এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এবার এনআরসি নিয়ে সংখ্যালঘুদের জন্যও সুখবর শোনালেন দিলীপ ঘোষ

এবার এনআরসি নিয়ে সংখ্যালঘুদের জন্যও সুখবর শোনালেন দিলীপ ঘোষ


অসমে জাতীয় নাগরিকপঞ্জী হওয়ার পর বাংলায় তা করা হবে বলে দাবি করতে দেখা গিয়েছিল বঙ্গ বিজেপির নেতাদের। তবে বরাবরই বিজেপি নেতাদের এই দাবির বিরুদ্ধে সরব হয়ে বাংলায় তিনি থাকতে কখনই এনআরসি হতে দেবেন না বলে জানিয়ে দেন তৃণমূল নেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এমনকি নাগরিকপঞ্জির বিরুদ্ধে তৃণমূলের নেতারা বিজেপির বিরুদ্ধে ধর্মীয় ভেদাভেদের অভিযোগও আনেন। তবে বিভিন্ন মহলের তরফে যে দাবি করা হচ্ছে এনআরসি নিয়ে, তা যে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন তা ফের আরও একবার নিজের বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তুলে ধরার চেষ্টা করলেন মেদিনীপুরের বিজেপি সাংসদ তথা বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

সূত্রের খবর, এদিন কলকাতার প্রেসক্লাবে এনআরসি নিয়ে আলোচনায় দিলীপ ঘোষ বলেন, “কেন্দ্রের প্রস্তাবিত নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলে তবেই জাতীয় নাগরিকপঞ্জি, এনআরসি কার্যকর হবে। যারা ভারতের নাগরিক, তাদের ধর্ম যাই হোক না কেন, এনআরসি নিয়ে তাদের চিন্তিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। এনআরসির মূল লক্ষ্য বাংলাদেশ থেকে আসা অনুপ্রবেশকারীদের চিহ্নিত করা। গোটা বিষয় নিয়ে ভারতীয় মুসলমানদের বিভ্রান্ত করা হচ্ছে। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হলে বাংলায় এনআরসি হবেই।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, এনআরসির বিষয়ে কলকাতায় পা রাখছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তথা বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। ফলে তার রাজ্যে আসার আগে তার দলেরই রাজ্য সভাপতির এনআরসি নিয়ে এহেন মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মত একাংশের। তবে বিজেপির রাজ্য সভাপতি এই দাবি করলেও তা নিয়ে পাল্টা সুর চড়িয়েছে বিজেপি বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলো।

এদিন এই প্রসঙ্গে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, “বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী চিহ্নিত করার নামে মুসলমান সম্প্রদায়কে তালিকা থেকে বাদ দেওয়াই বিজেপির ঘোষিত কর্মসূচি।” তবে সুজনবাবুর এই বক্তব্যকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করে পাল্টা এই ব্যাপারে মুখ খুলতে দেখা যায় বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষকে। তিনি বলেন, “স্বাধীনতার পর থেকেই মুসলমান সম্প্রদায়কে ভোটব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করেছে কংগ্রেস এবং কমিউনিস্টরা। তাই তারা সংখ্যালঘুদের উন্নয়ন নিয়ে মাথা ঘামায়নি। সেই কারণেই উত্তরপ্রদেশ, গুজরাটের মত বাংলাতেও মুসলমানদের মধ্যে বিজেপি সম্পর্কে সদর্থক ধারণা তৈরি হচ্ছে।” তবে দিলীপ ঘোষের এহেন বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেছেন কংগ্রেস নেতা সর্দার আমজাদ আলী। এদিন এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিজেপি নাগরিকত্বের নামে ধর্মীয় পরিচিতির ভিত্তিতে বিভাজন চাইছে।”

আর এনআরসি নিয়ে এখন রাজ্য রাজনীতিতে কেউ পক্ষে আবার কেউ বা বিপক্ষে একে অপরের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে শুরু করায় জমে উঠেছে বাংলার রাজনীতির রণাঙ্গন। সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই “মানবিকতা মঞ্চ” নামে একটি সামাজিক সংগঠনের পক্ষ থেকে এই এনআরসির বিরুদ্ধে আদালতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার কথা ঘোষণা করা হয়েছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে এই মঞ্চের তরফে মানিক মণ্ডল বলেন, “অসমের মত বাংলাতেও এনআরসি আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। মানুষ হন্যে হয়ে 1971 সালের নথি খুঁজতে শুরু করেছেন। তার জন্য অনেকের মৃত্যু হচ্ছে। অবিলম্বে কেন্দ্রের তরফে এই মৃত মানুষের পরিবারগুলোকে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে।”

তবে বিরোধী দল বা সংগঠনের পক্ষ থেকে এনআরসি নিয়ে বিজেপিকে এই ইস্যুতে যতই কটাক্ষ করা হোক না কেন, সংখ্যালুগুদের এনআরসিতে বিন্দুমাত্র চিন্তিত হওয়ার কথা নেই বলে বিরোধীদের সেই অভিযোগকেই এবার খন্ডন করার আপ্রাণ চেষ্টা করলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!