বিধায়ক বনাম কর্মাধ্যক্ষের দ্বন্দ্ব তুঙ্গে, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে সরগরম তৃণমূল! কলকাতা রাজ্য February 16, 2020 জ্বরের ওষুধ প্যারাসিটামল। মাথাব্যথার ওষুধ স্যারিডন। কিন্তু তৃণমূলের সবথেকে বড় অসুখ, তাদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব কোন ওষুধে সারবে, তারই খোঁজ চালাচ্ছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। অনেকে মনে করতেন, তৃণমূলের সবথেকে বড় চিকিৎসকের নাম মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার বাক্য মান্য করে এমন সাহস নেই কারোরই। কিন্তু সেই কড়া দাওয়াই দেওয়া চিকিৎসকের কোনো প্রেসক্রিপশনেরই ধার মানুষের না তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে অসুস্থ হয়ে যাওয়া নেতা-মন্ত্রীরা। না, এই অসুস্থ হওয়ার সেই অসুস্থ হওয়া নয়। নেতায় নেতায় দ্বন্দ্ব, আর সেই দলে অস্বস্তি’ বৃদ্ধি পাওয়াটাকেই কার্যত চিন্তার ভাঁজ পড়েছে তৃণমূলের কপালে। এবার নজিরবিহীন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব ঘটতে দেখা গেল মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের অন্দরে। বস্তুত, সম্প্রতি মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের বিরুদ্ধে তার দুই ছেলেকে অপহরণের অভিযোগ তুলেছেন জেলা পরিষদ সদস্য তথা তৃণমূল নেতা আনারুল হক। আর যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে মুর্শিদাবাদ জেলা রাজনীতি। তৃণমূল বিধায়কের বিরুদ্ধে তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্যের এই ধরনের অভিযোগ রীতিমত নজর কেড়েছে সকলের। জানা গেছে, সম্প্রতি আনারুল হকের ছেলে দুই নাবালক স্কুল পড়ুয়া স্কুলে যাচ্ছিলেন। আনারুল সাহেবের এক অনুগামী বাইকে করে তাদের স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। আর সেই সময়ে তাদের পথ আটকে তৃণমূলের জেলা পরিষদের কর্মাধ্যক্ষের দুই ছেলেকে অপহরণের চেষ্টা করে কিছু দুষ্কৃতী। এদিকে এই ঘটনার পরেই এলাকাবাসী জড়ো হওয়ার সাথে সাথেই সেই দুষ্কৃতীরা পালিয়ে যায় বলে দাবি। আর তার দুই ছেলেকে অপহরণ করার জন্য স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক আমিরুল ইসলামের দিকে আঙুল তোলেন তৃণমূলের জেলা পরিষদ সদস্য আনারুল হক। যা রীতিমতো চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের অন্দরমহলে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - গোটা ঘটনায় তৃণমূলের গোষ্ঠী কোন্দল যে ব্যক্তিগত কোন্দলেও এখন পরিণত হল, সেই ব্যাপারে নিশ্চিত প্রায় প্রত্যেকেই। ইতিমধ্যেই এই ব্যাপারে থানায় 6 জনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তৃণমূলের জেলা পরিষদের সদস্য আনারুল হক। এদিন তিনি বলেন, “এটা বিধায়ক আমিনুল ইসলামের মদতেই হয়েছে। এই এলাকায় এত সাহস কারও নেই যে, সামশেরগঞ্জ থেকে আমার ছেলেকে অপহরণ করে নিয়ে যাবার চেষ্টা করবে।” অন্যদিকে তার বিরুদ্ধে আনা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল বিধায়ক আমিনুল ইসলাম। এদিন তিনি বলেন, “এমন অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই। পুরোপুরি আমার নামে কালিমালিপ্ত করতেই এই প্রচেষ্টা করা হচ্ছে।” আর দলের জেলা পরিষদ সদস্য দলের বিধায়কের বিরুদ্ধে ছেলে অপহরণের যে অভিযোগ তুলছেন, তাতে কি দল অস্বস্তিতে পড়ল না! এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি আবু তাহের খান বলেন, “এই ধরনের ঘটনা একেবারেই অনভিপ্রেত। আমাদের দলের কোনো বিধায়কের এই ধরনের অপহরণকারীদের সঙ্গে যুক্ত থাকার কোনো প্রশ্নই ওঠে না। ঠিক কি কারণে যাবতীয় সমস্যা তৈরি হচ্ছে, তার খোঁজ নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” সব মিলিয়ে এবার জেলা পরিষদ সদস্য এবং বিধায়কের দ্বন্দ্বে রীতিমতো উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদ জেলা তৃণমূলের অন্দরমহল। আপনার মতামত জানান -