এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মত চলবে ঠেক – মন্ত্রীসভার বৈঠকে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মত চলবে ঠেক – মন্ত্রীসভার বৈঠকে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন মুখ্যমন্ত্রী

শান্তিপুরের বিষমদ কান্ডে ১২ জনের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছে রাজ্যসরকারকে। বিরোধীদের অভিযোগের আঙুল উঠেছে রাজ্যসরকারের দিকে। লোকসভা ভোটের আগে শাসকদলের ভাবমূর্তি নষ্ট করার ভালো সুযোগ পেয়ে গেল বিরোধীরা,এমনটাই দাবী নবান্নের। গোটা ঘটনাতেই ব্যাপক উদ্বেগে রাজ্যসরকার। গোটা ব্যাপারটাকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র।

এছাড়াও মুখ্যমন্ত্রী নির্দেশেই তদন্তে নেমেছে সিআইডি। এছাড়া আবগারি দপ্তরকেও এ ব্যাপারে তদন্তে নামার কড়ার নির্দেশ দিলেন নেত্রী। এদিন মন্ত্রীসভার বৈঠকে গোটা ব্যাপারটা নিয়েই ক্ষোভ উগড়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে বেআইনি চোলাই তৈরির কারখানা,অথচ কোনো হেলদোল নেই প্রশাসনিক কর্তাদের।

বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রীদের উদ্দেশ্য করেই কড়া কথা শোনালেন নেত্রী। মন্ত্রীদের তিনি বিধানসভা এলাকাগুলোতে নজরদারি বাড়ানোর এবং পুলিশ ও আবগারি দপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখার নির্দেশ দিলেন তিনি।প্রাশাসনিক সূত্রের খবর, চোলাই মদ বন্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলে আবগারি দপ্তরের কাজকর্মে চূড়ান্ত অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন নেত্রী। এই আবগারি দপ্তরের দায়িত্বহীনতার কারণেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ করে জেলায় জেলায় বেআইনিভাবে চোলাই মদের ব্যবসা চলছে। এমনটাই বক্তব্য মুখ্যমন্ত্রীর।

মন্ত্রীসভার বৈঠকের আগেও পূর্ব বর্ধমানের কালনায় প্রশাসনিক বৈঠকেও বিষয়মদ কান্ড নিয়ে শোক প্রকাশ করেছেন নেত্রী। ঘটনাকে ‘অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক’ বলেও ব্যাখ্যা করেছেন তিনি। নেত্রী মনে করেন,যাঁরা মারা গিয়েছে, তাঁরা না জেনে বুঝেই ওই বিষমদ খেয়েছে৷ যার পরিনামে এভাবে মৃত্যু হল তাঁদের। তবে সরকার মৃতদের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়েছে। পরিবার পিছু দু লক্ষ টাকা দেওয়া হয়েছে আর্থিক সাহায্য হিসাবে।

তবে এধরণের অপ্রীতিকর ঘটনার পুনরাবৃত্তি যাতে আর না হয়,তার জন্যে প্রশাসনের নজরদারিকে আরো কড়া করার নির্দেশ দিলেন নেত্রী। বর্তমানে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে চোলাইয়ের কারখানার চিরুনি তল্লাশিতে নেমেছে আবগারি দপ্তর ও পুলিশ প্রশাসন। সেই অভিযানের মাধ্যমে উলুবেড়িয়া ও ঘাটাল থেকে প্রচুর পরিমানে বেআইনি চোলাই হাতে এসেছে প্রশাসনের।

উল্লেখ্য, শান্তিপুরের বিষমদ কান্ডে ১২ জনের মৃত্যুর পাশাপাশি গুরুতর আহত অবস্থায় অনেকেই এখনো হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

ফেসবুকের কিছু টেকনিকাল প্রবলেমের জন্য সব খবর আপনাদের কাছে পৌঁছেছে না। তাই আরো খবর পেতে চোখ রাখুন প্রিয়বন্ধু মিডিয়া-তে

 

এবার থেকে প্রিয় বন্ধুর খবর পড়া আরো সহজ, আমাদের সব খবর সারাদিন হাতের মুঠোয় পেতে যোগ দিন আমাদের হোয়াটস্যাপ গ্রূপে – ক্লিক করুন এই লিঙ্কে

এই ঘটনার অব্যবহিত পরেই জেলার দায়িত্বে থাকা আবগারি দপ্তরের তিন আধিকারিক এবং পুলিশের আট কনস্টেবলকে সাসপেন্ড করা হয়েছে প্রশাসনের তরফ থেকে। ওসিকেও ছাঁটাই করা হয়েছে। এই ঘটনার মূল অভিযুক্ত হিসাবে গ্রেপ্তার হয়েছে গনেশ হালদার সহ মোট পাঁচজন। গোটা ঘটনার রহস্য উদ্ধার করতে প্রশাসনিক তৎপর তুঙ্গে রয়েছে কর্মকর্তাদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!