিতির কারণে, প্রকাশ্যে রাজনৈতিক গতিবিধি থমকে আছে। যদি সবকিছু স্বাভাবিক থাকত, তাহলে এখনই সেই ভাঙ্গন দেখতে পেতেন। তবে খুব বেশিদিন অপেক্ষা করতে হবে না। জাস্ট ওয়েট অ্যান্ড ওয়াচ!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!