এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > অবশেষে মেয়র পদ থেকে কি সরে গেলেন সব্যসাচী দত্ত! কি নির্দেশ দিল দল! জানুন বিস্তারিত

অবশেষে মেয়র পদ থেকে কি সরে গেলেন সব্যসাচী দত্ত! কি নির্দেশ দিল দল! জানুন বিস্তারিত

একের পর এক তার দল বিরোধী মন্তব্য তৃণমূলকে প্রবল অস্বস্তিতে ফেলেছিল। সম্প্রতি বিদ্যুৎভবনে বিক্ষোভ সমাবেশে উপস্থিত হয়ে বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মন্তব্য এবং প্রকাশ্যে দলকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া সব্যসাচী দত্তর বিরুদ্ধে গতকাল থেকেই তৃনমূল কড়া পদক্ষেপ নিতে পারে বলে জল্পনা ছড়িয়েছিল।

তারপরই তৃণমূল ভবনে সব্যসাচী দত্ত বাদে বিধাননগর পৌরসভা সমস্ত কাউন্সিলরকে ডেকে মেয়র পদ দেখভালের জন্য ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায়কে নির্দেশ দেয় তৃনমূল। যদিও বা প্রথম থেকেই এই ব্যাপারে তার কাছে কোনো নির্দেশ আসেনি বলে জানিয়ে দেন বিধাননগর পৌরসভার মেয়র তথা রাজারহাট নিউটাউনের তৃণমূল বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত।

এরপরই বিতর্ককে আরও চরম পরিমাণে বাড়িয়ে দিয়ে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা সারতে দেখা যায় সেই সব্যসাচী দত্তকে। আর এরপরই বিধাননগরের মেয়র তথা এই তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শোনা যায় ঘাসফুল শিবিরের নেতাদের গলায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই সব্যসাচী দত্তকে মেয়র পদ ছেড়ে দেওয়ার ব্যাপারে দলের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিন এই প্রসঙ্গে কলকাতা পৌরসভার মেয়র তথা পুরমন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, “সব্যসাচীর দল ছেড়ে দেওয়া উচিত। দলে থেকে ও যা ইচ্ছে করতে পারে না। আর যদি ও তা না করে তাহলে ওকে মীরজাফর বলে ধরে নেওয়া হবে।”

একইভাবে সব্যসাচী দত্তের বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করতে দেখা যায় তৃনমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়কেও। এদিন তিনি বলেন, “দলের থেকে ব্যক্তি কখনই বড় নয়। দল সব্যসাচীকে অনেক সুযোগ দিয়েছে কিন্তু এবার সব্যসাচীর বিরুদ্ধে কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। দল বিরোধী মন্তব্য করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। দল সময় দিচ্ছে, এটা মানে দুর্বল ভাবার কোনো কারণ নেই।”

অন্যদিকে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে সব্যসাচী দত্ত বৈঠক করলে সেই প্রসঙ্গে নাম না করে মুকুল রায়কে কটাক্ষ করেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “আসলে সব্যসাচী যার বুদ্ধিতে চলছে সে যেখানে যাবে, সেখানেই ধ্বংস করবে। দলের ভাবমূর্তি যদি নষ্ট হয়, তাহলে দল কখনও চুপ করে বসে থাকবে না।”

এদিকে দলের তরফে তার বিরুদ্ধে করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা জানানো হলেও এই ব্যাপারে সেই ভাবে মুখ খুলতেই দেখা গেল না সব্যসাচী দত্তকে। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “প্রথমত দলের তরফে এখনও আমাকে কিছু জানানো হয়নি। জানালে নিশ্চয়ই তার জবাব দেব। আর শ্রমিক স্বার্থে পাশে দাঁড়ানো যদি আমার বেইমানি হয়, তাহলে আমি আবার সেই বেইমানি করব।” কিন্তু দল যখন বারে বারে তাকে সতর্ক করছে, তখন কেন তিনি বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সঙ্গে বৈঠক করলেন! তাহলে কি এটা বিশ্বাসঘাতকতা নয়!

এদিন এই প্রসঙ্গে বিধাননগরের মেয়র বলেন, “মুকুল রায় দাদা হিসেবে আমাকে কিছু পরামর্শ দিয়ে গিয়েছেন। প্রতিটি জিনিসের মধ্যে ভদ্রতা এবং সৌজন্যতা রয়েছে। কারোর কথা শুনে আমি এর জবাব দেব না।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রথমে দলবিরোধী মন্তব্য এবং তারপরে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের সাথে বৈঠক, সব্যসাচী দত্তের একের পর এক কাজে রীতিমতো বীতশ্রদ্ধ হয়েছে তৃণমূল। আর তাইতো দিনভর যখন সকলের নজর ছিল এই গোটা ঘটনার দিকে, ঠিক তখনই এবার সব্যসাচীর বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার কথা শোনা গেল দুই শীর্ষ নেতার গলায়। কিন্তু মুখে বললেও কাজে আদৌ কি তা করে দেখাতে পারবে ঘাসফুল শিবির! এখন সেদিকেই তাকিয়ে সকলে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!