এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই গার্ডেনরিচে মমতা! সিমপ্যাথির নাটক, পাল্টা দিলো বিজেপি!

মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়েই গার্ডেনরিচে মমতা! সিমপ্যাথির নাটক, পাল্টা দিলো বিজেপি!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- আজ সকাল থেকেই খবরের শিরোনামে রয়েছে গার্ডেনরিচ এলাকা। যেখানে একটি বহুতল ভেঙে পড়েছে। তার নীচে রয়েছে প্রচুর ঝুপড়ি। অনেক মানুষের ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া যাচ্ছে। ভয়াবহ এবং বিভীষিকাময় এই ঘটনাকে সামাল দিতে রীতিমত তৎপর রাজ্য প্রশাসন। কিন্তু বেশ কিছুদিন ধরেই মাথা ফেটে যাওয়ার কারণে ব্যান্ডেজ রেখে বাড়িতেই বিশ্রাম নিচ্ছিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কিন্তু আজ এই খবর পাওয়ার সাথে সাথেই অসুস্থতার পর প্রথম প্রকাশ্যে এলেন তিনি।  গার্ডেনরিচে মাথায় সাদা ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থায় এবং তার উপরে কালো ওড়না জড়িয়ে পৌঁছে যান এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে রাজ্যের দুই মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম এবং সুজিত বসুর সঙ্গে গোটা বিষয় নিয়ে কথা বলেন তিনি। পাশাপাশি এলাকাবাসীর সঙ্গেও কথা বলতে দেখা যায় তাকে। তবে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মুখ্যমন্ত্রী এলাকায় ছুটে গিয়েছেন, এলাকার মানুষের পাশে দাঁড়াচ্ছেন, এটা অত্যন্ত সাধুবাদ জানানোর মত বিষয়। কিন্তু সামনে লোকসভা ভোট। ভোটের দামামা ইতিমধ্যেই বেজে গিয়েছে। তাই মুখ্যমন্ত্রীর অসুস্থতা অবস্থায় ব্যান্ডেজ বেঁধে এইভাবে গার্ডেনরিতে পৌঁছে যাওয়ার মধ্যে সুক্ষ রাজনীতি দেখছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, গার্ডেনরিচের ঘটনা মারাত্মক আকার নিয়েছে। অনেকেই প্রশাসনের পদক্ষেপ নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। তবে তাকে সামাল দিতে সকাল থেকেই রয়েছেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী। আর অসুস্থ অবস্থায় ব্যান্ডেজ নিয়েই সেই এলাকায় পৌঁছে যান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এখানেই বিরোধীদের প্রশ্ন, ভোট এলেই তো চোট পান এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। তিনি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন, এটা সকলেই চাইছেন। কিন্তু তার  ক্ষতস্থানে যখন এত গভীর, তখন গার্ডেনরিচের মত জায়গায় তিনি এলেন ঠিকই। তবে তার আসা অনেক প্রশ্ন তুলে দিল। কেননা এই মুখ্যমন্ত্রী কিছুদিন আগে পর্যন্ত সুস্থ ছিলেন যখন সন্দেশখালীর ঘটনা ঘটেছিল। সন্দেশখালির মারাত্মক বিভীষিকা, মা বোনেদের হাহাকার শোনার পরেও তিনি সেখানে পৌঁছে যাননি। আর আজকে মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে গার্ডেনরিচে এসে মানুষের সিমপ্যাথি পাওয়ার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেই দাবি করছে গেরুয়া শিবির। তাদের বক্তব্য, মুখ্যমন্ত্রী একজন প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে মানুষের পাশে দাঁড়াবেন। কিন্তু ভোটকে কেন্দ্র করে তার এই ধরনের সিমপ্যাথি পাওয়ার চেষ্টা দুর্ভাগ্যজনক। তিনি আসলে মানুষের পাশে রয়েছেন, এটা দেখানোর জন্যই অসুস্থ অবস্থাতেও মানুষের জন্য নিবেদিত প্রাণ, তা প্রমাণ করার জন্যই গার্ডেনরিচে এসেছেন বলেই মনে করছে বিরোধী শিবিরের একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষতস্থানের যে ছবি ভাইরাল হয়েছিল, তা যদি সত্যি হয়, তাহলে তো যথেষ্ট চিন্তার বিষয়। এখনও পর্যন্ত এটাই উদ্ধার হলো না যে, তিনি কি করে পড়ে গেলেন! না তাকে ফেলে দেওয়া হলো! দুইবার দুই রকম কথা বলেছেন এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ। ফলে তা নিয়েও যথেষ্ট প্রশ্ন রয়েছে‌। আর তার মধ্যেই এই রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান গার্ডেনরিচের এই ঘটনা ঘটার পরেই সেখানে পৌঁছে গেলেন। কিন্তু এই তৎপরতা যদি তিনি সুস্থ থাকা অবস্থায় সন্দেশখালিতে একটু দেখাতেন, তাহলে হয়ত আজকে তার দলের ভূমিকা নিয়ে এত প্রশ্ন উঠত না। তিনি যদি সেখানে পৌঁছে যেতেন, তাহলে হয়ত ময়দানে নামতে পারত না বিরোধীরা। তাই ভোটের দামামা তো বেজে গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে তিনি যে অসুস্থ সেটাও তো মানুষকে দেখাতে হবে। পাশাপাশি তিনি যে মানুষের জন্য কাজ করেন, এটা তো প্রমাণ করতে হবে‌। সেই কারণে ব্যান্ডেজ বাধা অবস্থাতেই মাথায় কালো ওড়না চাপিয়ে একেবারে গার্ডেনরিচে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী একটা জনতার জন্য নিবেদিত প্রাণ, এর নতুন নাটক স্থাপনের চেষ্টা করলেন। বিরোধীদের এহেন বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!