প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার হস্তান্তর নিয়ে এবার প্রবল চাপে পড়ল রাজ্য সরকার। বস্তুত, এই মেট্রো ডিয়ারি শেয়ার হস্তান্তর করা নিয়ে রাজ্য সরকারের 4 সচিবের লিখিত জবাব ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে পৌঁছে গিয়েছে। কিন্তু একজনের বক্তব্যের সঙ্গে অন্যজনের বক্তব্যের ফারাক থাকাতে এখন নতুন করে জল্পনা বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মেট্রো ডিয়ারি শেয়ার বিক্রির সময় যে তিনজন সচিব প্রাণিসম্পদ দপ্তরে কাজ করতেন, তাদের বক্তব্য জানতে সম্প্রতি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের পক্ষ থেকে রাজ্যের মুখ্যসচিবকে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছিল। যার মধ্যে ছিলেন রাজীব কুমার, ভগবতী প্রসাদ গোপালিকা এবং রাজেশ সিনহা। এছাড়াও ডাকা হয়েছিল রাজ্যের অর্থ সচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীকে। কিন্তু বর্তমানে এই চারজন সচিব তাদের বক্তব্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে জানালেও, বিস্তর ফারাক দেখে রীতিমত আশঙ্কা বাড়তে শুরু করেছে।

জানা গেছে, নীচুতলার জুনিয়র অফিসার এবং মন্ত্রিসভার উপরেই এই মেট্রো বিক্রির দায়ে চাপিয়েছেন সচিবরা। মূলত রাজ্যের অর্থসচিব জানিয়ে দিয়েছেন যে, সরকারের এই সিদ্ধান্ত রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে অনুমোদিত হয়েছে। মন্ত্রিসভা অনুমোদন দেওয়ার পর একজন আমলা হিসেবে তার তা পালন করা ছাড়া কোনো উপায় ছিল না। তবে সমস্ত কিছুই শোনা যাচ্ছে।

তবে চার আমলা এই ব্যাপারে কি বক্তব্য পেশ করেছেন এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কাছে, তা নিয়ে ধন্দে রয়েছেন সকলে। তবে এই বক্তব্যের মধ্যে যদি চারজনের ফারাক সামনে আসে, তাহলে রাজ্য সরকারের অস্বস্তি বৃদ্ধি পাবে এটাই স্বাভাবিক। সেদিক থেকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার জেরার মুখে পড়তে হতে পারে রাজ্যের কোনো হেভিওয়েট ব্যক্তিকে। সব মিলিয়ে বিধানসভা নির্বাচনের আগে এখন মেট্রো ডেয়ারির শেয়ার বিক্রি নিয়ে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল।