এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > প্রশাসনের কদর্য রাজনীতি! ভোট লুটের চক্রান্ত করছেন ডিএমরাও? ভয়ংকর তথ্য ফাঁস বিজেপির!

প্রশাসনের কদর্য রাজনীতি! ভোট লুটের চক্রান্ত করছেন ডিএমরাও? ভয়ংকর তথ্য ফাঁস বিজেপির!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট-এই রাজ্যের প্রশাসন যে সম্পূর্ণরূপে ফ্যাসিস্ট, এই রাজ্যের পুলিশকে যে বিন্দুমাত্র বিশ্বাস করা যায় না, সেই সম্পর্কে বারবার পথে-ঘাটে অভিযোগ করে বিরোধীরা। এমনকি তারা হাতেনাতে প্রমাণ দিয়েও দেখিয়ে দেয় যে, এই রাজ্যের পুলিশ কতটা স্বেচ্ছাচারী আচরণ করছে! তবে ইতি মধ্যেই লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হয়ে গিয়েছে, আর নিয়ম অনুযায়ী লোকসভা নির্বাচনের ঘোষণা হয়ে গেলে সবটাই থাকে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের অধীনে এক্ষেত্রে রাজ্য পুলিশ অন্য সময় দলদাসের মতো কাজ করলেও এই সময় একটু নিরপেক্ষ হয়ে কাজ না করলে কিন্তু কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন তাদের বিরুদ্ধেও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে। কিন্তু এই সমস্ত কিছুরও তোয়াক্কা কি আর করছেন না এই রাজ্যের বিভিন্ন জেলার প্রশাসন? শুধুমাত্র তৃণমূলের হয়েই কি কাজ করে যাচ্ছেন জেলাশাসকরা? এই বক্তব্য আমাদের নয়। এই প্রশ্ন তুলে দিয়ে কিভাবে ভোটের আগে থেকেই জেলা শাসকরা উত্তরবঙ্গের মত জায়গায় যেখানে বিজেপির শক্ত ঘাঁটি, সেখানে ভোট লুট করার চক্রান্ত করছেন তৃণমূলের সরকারি কর্মচারীদের নিয়ে, তার পর্দাফাঁস করে দিল ভারতীয় জনতা পার্টি। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য যে কথা বললেন, তা শুনে অনেকেই চমকে উঠছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন সাংবাদিক বৈঠক করেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। আর সেখানেই এই রাজ্যের সব জায়গায় কিভাবে তৃণমূল কংগ্রেস প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে এবারের ভোটকে প্রহসনে পরিণত করতে চাইছে, তার উদাহরণ তুলে ধরেন তিনি। এদিন এই প্রসঙ্গে এই বিজেপি নেতা বলেন, “উত্তরবঙ্গের মত জেলায় জেলা শাসকরা তৃণমূলের সরকারি কর্মচারী সংগঠনের সঙ্গে বসে বৈঠক করছেন কলেজে কলেজে। সেখানে কি করে তৃণমূলের পক্ষে ভোট আনা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। এই রাজ্যের প্রশাসন কদর্য রাজনীতি শুরু করেছে।” একাংশের মতে, এই রাজ্যের প্রশাসন যে সম্পূর্ণরূপে তৃণমূলের কথামত কাজ করে এবং তাদের কথা মত কাজ না করে যে তাদের চাকরিটা থাকবে না, এটা তারাও খুব ভালো মত জানে। তাদেরকে হয়ত অন্য জায়গায় পোস্টিং করে দেওয়া হবে। তাই বাধ্য হয়েই উচ্চপদস্থ প্রশাসনের আধিকারিকরা যা তৃণমূলের পক্ষ থেকে বলা হয়, সেটাই করেন। কিন্তু নির্বাচনের সময় অন্তত তাদের নিরপেক্ষ থাকা উচিত। কারণ মানুষ এই রাজ্যে নিজের ভোট নিজে দিতে পারেনা।

বিরোধীদের অভিযোগ অনুযায়ী, স্থানীয় ভোটগুলিতে সমস্তটাই দখল করে নেয় তৃণমূলের দুষ্কৃতীরা। যার সাহায্য করেন প্রশাসনের আধিকারিক থেকে শুরু করে পুলিশ বাহিনী। তবে এবারও দেশের লোকসভা নির্বাচনের মত নির্বাচনেও যদি এই রাজ্যের জেলা শাসকরা তৃণমূলের হয়ে কাজ করার জন্য চেষ্টা করেন এবং নিজেদের নিরপেক্ষতা ভেঙ্গে তৃণমূলকে কি করে ভোট পাইয়ে দেওয়া যাবে, এবং ভোট লুটের চক্রান্তের আলোচনা তারা শুরু করেন অধস্থান কর্মচারীদের সঙ্গে, তাহলে তার ফল কিন্তু মারাত্মক হতে পারে। আর সেই বিষয়কেই কদর্য রাজনীতির সঙ্গে তুলে ধরে এই রাজ্যের প্রশাসনের নির্লজ্জ রূপের পর্দাফাঁস করে দিলেন বিজেপি নেতা বলেই মনে করছেন একাংশ।

পর্যবেক্ষকদের মতে, অবিলম্বে এই সমস্ত তালিকা কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের নজরে আনা উচিত ভারতীয় জনতা পার্টির। কারণ তারা এবার আশা করছে যে, বাংলা থেকে তারা ভালো ভোট পাবে। এমনকি মানুষের যা পালস বুঝতে পারা যাচ্ছে, তাতে এটা স্পষ্ট হয়ে যাচ্ছে যে, এই রাজ্যের শাসক দলের ওপর সকলেই বিরক্ত। এতদিন মানুষ নিজের ভোট নিজে দিতে পারেননি বলেই ঠিকঠাক গণতন্ত্রের প্রতিফলন হয়নি। কিন্তু এবার তো কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন গোটা নির্বাচনী ব্যবস্থা পরিচালনা করছে। সেক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়েই যখন নির্বাচন হবে, তারপরেও যদি ভোটের ব্যবস্থা গাফিলতি থেকে যায়, তাহলে তো পশ্চিমবঙ্গের মাটিতে আর গণতন্ত্রের রক্ষা হবে না। তাই এক্ষেত্রে বাংলায় সুষ্ঠ গণতন্ত্র স্থাপন করার জন্য এবারের লোকসভা নির্বাচনে দায়িত্ব নিতে হবে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনকেই। তাই বিজেপির কাছে যে সমস্ত জেলা শাসককে নিয়ে অভিযোগ রয়েছে, তাদের তালিকা লিপিবদ্ধ করে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের কাছে তা পাঠিয়ে দেওয়া উচিত। তাহলেই ভোট লুটের চক্রান্ত করা এই সমস্ত দলদাস প্রশাসন উচিত শিক্ষা পাবে। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!